মৃত্তিকা সন্দেশ খায় না ।
সন্দেশ অপচয় চায় না।
তবু কেন প্রতিমাকে ,
গুঁজে দিয়ে ঠোঁটফাঁকে,
কদাকার করো মা’র মুখ গো,
বিদায়ের আচারে ওটাই কি মুখ্য?
প্রতিমা তো প্রতি মা’য়ে স্থিত,
মা’কে যদি ওই ভাবে দিতো
ঠুসে মুখে সন্দেশ কেউ এসে বাড়ি
নির্ঘাত সে তখন গালি খেতো ভারী,
নোংরা যে করছো আনন.
দেবী বুঝি ততটা মা নন?
প্রতিমা পারে না পেতে স্বাদ,
তবু নয় মিঠাইরা বাদ,
প্রতিযোগিতায় তাল ঠুকে.
গুঁজে দাও জোরে নাকে মুখে,
ভাসানে আঁতকে লোকে দেখে,
সঙ হেন সন্দেশ মেখে
মাটির প্রতিমাটির মা-রূপ
স্বরূপে নেই আর,
যাওয়ার আগেই এ কি হীন ব্যবহার,
এতদিন ধরে যাকে যত্নে লালন ,
এ ভাবে নোংরা করে দেবে বিসর্জন?
খাওয়াতে চাইলে মা’কে দাও না,
আশেপাশে দেখতে কি পাও না?
অদূরে দাঁড়ানো ওই বাচ্চার দল,
ছেঁড়াফাটা ফ্রক পরা, প্যান্ট ঢলঢল,
হাঘর না-ঘর পেটে হাঁ-করা খিদে,
কুড়িয়ে ছিনিয়ে খায় যেমন সুবিধে,
ত্রিনয়ন না থাকুক, ওই মুখে মা,
এত কিছু জানো আর এটা জানো না?
মৃত্তিকা সন্দেশ খায় না।
সন্দেশ অপচয় চায় না।
যারা খায়, তারা সেটা পায় না।
এ হিসেব মেলানোটা তোমারও কি দায় না?