তিরিশটা শহর ভিখারিশূন্য হবে নাকি।
বেশ বেশ। এগোচ্ছে তার মানে দেশ।
সকলের হাতে কাজ, সব ঘরে রোজগার,
সকলের পাতে ভাত, থালা ভরে রোজকার..
আহা .. করবে কে আর বলো ভিক্ষা তখন?
সব শিশুমগজেই শিক্ষা তখন… কি ভালো কি ভালো,
তিরিশটা শহর হবে ভিখারিবিহীন..
এই খবরে জানালো।
আরে দাঁড়াও দাঁড়াও! মানুষের ওপরে ইনভেস্ট করা,
লাভ কম পায়।
বহু আগে হয়ে গেছে সেই টেস্ট করা,
খেতে পেলে শুতে চায় লোক,
বদলালে অভাব-নরক.
মর্ত্যে থামে না ওরা, স্বর্গের দাবী করে বসে,
‘আগামীতে ভালো হবে’ শুনে আর থাকবে না বশে,
আজ কেন আরো ভালো নয়,
সে দাবী নিয়ে তারা সোচ্চার হয়।
তাছাড়া, এত কাজ মিলবে কোথায়?
কর্মবিহীন আর ধর্মে বিলীন হওয়া এ মরাসোঁতায়,
যতই ঘটা করে হতে থাক রোজগার-মেলা,
পেট ভরে খেতে পাবে সক্কলে দিনে দুইবেলা,
সে স্বপ্নচিঠি শুধু ভোটকালে দেয় নানা প্রতীক-পিওন,
চতুর্থ অর্থনীতিটি যতই সীমানা ছুঁক পাঁচ ট্রিলিয়ন,
জন-প্রতি রোজগার দুশো চারে একশো সাঁইতিরিশ,
কুচো মাছ এইখানে না খেয়ে মরে,
ভারত সাগরে শুধু খেলে বিগ ফিশ।
এ হেন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে ভিক্ষা-মুক্তি?
যদি হয় প্রাক-নির্বাচনী খেয়ালী কল্প-উক্তি,
তবে ঠিক আছে।
আমরা অনেক গরু দেখেছি চড়তে কত গাছে!
যদি বাস্তব হয়, তাহলে তো একটাই ভয়,
একমাত্র উপায় আইনত নিষিদ্ধ করে
ভিখিরি না ঢোকে যেন সেসব শহরে,
তার ব্যবস্থা করা,
ভিক্ষের বাটি কেড়ে পরাতে হবেই সেই হাতে হাতকড়া।
তাহলে সে লোক বসে জেলে ভাত খাবে,
অথবা তিরিশ বাদে অন্য শহর-গ্রামে যাবে,
পেটে খিদে,
দেশ থেকে সে ,আর তার থেকে দেশ বলো কোথায় পালাবে,
অন্য শহরে গিয়ে অগুন্তি ভিখারির সংখ্যা বাড়াবে।
তাদের তখন বলো কোথায় তাড়াবে?