যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক। অল্পবয়সী ঝলমলে একটা মুখ, যে মুখ অসম্ভব প্রাণবন্ত – প্রাণশক্তিতে ভরপুর – তার চলে যাওয়ার অভিঘাত আরও বেশি।
তার পরও একটু ফাঁকা ফাঁকা লাগছিল। তবে কি চিকিৎসকের তরফে কোনও ভুল – কোনও ইচ্ছাকৃত গাফিলতি – বা স্রেফ অপদার্থতা – এসব ছাড়াই একটা মৃত্যু সম্ভব হয়ে উঠল এই এগিয়ে থাকা বাংলায়? এ কেমন আশ্চর্য কথা!!
নাহ্, দেরিতে হলেও স্বস্তি এলো। বেটার লেট দ্যান নেভার।
অবশেষে জানা গিয়েছে, স্রেফ একজন চিকিৎসকের কারণেই মেয়েটা বেঘোরে মারা গেল। ক্যানসার – স্টেজ ফোর ক্যানসার – চিকিৎসার পর ফিরে আসা ক্যানসার – মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ – হার্ট অ্যাটাক – এসবের চাইতেও বড় ঘাতক হামেশাই উপস্থিত এই বঙ্গদেশে। হ্যাঁ, চিকিৎসক সমাজের কথা বলছি। দাউদ ইব্রাহিম বা ওসামা বিন লাদেনের চাইতেও বড় ক্রিমিনাল – বঙ্গদেশের ডাক্তাররা।
এখনও অপরাধীর নাম জানা যায়নি।
শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিককুলের কাছে অনুরোধ, অতি দ্রুত সংশ্লিষ্ট ডাক্তারবাবুর নাম প্রকাশ্যে আনুন এবং অবিলম্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় খাপ বসিয়ে ফেলুন।
উদ্যোগী মানুষদের কাছে বাড়তি প্রত্যাশা, আপনারা কি হাত থাকতে মুখের কথায় সময়ের বেকার অপচয় করবেন!!
পাড়ায় মেডিকেল কলেজ, দুয়ারে ডাক্তার, ফেসবুকে সর্বেসর্বা বিচারক জ্ঞানীগুণী বিশিষ্টজন আর ঘরে-হাসপাতালে-চেম্বারে মারমুখী পাব্লিক – রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা তরতর করে এগোচ্ছে। আর সমস্যা কিছু হলে – মাথার উপরে ঈশ্বর ইত্যাদি কিছু আছেন কিনা নিশ্চিত নই, কিন্তু তাঁর কিছু নিচে যে হাতে মাথা কাটার জন্য ‘তিনি’ আছেন, সে তো বলাই বাহুল্য।