ডানবার মিলে শ্রমিকদের মধ্যে ‘লেবার সাব’-এর জনপ্রিয়তা ম্যানেজমেন্টের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। মিল ম্যানেজমেন্টের মাথাদের বক্তব্য ছিল, বাবা মালিকের বেতনভুক কর্মচারী, অতএব মালিকপক্ষের স্বার্থ দেখাই তার কাজ, শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে ম্যানেজারের বিরুদ্ধাচরণ করা কি বাবাকে শোভা পায়? ওয়ার্কারদের হক বুঝে নেবে ট্রেড ইউনিয়ন লিডার — বাবা কেন?
কটন মিলের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ছিল — স্পিনিং, উইভিং, প্রিন্টিং, ইত্যাদি। সেই আশির দশকের মাঝামাঝি পর্যন্ত মেশিনের নিয়ন্তা ছিল লেবাররাই, বাবার ভাষায় ‘জ্যান্ত বিশ্বকর্মা’র দল।
কিন্তু সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাঙ্গুররা চাইল মিলে ফোর লুম প্রযুক্তি নিয়ে আসতে, যা অনেক আধুনিক। বাবার আপত্তি ছিল। কারণ এক ধাক্কায় বহু শ্রমিক ছাঁটাই হয়ে যাবে তাহলে।
বাবার অভ্যাসই ছিল মিল থেকে ফিরে, টিভি দেখতে দেখতে(ও হ্যাঁ, ততদিনে আমাদের বাড়িতে সাদা কালো বোকাবাক্সের আমদানি হয়েছে), মায়ের সঙ্গে সারা দিনের কাজকর্ম নিয়ে খুঁটিয়ে আলোচনা করা।
ছোট্ট দু’কামরার কোয়ার্টার হওয়ার জন্য আমার কানেও আসতো আলোচনার টুকরোটাকরা। “তোমার কিন্তু জৈনকে oppose করা ঠিক হয়নি। যতই হোক, সে মিলের ম্যানেজার।”
“কি বলছ? ও ব্যাটার ধান্দা মাস দুয়েকের মধ্যেই পাওয়ার লুম চালু করে দেবে—”
“দেবে তো দেবে, তোমার কি? তোমার চাকরিটা তো তার জন্য insecure হয়ে যাবে না?”
“বাহ্! আর শ’পাঁচেক ওয়ার্কারের যে রুজিটাই চলে যাবে, তার বেলা?”
“শোনো, মাথা ঠান্ডা করে শোনো, যাদের কাজ যাবে, কোম্পানি তাদের কমপেনসেশন দেবে তো — তুমি কেন মাঝখান থেকে ম্যানেজমেন্টের অপ্রিয় হচ্ছো?”
বাবার গোঁয়ার গলা শোনা যেত —“মালিকের নুন খাই বলে আমি ম্যানেজমেন্টের পোষা কুকুর হয়ে যাইনি তো — আমি এখানে লেবারদের স্বার্থ দেখতে এসেছি, সেটাই আমার চাকরি। আমি সেইজন্যই মাইনে পাই। ওই ব্যাপারে আমি বিন্দুমাত্র কমপ্রোমাইজ করব না!”
মায়ের ঠান্ডা, কঠিন গলা শুনতাম তার পরেই —“না। পার্সোন্যাল অফিসারের কাজ লেবারদের হয়ে ওকালতি করা নয়। তার কাজ মালিক আর শ্রমিকের মধ্যে liaison তৈরি করা। তোমাকে ওয়ার্কারদের বোঝাতে হবে, কেন মালিক এটা চাইছে। এই মিল তো সরকারি অফিস নয় — মালিকরা বেনিয়া, তারা ব্যবসা করতে এসেছে — লেবারদের মুখ চেয়ে লোকসান করবে কেন? তাছাড়া কমপিটিশনের মার্কেট। ফোরলুম চালু না হলে একদিন তো টিকে থাকতে না পেরে পুরো মিলই বন্ধ হয়ে যাবে। এখন পাঁচশো লোক ছাঁটাই হবে বলে কষ্ট পাচ্ছো, তখন তো এক ধাক্কায় পাঁচ হাজার লোক বেকার হয়ে পড়বে, তাই না?”
“ওহ্, collateral damage দেখাচ্ছো?”
“আমি কিছুই দেখাচ্ছি না, শুধু বাস্তব পরিস্থিতিটা বোঝাতে চেষ্টা করছি তোমাকে। লেবারদের দাবিদাওয়া কেদার সিং-রা আদায় করে নেবে ঠিক। তুমি কেন জড়াচ্ছো এর মধ্যে?”
“ধুত্তোর! এই মালিকের চাকরি করবই না বেশি ঝামেলা পাকালে! বাজারে কনট্যাক্ট কম নেই আমার—”
“একদম না! সামনের ফেব্রুয়ারিতে খুকুর ফাইন্যাল পরীক্ষা! একটু তো বুঝদার হও! মেয়েটার ভবিষ্যতের কথাটা একটু ভাবো — এই সময় যে কোনো instability ওর সমস্ত preparation তছনছ করে দিতে পারে — জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় বসবে মেয়েটা—”
মাঝে মাঝে কোনো চাপানউতোরে পক্ষ নেওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। আমারও মনে হলো, মা বাবা দুজনেই তো ঠিক কথা বলছে — গোলমালটা তবে হচ্ছে কোথায়?
স্কুলে আমার পছন্দের সাবজেক্ট ছিল দুটি, বায়োলজি আর বাংলা। কেমিস্ট্রি, হিস্ট্রি, জিওগ্রাফি(বন্ধুরা বলত জ্যোগ্রাফি) তা-ও কষ্টেসৃষ্টে ম্যানেজ হয়ে যেত, কিন্তু ফিজিক্স আর ম্যাথস কিছুতেই বাগে আনা যাচ্ছিল না। আর বাগে আনা যাচ্ছিল না ইংরেজি।
ঠিক তখনি আমার স্কুলজীবনে আবির্ভূত হলেন এমন একজন শিক্ষক, আমার বোধশক্তির শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমি যাঁকে মনে রাখব। সিস্টার অ্যানড্রিয়া। আমাদের স্কুলের প্রিনসিপ্যাল এবং ক্লাস টেনের ইংলিশ টিচার।
যে ভাষাটাকে যমের মতো ভয় পেতাম, যে বিজাতীয় ভাষা আমার ভালবাসা দূরস্থান — বিন্দুমাত্র সমীহও আদায় করতে পারেনি এতদিন, যে ভাষাকে ঔপনিবেশিক শাসনের ঘৃণ্য বাইপ্রোডাক্ট বলে বিশ্বাস করে এসেছি, সিস্টারের হাত ধরে সেই ভাষারই প্রেমে পড়ে গেলাম আমি।
পাঠ্য ছিল শেকসপিয়ারের মার্চেন্ট অফ ভেনিস। ভাষার প্রতি ভালবাসায় তখন সেই বই ছেড়ে বাড়িতে মাকে লুকিয়ে পড়ছি, মায়েরই ‘complete works of shakespeare’—
আর আমার সরল মা যখন দুচোখে আমাকে ডাক্তার করার স্বপ্ন এঁকে ঠাকুরের নিত্যপূজায় ব্যস্ত, তখন আমি ডেঁপো অকালপক্কের মতো স্কুল লাইব্রেরিতে খুঁজছি চসারের ক্যান্টারবেরি টেলস বা মার্লোর ডকটর ফাউস্তাস — শেকসপিয়ারের লেখনীর উপর এঁদের কি প্রভাব, তা বুঝতে।
মা স্থানীয় লাইব্রেরির মেম্বার ছিল। বাবার অফিসের বেয়ারা ছিল প্রদীপ। তার হাতে চিরকুট লিখে পাঠিয়ে দিতো মা, আর এসে যেত পছন্দসই বাংলা বই। যদিও এর বেশিরভাগই পড়ার অনুমতি ছিল না আমার। না, বড়দের বই বলে নয় — মা বইয়ের ক্ষেত্রে ছোটদের/বড়দের বিভাজনে বিশ্বাস করতো না। বলত -“বই শুধু দু’রকমের হয়, পাঠ্য আর অপাঠ্য। হ্যাঁ, বিচার করার রুচিটা তোমাকেই তৈরি করে নিতে হবে।”
স্কুলের শেষ বছরে আমার হাতে গল্পের বই দেখলেই মা তেলেবেগুনে জ্বলে উঠত। সুতরাং, লাইব্রেরি থেকে বই এলে আমার পড়ার সুযোগ মিলত একমাত্র ছুটির দিনে, মা স্নানে গেলে। চানঘরে একটু বেশি সময় লাগত মায়ের আর আমার তখন পোয়াবারো। তবে পড়তে পড়তে বেশি একাত্ম হয়ে যাওয়া চলত না — কান খাড়া রাখতে হতো বাথরুমের ছিটকিনি খোলার আওয়াজের জন্য।
এমনি চুরি করে করেই আমার পড়া হয়ে গিয়েছিল, ন হন্যতে, দৃষ্টিপাত, মহাস্থবির জাতক, শিলালিপির মতো উপন্যাস।
স্কুলে আরো একজনকে ভীষণ ভালবাসতাম আমি। আমাদের বায়োলজির টিচার মিসেস নারঙকে।
আইসিএসই পাশ করে ইলেভেন-টুয়েলভে সায়েন্স নিয়ে পড়ে, ডাক্তার হবার স্বপ্নের যে বীজটা খুব সন্তর্পণে আমার অনিচ্ছুক মনে গেঁথে দিয়েছিল মা, তাতে বড় যত্নে জলসিঞ্চন করেছিলেন মিসেস নারঙ। ঋজুদেহ মৃদুভাষী প্রখর ব্যক্তিত্বের অধিকারিণী মিসেস নারঙকে আমরা সব ছাত্রীরাই খুব পছন্দ করতাম।
আমি মনে মনে ঠিক করেছিলাম — ধুর, মা যতই বলুক, জয়েন্ট ক্র্যাক করে ঐসব ডাক্তার ফাক্তার হওয়া হবে না আমার! মা তো লিটারেচার নিয়ে পড়তে দেবে না — আমি তাহলে বাবার মতো জুলজি নিয়ে পড়ে মিসেস নারঙের মতো বায়োলজির টিচার হবো বড় হলে।
আমাদের ফাইন্যাল পরীক্ষার পরে স্কুল ছাড়ার আগে, নিস্তব্ধ ক্লাসে মিসেস নারঙের নিচুপর্দায় গাওয়া গানটির কথাও আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমরা জনা চল্লিশেক মেয়ে স্তব্ধ হয়ে বসে আছি আর গঙ্গার হাওয়ায় ভেসে যাওয়া ক্লাসরুমে ছড়িয়ে যাচ্ছে মনকেমন করা সুর আর কথা —
তাল মিলে নদী কে জল মে
নদী মিলে সাগর মে
সাগর মিলে কৌন সা জল মে
কোই জানে নাআআআ
কোই জানে না।
১৯৮৪ সালের এপ্রিল মাস। কিছুদিন আগেই শেষ হয়েছে আমার দশম শ্রেণীর বোর্ডের পরীক্ষা, আইসিএসই।
জীবনের প্রথম ‘বড় পরীক্ষা’য় সাফল্যের আকাঙ্ক্ষায় গত দু’বছর কোথাও বেড়াতে যাইনি আমরা।
তাই বাবা যেদিন মিল থেকে ফিরে এসে বলল, দিন দশ-বারোর ছুটি ম্যানেজ করতে পেরেছে অফিস থেকে, বেড়ুন্তি মন আমার ইচ্ছে-আকাশে মেলেই দিলো ডানা।
“এবারে কোথায় যাওয়া হচ্ছে বাবা?”
“এবারে লং টুর”, মিঠে হেসে বলল বাবা, “লখনৌ। সেখান থেকে নৈনিতাল, আলমোড়া, রাণীক্ষেত, কৌসানি, আর তুই যদি যেতে চাস, তাহলে করবেট ন্যাশনাল পার্ক!”
লখনৌ স্টেশনের সৌধের মতো চূড়া আর গথিক থামগুলোর অনুপম সৌকর্য ছাড়াও উত্তরপ্রদেশের এই রাজধানী শহরটির আর দুটি জিনিস ভালো লেগেছিল আমার। সিপাহী বিদ্রোহের চিহ্ন বহন করা বৃটিশ ‘রেসিডেন্সি’-র খণ্ডহর, আর বিখ্যাত লখনৌ চিকনের কাজ। বড়া ইমামবাড়ার ভুলভুলাইয়া তত টানেনি আমাকে। ভাগ্যিস!
লখনৌ দর্শন শেষ করে আমরা গেলাম নৈনিতাল — কুমায়ুনের রাজদ্বার।
চারদিকে উত্তুঙ্গ পাহাড়ের চূড়া। মাঝে টলটলে কাকচক্ষু জলের বিশাল লেক। লেকের ধার বরাবর রাস্তা আর সেই রাস্তার পাশে, পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে, খেলনার মতো সুন্দর সব বাড়িঘর।
নৈনিতালের মতো দৃষ্টিসুখ আমার পনের বছরের জীবনে আর কোনো জায়গা দেয়নি এর আগে। প্রথম দর্শনেই শহরটার প্রেমে পড়ে গেলাম আমি।
পাহাড় আমি আগেও দেখেছি, দার্জিলিঙে। সেও হিমালয়। কিন্তু, দার্জিলিঙের পাহাড় যেন অনেক দূরের, গম্ভীর এক অচেনা মাস্টারমশাইয়ের মতো। নৈনিতালের মতো তাকে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় না। দার্জিলিং সম্ভ্রম জাগায়, আর নৈনিতাল আমন্ত্রণ জানায় তার মধ্যে হারিয়ে যেতে। আমিও যেন হারিয়ে গেলাম কখন।
লেকে ভাসছে রঙ বেরঙের পাল তোলা নৌকো, তাতে শখের বোটিং করলাম আমি একাই। আমাদের সঙ্গে ক্যামেরা ছিল না, তাই জলের ধারে ভিড় করা ক্যামেরাম্যানদের মাঝখান থেকে একটি ছেলেকে পাকড়াও করে আনল বাবা, আর আনাড়ি হাতে নাও-এর হাল ধরা আমার লাজুক হাসির একখানা ছবিও উঠে গেল দিব্যি! সাক্ষী রইল পাইনবনে ছাওয়া সবুজ পাহাড়, তার ঢালে নীল আকাশের গায়ে লাল পিতপিতে নিশান ওড়ানো নয়না দেবীর মন্দির আর বাবা-মা।
আইসিএসই-র ফল মোটামুটি ভালই হয়েছিল আমার।
গোল বাঁধল তার পরে। সেন্ট জোসেফসে ইলেভেন টুয়েলভ ছিল না। বাবার ইচ্ছে ছিল না আমাকে কলকাতার স্কুলে পড়তে পাঠানোর — মাকে বলেছিল, হুগলি মহসিন কলেজ তো কাছেই, সেখানেই পড়ুক মেয়ে।
মায়ের জেদেই কলকাতার দুটি স্কুল থেকে অ্যাডমিশনের ফর্ম তোলা হলো। গোখেল মেমোরিয়াল আর লরেটো হাউস। মায়ের প্রথম পছন্দ ছিল গোখেল স্কুল।
অ্যাডমিশন টেস্টের দিন সকালে গোখেল মেমোরিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষা শ্রীমতী মাধুরী চৌধুরীর সঙ্গে আমাদের সাক্ষাৎকারটাই আমার জীবনের ধারাকে অন্য খাতে বইয়ে দিলো।
উনি আমার মার্কশিটে একনজর চোখ বুলিয়েই বললেন, “একে আপনারা সায়েন্স স্ট্রিমে ভর্তি করার জন্য এনেছেন কেন? এ তো পুরো আর্টসের ছাত্রী।”
আমি দেখলাম, মায়ের চোয়াল শক্ত হয়ে উঠেছে। মা বলল —“আপনি আগে অ্যাডমিশন টেস্টটা তো নিন। দেখুন ও পারে কি না।”
উনি বললেন —“সে নিচ্ছি। কিন্তু আপনারা ওকে আর্টস পড়ালেই ভাল করতেন। শাইন করতে পারত।”
লরেটো আর গোখেল, দুটো অ্যাডমিশন টেস্টই ছিল একই দিনে। মায়ের মুখে একটা অদেখা জেদ দেখেছিলাম আমি। যেন আমার সায়েন্স নেওয়ার উপর মায়ের জীবনমরণ নির্ভর করছে।
বাবা মায়ের নিজেদের ইচ্ছে সন্তানদের উপর চাপিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে অনেক কথা শুনেছি পরে। বিরোধিতাও করেছি বিস্তর। কিন্তু সেই মুহূর্তে এত কিছু মনেই হয়নি আমার। মনে হওয়ার মতো বয়স হয়নি বলেই কি?
না কি জানতাম, গরিব বলে, বেহিসেবী অদূরদর্শী বাবার স্ত্রী বলে, অনেক অপমান সহ্য করা মায়ের পাশুপত অস্ত্র হতে হবে আমাকে। জানতাম, নিজের স্বপ্ন নিয়ে উড়ান দেবার স্বার্থপরতা এই মায়ের মেয়েকে মানায় না।
আমি জানতাম, এই নিষ্ঠুর, মমত্বহীন, টাকাপয়সার নিক্তিতে মানুষ মাপা পৃথিবীর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মায়ের তূণের প্রথম এবং শেষ তীর আমিই, শুধু আমি।
দুটো টেস্টের রেজাল্ট এক দিনেই বেরোলো। সন্ধেবেলা বাবা কোয়ার্টারে ফিরল মুখ শুকনো করে। গোখেলে আমার হবে না জানতাম। তাহলে কি কোনোটাতেই —
আকুল হয়ে ডাকলাম —“কোথাও হলো না, বাবা?”
“হয়েছে বাপি। গোখেল না। লরেটো। লরেটো হাউসে লিস্টে নাম উঠেছে তোর, সায়েন্স স্ট্রিমেই”—
এবার তবে কলকাতা। গঙ্গাপারের ঘরোয়া ইস্কুল — গার্গী, মিতালি, নন্দিনী, শ্রীলতাদের ছেড়ে, মিসেস দে, মিসেস নারঙ, মিসেস রায়চৌধুরীদের ছেড়ে, আমার ছাত্রীজীবনের ধ্রুবতারা সিস্টার অ্যানড্রিয়াকে ছেড়ে এবার তবে নতুন আঙিনায় পা রাখতে চললাম।
নদী মিলে সাগর মে
সাগর মিলে কৌন সা জল মে
কোই জানে না।
(ক্রমশ)