কোনো একজন রুগি যখন তার সমস্যা নিয়ে ডাক্তারবাবুর কাছে আসেন নিজের শারীরিক সমস্যার সমাধান হওয়াই তার প্রথম উদ্দেশ্য থাকে। সেটা যিনি ঠিকঠাক পারেন রুগিরা তার অনুগত হয়ে পড়ে। তার প্রতি বিশ্বাস জন্মে যায়। একান্ত বাধ্য না হলে তারা অন্য ডাক্তারবাবুর কাছে যেতে চান না। তবে নীরোগ হওয়া ছাড়াও রুগিরা কিন্তু মানুষ হিসেবে এবং একজন সামাজিক ব্যক্তি হিসেবে সেই ডাক্তারবাবুকে লক্ষ্য করে থাকেন। তাদের এই পর্যবেক্ষণ সহজে ধরা যায় না কিন্তু ভালোভাবে মনোযোগ দিলে তা সহজে চোখ এড়িয়েও যায় না।
যেদিন থেকে প্র্যাকটিস শুরু করেছি কত রুগিকে যে সিগারেট ছাড়তে বলেছি তার ইয়ত্তা নেই। বলতে আমার কোনো সংকোচ নেই যে এই কাজে আমি অসম্ভব রকম ব্যর্থ। আমার সাফল্যের হার খুব বেশি হলে পাঁচ শতাংশও হবে না। শীতকাল এসে গেছে। চেম্বারে শ্বাসকষ্টের অসুখে আক্রান্ত রুগিদের ভিড় সমানে বাড়তে শুরু করেছে। ষাট কি সত্তর বছরের বৃদ্ধ, তার আর কাশি দেবার ক্ষমতাও নেই ফুসফুসের শক্তি এত কমে গেছে, তবু বিড়ি খাওয়া ছাড়তে পারছেন না। দু’দিন বাদে বাদে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, অক্সিজেন নিয়ে নেবুলাইজেশন নিয়ে বাড়ি ফিরে আসছেন- আবার হাঁপ শুরু হয়ে যাচ্ছে। হাঁটতে কষ্ট, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে কষ্ট, বাজার যেতে কষ্ট, পটিতে কোঁত দিতে কষ্ট। এ এক এমন অসুখ যে এ থেকে আর ফিরে আসার জায়গা নেই। কিন্তু এরকম চরম অবস্থাতেও তিনি স্মোকিং ছাড়তে পারছেন না- এটাই সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের।
ভুল করে যদি মুখ ফসকে একবার বেরিয়ে যায়, “এবার দয়া করে সিগারেট খাওয়া ছাড়ুন। না হয় দু’দিন বাদে বাদে আর আমাকে দেখাতে আসবেন না”। সঙ্গে সঙ্গে উত্তর আসে, “না না ডাক্তারবাবু আমি তো সিগারেট খাই না। বিড়ি খাই”। তখন তাকে বোঝাতে হয় একটা বিড়ি খাওয়া ন’টা সিগারেট খাওয়ার সমান। বিড়ি খাওয়া আরও বেশি ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রেও উত্তর তৈরি। “তাহলে ডাক্তারবাবু আমি কি কষ্ট করে হলেও কয়েকটা সিগারেট খেতে পারি?” তখন আমি হাসব না কাঁদব বুঝতে পারি না।
অফিসের বড়বাবু, কর্পোরেট স্যার, থানার দারোগা- হাই প্রেসার, সুগার, কোলেস্টেরল। “দাদা, এবার স্মোকিং টা ছাড়ুন। হার্টের যা অবস্থা! এরপর তো যে কোনোদিন কার্ডিওলজিস্টের কাছে দৌড়তে হবে। আমাকে দিয়ে আর হবে না”। “স্যার খুব চেষ্টা করছি। দু প্যাকেট থেকে এক প্যাকেটে নামিয়ে এনেছি। খুব শিগগিরি ছেড়ে দেব। আসলে এত কাজের চাপ। এত ওপরতলার প্রেসার ডাক্তারবাবু। সামলাতে পারি না”। জানি উনি হয়ত ঠিকই বলছেন। তবু ডাক্তার হিসেবে আমার কাজটা তো আমাকে নিরন্তর করে যেতেই হবে। মানুষ চাইলে করতে পারে না এমন কিছু আমি বিশ্বাস করতে পারি না। এই লোকেরাই যখন বাইপাস হবার পর চূড়ান্ত আর্থিক ও শারীরিক কষ্টকর অভিজ্ঞতা নিয়ে বাড়ি ফিরবেন তখন একদিনেই স্মোকিং ছেড়ে দেবেন। সে ক্ষেত্রে আমার বলারও দরকার পড়বে না। সেটাও আমি জানি।
এই স্মোকিং থেকে যে কত কিছু হতে পারে তা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু এত সংখ্যায় মানুষ এই নেশায় আক্রান্ত যে মাঝে মাঝে ডাক্তার হয়ে আমার রুগিদের ওপর করুণা হয়। তারা কিভাবে নেশার কাছে ক্রীতদাস হয়ে গেছে। আমি নিজে যেহেতু ধূমপায়ী নই তাই সিগারেট না খেলে ঠিক কী শারীরিক কষ্ট হয় সেটা তাত্ত্বিকভাবে বুঝলেও সম্পূর্ণ অনুধাবন করা আমার পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু নিজে সিগারেট না খাওয়ায় আমি অনেক জোরের সাথে আমার রুগিদের স্মোকিং ছাড়ার কথা বলতে পারি, বোঝাতে পারি। তাতে যে বিরাট সফলতা পাই না তা তো আমি আগেই বলেছি কিন্তু আমার মনের দিক থেকে আমি অনেক স্বচ্ছ থাকতে পারি এই ভেবে যে আমি নিজেকে দিয়ে অন্তত তাদের কাছে একটা উদাহরণ হিসেবে খাড়া করতে পারছি।
আমি অনেক আগে স্টেথোস্কোপের এক পর্বে ডাক্তারবাবুদের স্মোকিং করা নিয়ে লিখেছিলাম। সেখানে ডাক্তার অরুণাচলদা মন্তব্য করেছিলেন, “ডাক্তারদের স্মোকিং করাটা অনেকটা যাজকদের ধর্ষণ করার মত ব্যাপার”। সেই সময় কেরলে ধর্ষণে অভিযুক্ত এক প্রধান যাজকের মামলা নিয়ে মিডিয়া সরগরম ছিল। সেসময় আমার মনে হয়েছিল উপমাটা হয়ত একটু বেশিই তীব্র হয়ে গেছে কিন্তু আজ মনে হয় নিজেদের সংশোধন করতে আমাদের এই তীব্র আত্মসমালোচনাই হয়ত জরুরি।
আরেক মারাত্মক নেশা মদ। এই নিয়ে আমার এই কয় বছরের ডাক্তারি জীবনে এত মর্মান্তিক অভিজ্ঞতা আছে যে তাই নিয়ে অবলীলায় একটা বই লিখে ফেলা যায়। মাত্র আঠাশ বছরের ছেলেকে ‘সিরোসিস অফ লিভারে’ মারা যেতে দেখেছি। তিন বছর তার চিকিৎসা করেছি। শেষ অবস্থায় তাকে দেখে এত মায়া হত যে ওর থেকে ভিজিট নিতাম না। একদিন বাড়ি গিয়ে ডেথ সার্টিফিকেটও লিখে দিয়ে এলাম। বাবা-মায়ের একই ছেলে। একমাত্র রোজগেরে। বুড়ো বাবা সংসার চালাতে এখন সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করে।
কত উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত সম্মানিত মানুষও এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছেন না। অনেকে চেষ্টা করছেন, অনেকে চেষ্টা করাই ছেড়ে দিয়েছেন। যারা নেশারু তাদের সবার নিজস্ব ছদ্মযুক্তি থাকে। বাজে ওজর থাকে। সেসব একই বস্তাপচা যুক্তি শুনতে শুনতে এই কয় বছরে কান পচে গেছে- তবু শুনতে হয়। তবু বলতে হয়। বলাটাই তো আমার কাজ। আমার পেশা।
“দাদা, হার্টের যা অবস্থা, ট্রাইগ্লিসারাইড যেখানে পৌঁছেছে এরপর ওষুধ দিয়েও আর কিছু করা যাবে না”।
“লিভার পচে গেছে। পেটে বুকে জল এসে গেছে। এরপর আর খেলে মৃত্যুর আগে যে কষ্ট পাবেন তাতে মনে হবে আত্মহত্যা করে মরে যাওয়াই ভালো”। এতদূর অবধি বলতে হয়েছে।
কিন্তু ভবী ভুলবার নয়। সেই শুঁড়িখানায় গুটি গুটি পায়ে সন্ধ্যেটি হলে বা সেলার থেকে বোতলটি বের করে রাতের বেলায় অথবা শীতের রাতে খোলা মাঠে মশার মধ্যে পাঁঠার মাথার চাট নিয়ে ঠিক বসে পড়বেন। এ এক রক্তস্রোতে বয়ে চলা ডোপামিনের জন্য তীব্র আর্তি। এ নিয়ে এত কাব্য, এত সাহিত্য, এত ট্র্যাজেডি, এত কমেডি, এত ‘রাতের কলকাতা শাসন করা মহাকবির গল্প’, ‘দিনের বেলা ওনার লেখার সময়, রাতটা বিলাস’- সবই তো বুঝি কিন্তু যে পরিবারের পুরুষটি রাতের বেলা মদ খেয়ে টলতে টলতে বাড়ি ফেরেন, রিক্সাওয়ালা নামিয়ে দিয়ে যায়, ড্রেনে পড়ে মাথা ফাটিয়ে ফেলেন তাদের পরিবারগুলোকে আমি নিজের চোখে ভেসে যেতে দেখেছি। ব্যাক্তিগতভাবে এই নেশাটিকে আমি যত ঘৃণা করি পৃথিবীতে আর কিছুকেই সে মাত্রায় করি না। সে ইতিহাস বড়ই পারিবারিক। পরে কখনও হয়ত আসবে। আজ থাক।
কিন্তু আমার দুর্ভাগ্য আমার পেশেন্টরা বা বন্ধুরা অনেকেই বিশ্বাস করেন না যে ডাক্তার হয়েও আমি মদ খাই না।
“আপনারা যে কনফারেন্সে যান সেখানে তো প্রচুর ভালোভালো ওয়াইন থাকে”।
“এই ঋষি, তোকে সেদিন ওই বারে বসে থাকতে দেখলাম”।
ডাক্তারবাবু অথচ একটু পান করেন না এটা যেন কিছুতেই মেলানো যায় না। এই প্রসঙ্গে আমার তারাপদ রায়ের সেই বিখ্যাত গল্পের কথা মনে পড়ে। এক লেখক ডাক্তারবাবুর কাছে গেছেন দেখাতে। ডাক্তারবাবু তার রিপোর্ট দেখে বলছেন, মানে আপনারা তো লেখক। আপনাদের তো একটু পানাহার হয়েই যায়। সেই লেখক তখন বলছেন, না খাই না। তবে আপনি কি পানাহার সাজেস্ট করছেন?
আমি বছরে একদিন খুব বেশি হলে দুই কি তিন পেগ মদ খাই। সেটা যেদিন আমরা বন্ধুরা ট্রেকিং শেষ করি সেদিন পাহাড় থেকে টি হাউসে বা হোম স্টেতে নেমে এসে আমরা সবাই একটু ‘ফুর্তি’ করি। এবছর কোভিডের জন্য ট্রেকিং হল না- তাই এ-বছরের বরাদ্দ দু’পেগ মাটি হল। ওইটুকুই। আর নিজে পান করি না বলেই মদের নেশায় ‘নেশাবন্দি’ রুগিদের আমি অনেক তীব্রভাবে আক্রমণ করতে পারি। কিন্তু স্বীকার করতে আমার দ্বিধা নেই যে স্মোকিং ছাড়ানোর ক্ষেত্রে যেটুকু সফলতা আমি পাই অ্যালকোহলের ক্ষেত্রে সেই সাফল্যের হার আরও অনেক অনেক কম।
ডাক্তারবাবুর সুস্থতা একটা অনুসরণীয় ব্যাপার। অন্যভাবে বলা যায় ডাক্তারবাবুও যে অসুস্থ হতে পারেন সেটা মানুষের কাছে অনেকটা সোনার পাথরবাটির মত ব্যাপার।
“আপনার জ্বর এসেছে? চেম্বার করবেন না? ডাক্তারবাবুদেরও জ্বর হয়?” গলায় হালকা শ্লেষ। ভাবখানা এমন আপনি নিজেকেই সুস্থ রাখতে পারছেন না আর আমাদের রাখবেন কীভাবে?
এটা খুব কঠিন সত্য কিন্তু চরম সত্য। আমরা সব ডাক্তারবাবুরাই এই শ্লেষের মধ্যে দিয়ে যাই। যদিও কোভিড এসে পরিস্থিতিকে অনেক বদলে দিয়েছে। লোকেরা জানতে পারছেন ডাক্তারবাবুরা শুধু অসুস্থই হন না তারা রোগে মারাও যান। তারা অমর নন। তাদের মতই নশ্বর মানুষ।
কথা সেটা নয়। কথা হল ডাক্তারবাবুদের তাই সুস্থ থাকতে হয়। থাকার চেষ্টা করাটা জরুরি। যিনি ডায়াবিটিসে ভুগছেন তাকে এই শীতকালে সকালে হাঁটতে বললে তার স্ত্রী বলবেন, “ওর কথা ছাড়ুন ডাক্তারবাবু। আটটার আগে লেপ ছাড়বে না। বেড টি খাবে। ও যাবে হাঁটতে?” কিন্তু এমন বহু মানুষের সাথেই সকালবেলার হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বা গরমের ভ্যাপসা সকালে যখন মর্নিং ওয়াক করতে গিয়ে দেখা হয়- তারা প্রভাবিত হন। নমস্কার বিনিময়ের পর তাদের চোখে আমার প্রতি শ্রদ্ধা দেখি। তারা ভাবেন আমাকে যিনি উপদেশ দিচ্ছেন তিনি যদি পারেন তবে আমিই বা পারব না কেন?
সুগারের রুগিরা বেশিরভাগই খেতে ভালোবাসেন। যাদের মধ্যপ্রদেশ ভারি হয়ে আসছে, বেল্ট ফেটে বেরিয়ে আসছে- তাদের মিতাহারি হওয়ার উপদেশ দেয়া দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমার চেম্বারে দেখাতে আসা রুগিরা যখন দেখেন তার মত সারাদিন বসে বসে কাজ করা ডাক্তারবাবুরও এই বয়সে মধ্যপ্রদেশ তেমন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না তারা প্রভাবিত হয়। কাউকে উপদেশ দেবার আগে আমাদের নিজেদের দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরতে লাগে। আমাদের কাজটা খুব কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। নিজেদের রোলমডেল হিসেবে তুলে ধরতে এটুকু তো আমাদের করতেই হবে।
সবশেষে যে কথাটা না বললেই নয় তা হল ডাক্তারবাবুর চেহারা ও রূপ। রূপবান ডাক্তারবাবুর চেম্বারে একটু ভিড় বেশি হওয়াটাই দস্তুর। তবে রূপ ঈশ্বরপ্রদত্ত। তা সবার থাকে না কিন্তু আমরা সবাই নিজেকে নিজেদের মত সুন্দর করে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি।
আমার এক ব্যাচমেট সুন্দরী গায়নোকোলজিস্ট আমাদের ব্যারাকপুরের নামজাদা ডাক্তার। আমাদের বন্ধুদের গ্রুপে যখন তার প্রায় প্রতিদিন বদলে যাওয়া ডিপি নিয়ে আমরা চটুল প্রশস্তি করি, তার বয়স বাড়ছেই না আর আমরা বুড়ো হয়ে যাচ্ছি বলে কান্নার ইমোজি দিই, তখন সে লিখেছিল সে হযবরল-এর শিশুটির মত হতে চায়। যাতে চল্লিশের পর তার বয়স আবার পেছনের দিকে চলতে শুরু করে।
কিন্তু তা তো হয় না, সে তো কথার কথা। আমাকে একদিন হোয়াতে লিখেছিল, না রে হৃষীকেশ বয়স তো বেড়েই যায়। তবে নিজের অল্পবয়েসি গৃহবধূ পেশেন্টদের দেখে আমার খুব খারাপ লাগে। এত অল্প বয়স অথচ ওদের নিজেদের সুন্দর করে রাখার কোনো চেষ্টাই নেই। তাই নিজেকে একটু সাজিয়ে-গুজিয়ে রাখি। এই আর কি! আমার বান্ধবীটিও তার মত করে তার রুগিদের কাছে রোলমডেল হয়ে উঠতে চেয়েছে।
আমি যখন প্রথম প্রথম চেম্বার করতাম আমার রুগিরা বলত, ডাক্তারবাবুকে কিন্তু খুব সুন্দর দেখতে। এটা আমার মাতৃ-পিতৃ ঋণ। জন্ম থেকেই আমি ‘নারীসুলভ’ মুখের অধিকারী। আবার জিনের প্রভাবেই অল্প বয়সেই বুড়োভাব এসে পড়েছে এখন। তাই যুবতীদের সেই প্রশস্তি আর কানে আসে না এখন। সুন্দরীরা আছে অথচ মুগ্ধতা নেই এটা পুরুষ হিসেবে বড়ই অবমাননার। তাই নিজেকে আমার বান্ধবীটির মত নতুন করে সাজিয়ে তোলার কিছু প্রোজেক্টে আমি হাত দিয়েছি। তা নিয়ে আর কিছুদিন পরে ধারাবাহিকভাবে লিখব।
যদিও সূচনাতেই সংশয়বাদীরা মত প্রকাশ করেছেন আমি নিশ্চই কিছু পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছি না হয় আমার এমন মতিভ্রম হবে কীভাবে? সে নিন্দুকেরা অনেক কিছুই বলে। তাদের কথা আমি ভাবি না। আমার পাঠক ও আমার প্রিয় রুগিরা কি ভাবছেন সেটাই আমার দেখার বিষয়। আমি আমার সুন্দরী রোগিনীর চোখে সেই হারিয়ে যাওয়া দৃষ্টিটা খুঁজে পাওয়ার একটু চেষ্টা করছি মাত্র। কী করি বলুন? দেহপট সনে নট সকলি হারায়। আমি ‘নট’ নই কিন্তু এই মাঝ বয়সেই একদম ‘নট’-ও হয়ে যেতে চাইছি না।
আর ওই যে বললাম আমরা তো রোল মডেল। তাই যতদিন রিল ঘুরছে ততদিন আমাকে মেক-আপ লাগিয়েই আপনাদের সামনে আসতে হবে। আমাদের র্যাম্পে অনেক চোখ, অনেক ক্যামেরা থাকে না। কিন্তু আমার রুগিদের চোখে আমিও তো হিরো। ম্যায় হুঁ হিরো। কি তাই তো নাকি?
(চলবে)
অসাধারণ। একটা লেখাতেই সব লিখবেন না। পরের লেখাটার জন্য কিছু রাখুন। দারুন দারুন। ভালো থাকবেন। আপনার সব লেখায় পড়ি।
দারুন দারুন