সম্ভাবনা এক। মৃত মেয়েটির “ছেলেটা”-র সঙ্গে “লাভ অ্যাফেয়ার্স” ছিল। যদি থেকে থাকে, তাহলে এই ঘটনা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে ছোটখাটো ভুল বোঝাবুঝি। প্রেমে এসব হয়ই। ওই যে বলে না, নাথিং ইজ রং ইন লাভ অ্যান্ড ওয়ার, এক্ষেত্রেও… কাজেই, প্রাথমিক কর্তব্য “লাভ অ্যাফেয়ার্স” রুল আউট করা।
সম্ভাবনা দুই। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা ছিল। অসুখ করে মারা গেছে। সেক্ষেত্রে ডাক্তারদের ভূমিকাও প্রশ্নের উর্দ্ধে নয়। স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা না করে রেফার করার চেষ্টা হয়েছিল কিনা, সেটা খতিয়ে দেখা জরুরি। প্রমাণিত হলে, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা হওয়া উচিত।
সম্ভাবনা তিন। মেয়েটি এমনি মারা গেছে। জাস্ট এমনিই। প্রেমে চোট পেয়ে বা অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার লজ্জায়। বা এই বয়সে অন্তঃসত্ত্বা হলে কন্যাশ্রীর টাকা পাবে না, এই টেনশনে। সিপিএম মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে। এক্ষেত্রে মৃতদেহটুকুও নেই, কবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, তারপরও রাজনীতি করছে!!!
বাকি যা যা লোকে বলছে, স্বাভাবিকভাবেই, সেসব ফালতু কথা। বাজে কথা। মিথ্যে কথা।
সত্যি বলতে কি, রাজ্যে এত ভালো ভালো কাজ হচ্ছে, সে নিয়ে কারও মুখে চাট্টি ভালো কথা নেই। কোথায় একটা ইঁদুর মরেছে, তাই নিয়েই হইচই।
হ্যাঁ, ঠিকই, এদিক-ওদিক আজকাল খুব ইঁদুর মরছে। বড্ডো বেশি মরছে। প্রায়ই মরছে। রেগুলার মরছে। তা মরুক গে। ইঁদুর মরাই ভালো। যা উপদ্রব। ইঁদুর যে মরছে, এটাও পজিটিভ খবর। ব্যাপারটাকে পজিটিভলি নিন।