সকাল সকাল এই ছবিটা দেখে মনটা ভালো হয়ে গেল। অনেকের কথা মনে পড়লো। তাদের মধ্যে কেউ নেই, কেউ আছেন কিন্তু যোগাযোগ নেই। সেদিন এক ‘আণ্টি’-কে মেসেজে তাঁর অসুখের বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তর দিয়ে,সব কিছু বলার পর তিনি বললেন, তুই ছোটোবেলা থেকেই এই বানানটা ভুল করিস, আজও শিখলি না। ওনারা মনে করিয়ে দেন, আমরা ছোটো ছিলাম, বা এখনো বড়ো হইনি।
আমাদের বাড়িতে গৃহশিক্ষকদের মিষ্টি দেওয়ার চল ছিল। তার মধ্যে একটা স্যারের আর একটা আমাদের। পড়া শেষ হলে স্যারের ব্যাগটা নিয়ে গলি অবধি এগিয়ে দিতাম। তখন আর একটা অলিখিত নিয়ম ছিল ছাত্রের সামনে শিক্ষককে মাইনে দেওয়া হতো না। বাবা বা মা কখন আলাদা করে স্যারকে দিতেন আমরা জানতেও পারতাম না।
একজনের কথা বিশেষ ভাবে মনে পড়লো। অনিলবাবু স্যার। প্রতি জন্মদিনে একটা করে বই আর চিঠি দিতেন। চিঠির শেষ লাইনে লেখা থাকতো, মানুষ হও।
ছাত্র শিক্ষকের এই মধুর সম্পর্ক অমলিন থাকুক।