তারপর আপনি ফেবুর ফিডে ঘুরঘুর করে দেখেছেন নানা হাইলাইটস, এর মধ্যে দু একবার মনে হয় চোখে এসেছে “#মেডিক্যাল_লড়ছে” বা “#অনশনে_মেডিক্যাল“!হয়তো “নিছক কলেজের ভিতরের ব্যাপার” মনে করে স্ক্রল করে গেছেন আপনি! তবে জানেন তো, এটা খালি কলেজের ব্যাপার না! একটা নির্বাচিত কলেজ ইউনিয়ন শুধু ছাত্রছাত্রী না, কথা বলে হসপিটালের বেহাল অবস্থা নিয়ে, emergency-তে না পাওয়া জীবনদায়ী ওষুধ নিয়ে!
আপনি শিক্ষিত, আপনি জানেন সরকারি মেডিকেলের কাট-অফ কত! তবে কেন আমাদের সবকিছুতেই দক্ষিণে ছুটতে হয়? কেন আমরা কলকাতার চিকিৎসার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারি না?
“ইউনিয়নের জন্য অনশন বাড়াবাড়ি না?” গোছের হয়তো করছেন! জানেন তো, ওরা কেউ বসতে চায়নি অনশনে, আমরা বাধ্য হয়েছি! হকের দাবি আদায়ের লড়ায়ে অতিক্রান্ত ১৫০ ঘণ্টারও বেশি! উঠে বসার ক্ষমতা হারিয়েছে অনশনকারীরা! অনেক তথাকথিত হায়ার অথরিটি এসেছেন তবে কোনো সুরাহা করে উঠতে পারেননি! গতকাল মহানগরী দেখেছে, গলি থেকে রাজপথ জুড়ে গণতান্ত্রিক ছেলে-মেয়েদের আওয়াজের প্রতিধ্বনি শুনেছে কাল তিলোত্তমা!
আপনার কাছে অনুরোধ – এগিয়ে আসুন, ওদের পাশে থাকুন! ওরা ভুখা পেটে এই ঠান্ডায় বসে আছে অনশনে! আর কতদিন? আর কতগুলো ঘণ্টা এগোলে টনক নড়বে কর্তৃপক্ষের? এটা কি আদৌ কাম্য ছিল? আপনি ভাবুন তো, ১৫০ বাদ দিন, শেষ কবে আপনি ১৫ ঘন্টা না খেয়ে থেকেছেন মনে পড়ে কি? সচেতনতা ছড়ান – কে বলতে পারে ওই অনশনে বসা ছেলেটি তো আপনার ভাই, দাদা, নাতি বা ছেলেও হতে পারে !