স্বজন গেছেন তিনশো জন,
আহত প্রায় এক লাখে,
তবুও এই যু্দ্ধে আজ,
রাতের মতো একলা কে?
একলা নার্স চিকিৎসক,
আয়ামাসি, ওয়ার্ডবয়,
লক্ষ কথা নায়ক নেতার
তাঁদের জন্য ওয়ার্ড নয়।
ওয়ারিয়র নাম দিয়েছেন
ফ্রন্টলাইনের যুদ্ধতে,
নাম কি পারে এই মারীতে
পরিস্থিতি শুধরোতে?
মাস্ক নিয়ে কেউ বলেন কই.
আটকাতে জ্বর কোনটা ঠিক
মুখ চাপাতেই কাজ হয়ে যায়
তেমনতর ভাবগতিক।
কাপড় দিয়ে তিন ফালি,
মুখের ওপর বিজ্ঞাপন,
যুদ্ধে কি কেউ জিততে পারে
অস্ত্রখানাই ভুল যখন?
মানতে বলেন দূরত্ব,
মানার উপায় দেখান না,
উপায় ভাবার দায়টা হুজুর
নাগরিকের একার না।
কেমন করে হয় বাজার,
গা বাঁচিয়ে দূর থেকে,
কেউ এসে তা দেখিয়ে দিলে
মানতো সেটা প্রত্যেকে।
সমস্যাটা এই হুজুর,
আমরা কেবল ভোটের মই,
বাস অটো আর ভিড় বাজারে
আপনারা আর জোটেন কই?
গাড়ির ওপর বিকন আজ
তেল ড্রাইভার সরকারী
কোন নেতা আর কেনেন বলুন
বাজার গিয়ে তরকারি?
কাজেই করেন যা হুকুম,
একটিও নয় প্র্যাকটিকাল
স্বভাবতই দেশ জুড়ে লাখ
কোভিড আনার কাটছে খাল।
দেখেন যদি দোকানপাট
লকডাউনের আগের দিন
দেখতে পেতেন প্রবল ভিড়ে
ছোঁয়াছুঁয়ি বলগাহীন।
স্টেজ ফোরে সব বন্ধ করে
জো নেই আর কাজ হবার
ঠিক মুখোশের ঠিক পরাটাই
বাঁচার উপায় আজ সবার।
আপনারা তা বোঝেন না,
কি আর করা অতঃপর,
ভুল মুখোশের ভুল পরাতে
পাড়ায় পাড়ায় কোভিড জ্বর।
এ শত্রু যে বাড়লো আজ,
সে দায় হুজুর আপনাদের
দুধকলাতে পোষেন যারা
ছোবল দেবেই সাপ তাদের।
হাসপাতালে জ্বরজোয়ার
আপনাদের আর কি হুজুর
ভোটের সময় ছাড়া থাকেন
ভোটার থেকে অনেক দূর।
কিন্তু মরি আমরা আজ
যুদ্ধ করার চেষ্টাতে,
হুজুররা হায় দেখেন কই
এই মারী হয় শেষ যাতে।
গেছেন চলে তিনশো জন,
রোজ আরো নাম হচ্ছে যোগ
এমন করেই মরবে সেনা
বাঘের ঘরেই যখন ঘোগ।
ওয়ারিয়র কেউ কিছু নই,
চাপিয়ে দেওয়া এ দুর্ভোগ।
Awesome