গতকাল পাথরপ্রতিমার ছোট রাক্ষসখালির পর আজ দুটি স্বাস্থ্য শিবির আয়োজিত হল SSU-WBDF-এর মেডিকেল টিমের উদ্যোগে।
একটি ক্যাম্প হল মৌসুনি দ্বীপের বালিয়াড়া অঞ্চলে। কলকাতা থেকে সপ্তাহান্তে বেড়াতে আসার জায়গা মৌসুনিকে দেখলে চেনার উপায় নেই এখন। আম্ফানের এতদিন পরেও এলাকায় জলমগ্ন থাকার ছাপ স্পষ্ট।
এখানে স্বাস্থ্যশিবির হয় নদী মোহনার কাছে। চর্মরোগ, পেটের রোগ, আঘাত ছাড়াও বিভিন্ন দীর্ঘদিনের অসুখের রোগীরা এলেন। মোট ১০২ জন রোগী দেখা হল। অন্য ধরনের একটা ব্যাপার দেখা গেল। আরো অনেক রোগী নাকি আসতেন, এই ভীতিতে আসেন নি যে জ্বর সর্দি কাশি হলে তাঁদের হয়তো আমরা করোনা সাসপেক্ট হিসেবে কোথাও ‘তুলে নিয়ে যাব’।
দ্বিতীয় ক্যাম্পটি হল নামখানার মাধবগঞ্জ এলাকায়, হেলেন ক্লোজারের কাছে। রোগীর সংখ্যা ১১২। এখানে মূলত ক্রনিক রোগীর সংখ্যাই বেশি। লকডাউনের কারণে এবং তারপর আম্ফানের কবলে পড়ার ফলে তাঁরা দীর্ঘদিন চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন না৷
এই দুই জায়গা মিলিয়ে আমাদের সহযোগিতায় যাঁরা ছিলেন, অর্থাৎ আম্ফান রিলিফ নেটওয়ার্ক-এর সাথীরা মোট প্রায় ৪৫০ দুর্গত পরিবারকে অত্যাবশক খাদ্যদ্রব্য (ডাল, চিঁড়ে, আলু, পেঁয়াজ, তেল), সাবান, টর্চ, স্যানিটারি ন্যাপকিন; বাচ্চাদের খেলনা, ১০০ পরিবার যাঁদের ঘরের চাল উড়ে গেছে তাঁদের ত্রিপল দেন।
স্বাস্থ্য শিবিরের টিমে ছিল ডা দেবাশিস হালদার, বুবাই মন্ডল, সৌমদীপ রক্ষিত, আপন সামন্ত, মোনালিসা ঘোষ (নার্স) এবং অডাক্তার ভলান্টিয়ার প্রিয়স্মিতা, শ্রেয়া, অনিমেষ ও স্থানীয় কিছু সংগঠক।