আমাদের সেই আড্ডাগুলো দিয়ে নিতে হবে, যা অনেকদিন ধরে পেন্ডিং। সেইসব দেখাসাক্ষাৎ হইচই হুল্লোড়, বা ওরকম কিছু নয়, স্রেফ একান্তে বসে কিছু কথাবার্তা, মাঝেমধ্যে ফোনের মেসেজ চেক করে নেওয়া – এসব কাজ আর ফেলে রাখাটা ঠিক হবে না একেবারেই। সময় ফুরিয়ে আসছে – দ্রুত নাকি মন্থর, সে আপনার বিচার-বিবেচনার উপর নির্ভর করছে অবশ্যই – কিন্তু ফুরিয়ে আসছে নিশ্চিত।
সেই কথাগুলোও বলে নেওয়া জরুরি, যেগুলো বলা হলো না বলে আক্ষেপ থেকে যাবার সম্ভাবনা। যাবার সময় আসি বলাই দস্তুর, কিন্তু সত্যিসত্যি তো ফিরে আসা হয় না।
নতুন বছর। নতুন বলতে, সিঁড়িগুলোর প্রতি সসম্ভ্রম দূরত্ব রাখার ভাবনাটা আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়া। মাঝেমধ্যে আরও একটু উপরে ওঠার যে লোভ, তা এড়িয়ে গিয়ে আরও যেন অলস হয়ে উঠতে পারি, এটুকুই।
চাই বা না চাই, উপরে তো যেতে হবেই একদিন না একদিন। আপাতত নিচেই আরেকটু সুন্দর করে বেঁচে নিই।
আর যা বলছিলাম, সেইসব আড্ডাগুলো, সেইসব কথাগুলো…
শুধুই বলা নয়, আরেকটু শোনার কান জেগে উঠতে পারে যেন। প্রকৃতির নিয়মে একখানা মুখ আর দুখানা কান পেয়েইছি যখন, কানের সদ্ব্যবহার করতে শিখি যেন।
আর বিবর্তনের নিয়ম মেনে দুপায়ে হাঁটতে হাঁটতে মাথাটা যখন উপরে রাখার অভ্যেস হয়েই গিয়েছে – এ বিবর্তন সুবিধেজনক অভ্যেস নয় অবশ্যই – তবু, আর কিছু না হোক, স্রেফ অভ্যেসবশতই, মাথাটা উপরে থাক।
নতুন এই বছরের আয়ু তো মাত্র একটা বছরই (শিব্রাম উবাচ), নিজের কাছে এর বেশি চাওয়াটা দুহাজার তেইশ বা আমি স্বয়ং, উভয়ের পক্ষেই বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে।
অতএব, চাহিদা সামান্যই। খুব দেরি হয়ে যাবার আগেই আরেকটু রাস্তা চলে নিতে চাইছি, কোথাও পৌঁছাতে না চেয়েও।
অলসের পক্ষে আরও খানিক আলস্যের যাচ্ঞার বিপ্রতীপ কি এই চাহিদা… রেজোল্যুশন বলতে এই সংশয়টুকু অক্ষুণ্ণ থাক।
ছবি – প্রদীপ রক্ষিত