দুই যুগ আগের সেই যৌবনবতী তিস্তা আজ আর নেই। তার বুক চিরে তৈরী হয়েছে ব্যারেজ। শুষ্ক বুকে চর পড়ছে। ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে তার কটাক্ষ বিদ্যুৎ। পাহাড় ফুঁড়ে তৈরী হচ্ছে টানেল, সেবক-রংপো রেললাইন। পাহাড়ের কোলে, ঝোরার জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকা লাজুক রাম্ভীবাজার আজ ঘিঞ্জি ছোট শহর।রূপসী পাহাড়ের আঁকেবাকে গজিয়ে ঊঠেছে দানবীয় পেট্রোল পাম্প।
প্রায় ছয় বছর আগে শেষ এসেছিলাম রাম্ভী। তারপর সিকি শতাব্দীর স্মৃতি হাতড়ে লিখে ফেলেছিলাম ‘তিস্তাপারের হাসপাতালে’। সেসব-ও রইল পিছনে পড়ে।
আজ বিশেষ কাজে গেলাম ডুয়ার্স ছুঁয়ে মংপং, সেবক, কালীঝোরা, লোহাপুল, রাম্ভীবাজার। তারপর ভালুকখোপের তীব্র চড়াই রাস্তা বেয়ে রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত মংপু ছুঁয়ে, পেশক- জোড়বাংলো-ঘুম হয়ে আবার দার্জিলিং।
পাহাড়ের উন্নতি হোক। কিন্তু এভাবে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে নয়। এর পরিণতি তো আমরা সম্প্রতি দেখেছি। বারবার ভুল না করে আসুন প্রকৃতির সাথে বন্ধুত্ব পাতাই।