বিভাস ভটচাজ আগে টোলে পড়াতেন। আগে মানে অনেক আগে। এই জন্মে নয়… গত কোনও জন্মে। সেই সব জন্মে সাধনভজন যথেষ্টই ছিল। কিন্তু যথোপযুক্ত ছিল না। কাজেই শাস্ত্রমত মুক্তিলাভ হয়নি। আবার জন্ম নিতে হয়েছে।
তাতে যে বিভাসের মন খারাপ হয়েছে এমনটি নয়। তিনি বারে বারে জন্মানোর ব্যাপারটা বলতে গেলে একরকম উপভোগই করেন। পুরো মুক্তির আগে যতটুকু অভিজ্ঞ হওয়া যায় আর কী!
বহু জন্ম ধরে তিনি এটাই উপলব্ধি করেছেন, কাজ করে যাওয়াটা কোনও কাজের কথা না। অভিজ্ঞতা লাভটাই আসল লাভ। এহ বাহ্য, এই জন্মে কিন্তু জন্মে অবধি তিনি দেখছেন টোল নামে বস্তুটা অবলুপ্ত। অন্য কোথাও কাশীটাসির দিকে থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু এ দিগরে নেই। কী আর করা।
তিনি উপনিষদ, সাংখ্য, পাণিনি এই সব কঠিন বিষয় সরাসরি না পেয়ে এক আধুনিক টোলে অব্যক্ত প্রকৃতির শুদ্ধ চৈতন্যের যে মেড ইজি তারই শিক্ষা দেন ইউনিভার্সিটিতে। শৃঙ্খলা ও বিশৃঙ্খলার দ্বৈতবাদ। হাইজেনবার্গ আর কোয়ান্টাম।
যা বলছিলাম। এই গল্পটা বিভাস ঠাকুরের নয়। সত্যবতীর। সত্যবতী কে? বলি শোনো। সত্যবতীর নাম প্রথমে ছিল সত্যবান।
বলছি যখন খোলসা করেই বলি। বিভাস এমনিতে ভারি শুদ্ধ সাত্ত্বিক জীবন যাপন করেন। সত্যবাদী। প্রায় যুধিষ্ঠির। কিন্তু সেই ব্যাপারে কোনও ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট আজ অবধি নেই তাঁর। নেই মানে, জোগাড় করতে পারেননি।
সেই বাবদে মনোবেদনায় চিন্তা করতে করতে একদিন মাথায় বিদ্যুৎঝলক খেলে গেল। আরে! এতদিন তো এই অ্যাংগেলে ভেবেই দেখা হয়নি। সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরকে ওই সার্টিফিকেট দিয়েছিল কে? কার সুপারিশে স্বর্গের প্রবেশদ্বার খুলে গিয়েছিল? তার কাছ থেকেই আদায় করতে হবে।
সমস্যাটা প্রাণের বন্ধু অমিতকে বলতেই সমাধান মিলে গেল। তার পাড়ার পাহারাদার যোগানদার ফেলি এখনও প্রবলযৌবনা। ফিবছরের মত এ বছরও ছ জনকে পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে সে। তাদের একজনকে বিভাস নিয়ে যাক।
ফেলিকে জিজ্ঞেস করতে এক কথায় অনুমতি দিয়ে দিল। বিনা দ্বিধায় বলল ‘ঘেউ’। মানে, ‘যা বাছা, ইনি লোক ভালো। তায়, যদ্দুর জানি আমিষ খায়। আমার এই অমিতের মত নিরামিষ নেতানো বিস্কুট দেবে না রোজ।’ এই না বলে সদ্য চোখ ফোটা সন্তানের মুখে একটা চুমু খেল সে। যেমনটি এয়ারপোর্টে এইচ ওয়ান ভিসা পাওয়া সন্তানের কপালে ভেতরে ঢুকে যাবার আগে বিদায়চুম্বন ছোঁয়ায় তার মা।
বিভাস সেই নবজাতককে চটের থলিতে ভরে বাড়ি ফিরলেন। পাড়ার মোড় অবধি এগিয়ে দিয়ে গেল অমিত আর ফেলি। ফেলি মনে মনে বলল, ‘ঘেউ ঘেউ’। মানে, ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে’।
তো বিভাসের সাংখ্য দর্শনে দখল থাকলেও অন্য বিষয়ে দখল খুবই কম। সে তার নতুন এই গার্জিয়ান, যে তাকে সত্যনিষ্ঠ বলে সার্টিফিকেট দেবে হয় তো একদিন, আনমনে তার নাম রাখল সত্যবান।
অতীতের বহুবারের মত বিভাস সংশোধিত হল কয়েকমাস পরেই। কিন্তু তখন আর কিছু করার নেই। সত্যবান তার দখলিস্বত্ব কায়েম করে ফেলেছে ইতিমধ্যে। মনুষ্যসন্তানের হাতে খড়ির মত তার গলায়-বকলস পর্ব সমাধা করে গেছে বিভাসের ভাগ্নী মৌ। বস্তুত সেই তার মামার এই নতুন সমস্যা আবিষ্কার করেছে। সমস্যা মিটিয়েও দিয়েছে। বলেছে, ‘কুকুরটা মেয়ে। সত্যবান রাখলে মিছে কথা হবে সেটা। এই মেয়ে কুকুরের নাম তবে সত্যবতী!’
বিভাসের আপত্তি নেই। যুধিষ্ঠির যার ল্যাজ নাড়া দেখে এগিয়েছিল, সে পুরুষ না প্রকৃতি…সত্যবান না সত্যবতী কে বলে দেবে? যদিও মহাভারতের প্রাথমিক নির্দেশে ধর্মরাজের প্রতিভূ বিধায় তাকে সত্যবান ভেবে নিতে হয়, কিন্তু সত্যবতী যে সে ছিল না কে তা কি ব্যাসদেব বলেছেন নিশ্চিত করে?
যার নাম বদল হল সেই সত্যবতী কিন্তু আদৌ চিন্তিত নয় এই নাম বদলের ব্যাপারে। তার বরং চিন্তা বিভাস বাজার থেকে প্রায়ই মাংসের ছাঁট আনবে কিনা তাই নিয়ে।
সাতে পাঁচে না থাকা বিভাস কিন্তু ওই সত্যবতীর প্যাঁচে পড়েই বিপদে পড়ে গেল। সত্যবতী ওরফে সতুর জেনোটাইপ নেড়ি হলেও পরিবেশ পরিস্থিতির কারণে তার ফেনোটাইপ হয়ে গেল গ্রেহাউন্ড বা তার চাইতেও উগ্র। সে এমনকি পাড়ার দূরবর্তী বাড়িটিতেও যদি ঘড়ির অ্যলার্ম বাজে, সাড়া দিয়ে পাড়া মাতায়। এমনই সতর্ক সে।
★
তার নাম হরিপদই কিনা তা হরিপদ নিজেও ঠিক করে বলতে পারে না। তাকে মাঝেই নাম পাল্টাতে হয়। গত বছর রসুলপুরে ইদের সময় মসজিদের পাশে বসেছিল যখন ও তখন নাম নিয়েছিল, কেরামত আলি।
অনেককাল আগে ও ছিল চোর আর ডাকাতের মাঝামঝি কিছু। তারপরে এক পা কাটা পড়ল বোমার স্প্লিনটারে। জেল থেকে বেরিয়ে দেখে বউ ছেলে উধাও। গ্যাংও ভেঙে গেছে। থাকলেও বা কী! এমন প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়কে কোন দুষ্কৃতীর টিমে নেবে?
সে কাজেই তদবধি ভিখিরি। সে জেনে গেছে আসলেই ভিখিরিদের নাম থাকে না। থাকে শুধুই খিদে। এখন সে সেই খিদেকে পাশ বালিশের মতন জড়িয়ে ধরে ঘুমোয়। আর হাঁটে ক্রাচ বগলে। কোনও নামেই আপত্তি নেই তার। জেলে দু বছর থেকে সর্বধর্ম সমন্বয় শিখে ফেলেছে বেচারা।
সে যাই হোক, তার নাম এখন হরিপদ। গত মাস ছয়েক ধরে সে এই পাড়ার নবজ্যোতি ক্লাবের পাশে একটা পরিত্যক্ত ছাউনিতে থাকে। এখান থেকেই সকালে ভিক্ষেয় বেরোয়। ক্লাবের সব ছেলেরা একরকম না। কিছু আছে নেহাতই নষ্ট। সেই ছেলেরা ওকে দিয়ে ছোটোখাটো ফাইফরমাশ খাটায় রাতের দিকে। বদলে সেও ওদের উচ্ছিষ্ট পায়। কখনও চাটের শালপাতায় লেগে থাকা মাংসকুচি, হাফ খাওয়া গাঁজার পুর দেওয়া সিগারেটের টুকরো। ভাগ্য খুব ভালো হলে কখনও তরল উচ্ছিষ্ট।
★
সেই হরিপদর সঙ্গে একদিন এনকাউন্টার হল আমাদের সত্যবতীর। কারওরই দোষ না। না হরিপদর না সত্যবতীর। বিভাস একলা মানুষ। বাড়ির ভেতরে কাজে ব্যস্ত ছিল। খেয়ালই করেনি দুয়ারে হরিপদ। খেয়াল করলে অল্প কিছু দিয়ে তৎক্ষণাৎ বিদায় করত সন্দেহ নেই। এদিকে হরিপদরও মস্ত তাড়া। এক বাড়িতে বেশিক্ষণ সময় ব্যয় করার মত সময় তার হাতে নেই। সে অধৈর্যভাবে গ্রিলের গেটটা ধরে ঝাঁকুনি দিল।
ঘটনা যখন ঘটে হয় তো একলাই ঘটে। কিন্তু ঘটনা প্রবাহ? যখন ঘটে তখন পরপর ঘটে। যেন সাজানো। আজও তাইই হল। এমনিতে তালাবন্ধ থাকার কথা এই গেটের। কিন্তু কিছু আগেই এসেছিল সবজিওয়ালা বিশু। তার কাছে পাঁচশ টাকার খুচরো ছিল না বলে সে সেই নোট নিয়ে খুচরো আনতে গেছে। তাই গেটে তালা দেওয়া হয়নি। ঘরের দরজাও দেওয়া নেই একই কারণে।
ঝাঁকুনিতে গেট খুলে গেল। আর ভেতর থেকে সগর্জনে ধেয়ে এল সত্যবতী। হয় তো ঝাঁপাত না! কিন্তু হরিপদর লুঙ্গিতে লেগে ছিল গত রাত্রে ক্লাবের ছেলেদের দেওয়া উচ্ছিষ্ট মাংসের ঝোলের তীব্র সুগন্ধ। গতকালই দেবভোগ্য সোমরসের পরিত্যক্ত বোতল থেকে দু ঢোক মেরে একটু বেএক্তিয়ার হয়ে পড়েছিল এটাও স্বীকার করতেই হবে। তার হ্যাংওভারেই লুঙ্গিতে ঝোলের ব্যাপারটা খেয়াল করেনি হরিপদ। মোটমাট লোভী সত্যবতীকে ওই মাংসের গন্ধ উত্যক্ত করেছিল সন্দেহ নেই।
তীরের বেগে ঝাঁপিয়ে পড়ে খ্যাঁক করে কামড় বসাল হরিপদর পায়ে। রেগুলার ভাত মাংস খেয়ে বলতে নেই সত্যবতী গায়ে গতরে বেশ একটু ইয়েই মানে ওজনবতী। আচমকা তার ধাক্কায় হরিপদ হুড়মুড় করে পড়ে তারস্বরে চিৎকার জুড়ল। আর সেই সঙ্গে সত্যবতীর গর্জন। সবে মিলে এক গোলে হরিবোল অবস্থা। হন্তদন্ত বিভাস ঘর থেকে বেরিয়ে পুরো ন যযৌ ন তস্থৌ।
ইতিমধ্যে ফিরে এসেছে সবজির বিশু। তার হাতে আর এক জ্বলন্ত সমস্যা। পাঁচশ টাকার নোটটা নাকি জাল। তাকে ওই নোট সমেত দেখে কারা যেন বলেছে, ‘শিগগিরি প্রফেসরকে ফেরত দে গিয়ে। নইলে থানায় নিয়ে গিয়ে পুলিশ বাবুরা বাঁশ ডলা দেবে তোরে!’
বিশু ছেলেটা একটু বোকা ধরণের চালাক। ব্যাপার দেখে সে ভাবল তার বিভাসদাকেই বা পুলিশে ধরবে কেন? ধরলে ধরুক এই ভিখিরিটাকে। সে তড়িঘড়ি হরিপদকে তুলে বসিয়ে তার হাতে পাঁচশ টাকার নোটটা ধরিয়ে দিয়ে বলল, ‘নে বাপু, আর খামোখা চেঁচাসনে। এই ক্ষেতিপূরন নিয়ে বিদেয় হ দেখি’! আর বিভাসকে বলল, ‘নেন দাদা, খুব বাঁচিয়ে দিলাম আপনারে’। কীসের থেকে বাঁচাল খুলে বলল না।
বিভাস চোখ গোলগোল করে নিজের উপার্জিত পরহস্তগত নোটটার দিকে তাকিয়ে রইল। আর একজনও সবিস্ময়ে তাকিয়ে আছে নোটের দিকে। সে হল হরিপদ নিজেই। বাপরে, একটা কামড়ের এত তেজ!
*
গল্পটা এখানেই শেষ হলে আমরা খুশি হতাম। কিন্তু হল না। লোকাল গভর্নমেন্ট কথাটা তোমরা হয় তো শুনেছ, কিম্বা হয় তো শোনোনি। শুনে থাকলেও মাথা ঘামাওনি। মিউনিসিপ্যালিটি, কর্পোরেশন এইগুলোকে বলে লোকাল গভর্নমেন্ট। কিন্তু আরও এক গোছের লোকাল গভর্নমেন্ট জন্মেছে পাড়ায় পাড়ায়। সে হচ্ছে এই ক্লাবগুলি।
আগের আমলেও ছিল। কিন্তু এই জমানায় একদম লাগামছাড়া প্রতাপ তাদের। সেই ক্লাবের তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছে বিভাসকে। বিচার হবে তার। ফরিয়াদি হরিপদ। অভিযোগ গুরুতর। কুকুরের কামড়ের পর তাকে নাকি জাল নোট ধরিয়েছেন বিভাস।
এই পর্যায়ে এসে বিভাস বলবার চেষ্টা করলেন, ‘আমি দিইনি, বিশু দিয়েছে ভুল করে।’
এ কথা বলতেই হরিপদর উকিল নবকেষ্ট ভৌমিক, যে কিনা ক্লাবের রাত পার্টির চেয়ারম্যান, বলল, ‘ও বিশু আপনার সাক্ষী? ওরে কে আছিস, সবজি বিশুকে ডেকে আন দেখি!’
বিশু হাজির হবার পর বোঝা গেল, সে শুধু সাক্ষী নয়, সে বিভাসের উকিলও বটে! হাতজোড় করে বলল, ‘আজ্ঞে ওই জাল নোট আমিই দিয়েছি। বিভাসদা অমন অধর্মের কাজ কখনওই করবে না। আমি দিয়েছি বটে কিন্তু আমিও অন্যায় করিনি কিছু।’
তার প্রত্যয় দেখে নবকেষ্ট কেমন যেন ঘাবড়ে গেল।
এই বার আসরে নামলেন ক্লাবের প্রেসিডেন্ট হরকুমার। তিনি আজকের বিচার সভায় প্রধান বিচারপতি। ‘জাল নোট ঠেকিয়ে ক্ষতিপূরণ অন্যায় নয় বলছিস?’
‘আজ্ঞে হ্যাঁ ছার! কোন্নো অন্যায় করিনিকো। ওই হরিপদ কি বলেছে মুখ ফুটে ওর কোনও কিছু চাওয়ারই মুখ নেই?’
‘কেন? কেন? কারও বাড়িতে গিয়ে গ্রিল ঝাঁকিয়ে ভিক্ষে চাইলে তাকে কুত্তার কামড় খাওয়াতে হবে? এটাই কি সভ্য লোকের করণীয়? বলি এই শহরটা ভদ্রলোকের শহর নাকি?’ এতক্ষণ ভদ্রভাষায় কথা বলে হাঁপাচ্ছেন হরকুমার।
এইবারে তার তুরুপের তাস বার করল বিভাসের উকিল কাম সাক্ষী বিশু। ‘হরিপদকে ওর কামড় খাওয়া পা দেখাতে বলুন দেখি। ওর এক পা তো কাঠের! সেই কাঠের পায়ে কামড়েছে বিভাসদার কুত্তা! কাঠের পায়ের কামড়ে জাল নোট ছাড়া আর কোনও ক্ষেতিপূরণ হয়? আপনারাই বলুন!’
এই না শুনে হুঙ্কার দিয়ে উঠলেন লোকাল বিচারপতি। লোকাল আদালতে রায় দিতে দেরি করেন না তিনি। ‘ওঃ, এই সামান্য ব্যাপার। না না, ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে। ওই পাঁচশ টাকাই। তবে সেটা পেতে গেলে, তার জন্য আসল পায়ে কামড় খেতে হবে হরিপদকে। বিভাস মাস্টারের কুত্তা ওর ভালো পায়ে কামড়াবে, সে পায়ের মাংসে দাঁত বসাবে… ব্যাস তার পরেই হাতে হাতে নগদ পাঁচশ টাকা ওকে দিয়ে দেবে, বুঝেছ মাস্টার?
কী করা? ঘাড় নেড়ে সায় দিলেন বিভাস ভটচাজ। তাঁর ডবল শোক। একে তো কড়কড়ে একটা নোট জাল প্রমাণিত হয়ে নষ্ট। আর একটাও যাবার বিধান জুটল। একুনে হাজার টাকার দণ্ড। নাঃ, সত্যের কোনও মর্যাদাই নেই এই কলিযুগে। দ্বিতীয় শোকটা তীব্রতর। তাঁর সাধের সারমেয় সত্যবতীকে সবার মাঝে কুত্তা বলে ডেকেছে অলম্বুষ নির্বোধেরা।
সব শেষ খবর পাওয়া অবধি, বিভাস স্যারকে জরিমানার টাকাটা দিতে হয়নি।
সজ্ঞানে কুকুরের কামড় খাবার গাটস নেই হরিপদর। সে শুনেছে জলাতঙ্ক হলে কেউ বাঁচে না।
পালিয়েছে হরিপদ। সম্ভবত সে আবারও কেরামত আলি হয়েছে রসুলপুর মসজিদের সামনের গাছতলায়।
★