চার পাশের দেওয়ালগুলো স্বচ্ছ করে দিয়ে
কিছু কিছু মুখ আমার একাকীত্বের ভেতর
বাসা বাঁধতে চাইছে
কিছু কিছু গলার স্বর ঢুকে পড়ছে
আমার নিস্তব্ধতায়
এই সব পাওনাদারদের, এই সমস্ত ঋণপ্রত্যাশীদের
ঘরে আমি ডাকিনি
ঘর বলতে তো এই,
দুচারখানা বই, প্রাতরাশে ফল ফুলুরি
ঘুমোলে ছেঁড়াখোঁড়া স্বপ্ন, জাগলে আশাভরা হাহুতাশ
নিছকই ডালভাত
সপ্তাহে দুদিন আমিষ তাও আবার পয়সায় কুলোলে
আজ অবধি সেই বিস্মিত শিশুটি বড় হল না।
শুধু টিলায় দাঁড়ালে
সামনের দিগন্ত কাছে চলে এল
পেছনের দিগন্ত দূরে বিলীয়মান
উল্টোমুখ ঘুরে দাঁড়ালেই যেন ইতিহাস বদলে যাবে
সামনের মোড়ে তেলেভাজার দোকানটা পেরোলে
স্বপ্নের ভেতর থেকে বেরোনো বড় রাস্তাটা
আচমকা বাঁক নিয়ে শ্মশানের দিকে চলে গেছে
আমি রাস্তাটাকে বইছি,
নাকি সেই বইছে আমাকে, এই সব ভাবতে ভাবতে
নতুন নতুন ডালপালা হরদম বেরোচ্ছে রাস্তারও
ফিসফাস হাসিমস্করায়
রাস্তারা কেউ কেউ নির্বাসনে যাচ্ছে
যে কোনও একজনের সঙ্গে চলে গেলে হয়।
★