জাতির সামনে আপাতত প্রশ্ন এই, রাত্তির নটার সময় মোমবাতি জ্বালা হবে, নাকি হবে না। না, মোমবাতিই কম্পালসারি, এমন তো নয় – প্রদীপ (যাকে দিয়া বললে ফ্লেভারটা বেটার আসে), এমনকি মোবাইলের টর্চও – তবে, মোমবাতিটাকেই সবাই পাখির চোখ করেছেন।
স্বয়ং মোদিজি জাতির উদ্দেশে ভিডিও বার্তায় জাতিকে একতার সুরে বাঁধতে মোমবাতি জ্বালানোর কথা বলেছেন – হ্যাঁ, মোদিজিই বললাম, কেননা জাস্ট প্রধানমন্ত্রী বললে নির্মিত মোদি-ফেনোমেননের কিছুই ধরা যাবে না – সলিডারিটি দেখানোর জন্যে আমরা মোমবাতিটুকুও জ্বালাতে পারব না?
মোদিজির ভক্তসম্প্রদায়ের মধ্যে দুধরণের সমর্থক থাকেন – একদল চরম – যাঁরা সিদ্ধান্তের পেছনে জ্যোতিষ গুঁজে ব্যাপারটাকে যথাসম্ভব দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের অনেকে অমুক নক্ষত্রের সাথে তমুক যোগের কথা বলছেন – অনেকে বলছেন রাত্তির নটা, নয় মিনিট, লকডাউন শেষ হওয়ার ন’দিন বাকি, এই নয়ের মাহাত্ম্যেই করোনা একেবারে ল্যাজেগোবরে হয়ে যাবে – নয় নাকি মঙ্গলগ্রহের ব্যাপার, অতএব জাতির মঙ্গল – এঁদের একাংশ আবার বিজ্ঞানের ঠেকনা দিয়ে জ্যোতিষকে বাড়তি ভ্যালিডিটি দিতে গিয়ে একাবারে নাসা-টাসা এনে ফেলছেন। অনেকে তো থার্মোডায়নামিক্স দিয়েও মোমবাতির পথে করোনা ভ্যানিশের তত্ত্ব নামিয়ে দিয়েছেন। খাতায়কলমে শিক্ষিত হলেই যে এসবে বিশ্বাস করা যাবে না, এমন নিশ্চয়তা নেই – কেননা, দেশে ডাক্তারদের সর্ববৃহৎ সংগঠন – হ্যাঁ, সেই ডাক্তাররা, যাঁরা নিজেদের সায়েন্টিফিক মেডিসিনের একমাত্র ঠিকাদার বলে জোর গলায় বিশ্বাস করেন, তাঁদের সর্ববৃহৎ সংগঠন আইএমএ-র প্রাক্তন হর্তাকর্তা এমন তত্ত্বে আস্থা রেখেছেন – এবং সেই আস্থার কথা প্রচারও করছেন।
এঁদের নিয়ে কথা বাড়িয়ে লাভ নেই – নীরদ সি চৌধুরীর ভাষা ধার করতে হলে বলতে হয়, এনারা তাঁদের গুরুদেবের “পায়ু-নিঃসৃত বায়ুতেও গোলাপের গন্ধ পান” – এনারাই জনতা কার্ফ্যুর দিন একদিনের কার্ফ্যু দিয়েই কীভাবে করোনা ফিনিশ হয়ে যাবে, তার “বিজ্ঞানসম্মত” ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন – সেই কার্ফ্যু বাড়তে বাড়তে যখন তিন সপ্তাহে ঠেকল (এবং আরো বাড়তে পারে), তখনও প্রশ্ন করেননি – সেকি, একদিনেই তো কাজ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল!!
কিন্তু, কথাটা দ্বিতীয় দলের যুক্তিক্রম নিয়ে। এঁরা ভারী নম্র স্বভাবের – মোদিজীর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন, কেননা দেশের ক্রাইসিসের মুহূর্তে দেশের ঐক্য বাড়ানো জরুরী, দেশের প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকা জরুরী – অন্তত প্রকাশ্যত সেই যুক্তিই দিয়ে থাকেন – বাকিদের বলেন, আপনার ইচ্ছে না করলে মোমবাতি জ্বালবেন না, কিন্তু মোদিজী কেন বললেন সেটাও তো বুঝুন!! ভারী বিনয়ের সাথে এনারা বলেন, এই একা একা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার মুহূর্তে, দেশের সব নাগরিকের মধ্যে সলিডারিটির বোধ আনতে এমন অসামান্য কৌশলটি তো বুঝুন। শুধু এবম্বিধ যুক্তিক্রমে অসম্মত হওয়ার অর্থ, আপনি একেবারে দেশদ্রোহী না হলেও, এনাদের চোখে অন্তত আপনার সাচ্চা দেশপ্রেমে প্রচুর খাদ।
মনে রাখুন, এই বিনয়ী ভক্তকুলের উদ্দেশ্য খুবই মহৎ, নিঃসন্দেহে!! শুধু সরল মনে এই প্রশ্নের উত্তর মেলে না,,যে, দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পেছনে একটি বিশেষ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের দিকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে লাগাতার আঙুল তুলে চলেছেন মোদিভক্তদের একাংশ, সেও নিশ্চয়ই সলিডারিটি বাড়ানোর উদ্দেশে??
আর, সলিডারিটি ঠিক কীসের জন্যে, বলবেন? আমরা সবাই এককাট্টা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে – এইজন্যেই তো? পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল মাথায় সংসার চাপিয়ে চলেছেন যাঁরা – আপনার-আমার ফ্ল্যাটে বসে আলো নেভানোর সলিডারিটির ছবিতে তাঁরা কোথায়!!
কিন্তু, এই প্রশ্ন মূলত রেটরিক-এর। কোনো সলিডারিটিই শ্রেণীনির্বিশেষ হয় না – আমি-আপনি-আম্বানি-চাওয়ালা (মানে, যাঁরা এখনও প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওঠেননি) সব্বার সলিডারিটি আদৌ সম্ভবপর কিনা, সেটা খুব বেসিক প্রশ্ন।
তারও আগে প্রশ্ন – সলিডারিটি দেখানোর এটাই শ্রেষ্ঠ উপায় কিনা। বা, একতা দেখানোর এই পদ্ধতি সম্পূর্ণ নির্দোষ কিনা, অথবা এই পদ্ধতিতে সলিডারিটি দেখানোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিছু আছে কিনা। কিম্বা, এই টোকেন সলিডারিটির পেছনে গোপন এজেন্ডা কিছু লুকিয়ে আছে কিনা।
মনে রাখা যাক, করোনার বিরুদ্ধে এই লড়াইটা সামনে দাঁড়িয়ে লড়ছেন যাঁরা, তাঁরা চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী – এবং ঠিক দু’সপ্তাহ আগেই, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের উদ্দেশে শাঁখ-কাঁসর-ঘণ্টা-থালা বাজানোর যে অনুরোধ মোদিজী রেখেছিলেন, বেশ একটা বড় অংশের মানুষ তাতে সোৎসাহ সাড়া দিয়েছিলেন।
কিন্তু, এধরণের টোকেন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ, ভালোবাসার প্রতীকী প্রকাশের মুশকিল এই, যে – প্রতীকটুকু যথাসাধ্য উৎসাহ সহযোগে পালন করলে সেটাকেই যথেষ্ট বলে বোধ হয় – মুখ্য কর্তব্য বিষয়ে খেয়াল বা দায়বোধ, কিছুই জন্মায় না।
করোনা-মহামারীর বাজারে, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্দেশে গান বা বাজনা বা ওধরণের কৃতজ্ঞতা পশ্চিমের দেশেও ঘটেছে বটে – কিন্তু, তা অনেকখানিই স্বতঃস্ফূর্ত – রাষ্ট্রনির্দেশিত রিচ্যুয়াল নয়।
অতএব, সেসব দেশে, গানবাজনার মাধ্যমে তথাকথিত কৃতজ্ঞতা প্রকাশের শেষে, সামাজিক ক্ষেত্রেও চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা বিশেষ সম্মান পাচ্ছেন – দৈনন্দিন প্রয়োজনে দোকানবাজারে বা রাস্তাঘাটে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে তাঁদের – কেননা, বাকিরা যখন লকডাউনে ঘরবন্দী, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ বেড়ে গিয়েছে এবং তাঁদের কাজটি ঝুঁকিবহুল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আর এদেশে? কৃতজ্ঞতাপ্রকাশের ভেঁপু বাজানোর পরদিন থেকেই খবর পাওয়া যেতে থাকল, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি বাকি পেশার মানুষের একটা অংশ আলাদাভাবে দূরত্ব বজায় রাখছেন – তাঁদের বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে দিতে বলছেন – ড্রাইভার তাঁদের গাড়ি চালাতে চাইছে না – এমনকি, ট্যাক্সিও চট করে তাঁদেরকে গাড়িতে চুলতে চাইছেন না। এরই মধ্যে জানা গেল, করোনা-আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিজন চিকিৎসককে বেদম প্রহার করেছেন।
আর, ইন্দোরে করোনা-পরীক্ষা করতে গিয়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ চিকিৎসককে তাড়া করেছেন – এবং চিকিৎসক প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন – এই ভিডিও তো রীতিমতো ভাইরাল।
অতএব, একথা মোটামুটি প্রমাণিত – দুসপ্তাহ আগের খোল-করতাল-কাঁসর-ঘণ্টা-থালা সবই ছিল নিছক রিচ্যুয়াল – না, যে মানুষগুলো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সমাজের জন্যে কাজ করে চলেছেন, সেদিনকার সেই বিপুল ঢক্কানিনাদের খুব কম অংশই ছিল আন্তরিক কৃতজ্ঞতার প্রকাশ – এবং, রিচ্যুয়ালের পালন নতুন করে কৃতজ্ঞতাবোধের জন্ম দিয়েছে, এমনও নয়।
উপরন্তু, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি যথেষ্ট সম্মান দেখানো হয়ে গেছে – ওরা যেমন কাজ করছে, আমরাও তেমনই ওদের সম্মান জানিয়েছি – তেমন কোনো দায়িত্বপালন না করেই, এমন সন্তুষ্টির জন্ম হওয়াও আশ্চর্য নয়।
দেশের এক দুঃসময়ে নয় মিনিট যাবৎ আলো নিভিয়ে এবং মোমবাতি জ্বালিয়ে দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করে ফেলা গেল – আমার আর নতুন করে দায়দায়িত্ব নেই – এমন আত্মতুষ্টির সম্ভাবনাও কি একেবারেই নেই? অথচ, একে অপরের সাথে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মুহূর্তে একে অপরের সহায় হয়ে ওঠার প্রয়োজনীয়তাও তো এখনই সর্বাধিক, তাই না? সেই দায়বোধের কথা মনে না করিয়ে মোমবাতি জ্বালানোর শলা দিয়ে সলিডারিটি বৃদ্ধির আউটকাম কী?
আর দেশের হয়ে লড়াইয়ের মুহূর্তে মনোবল বৃদ্ধির জন্যে মোমবাতি জ্বালানোর যুক্তি?? হাসাবেন না, প্লীজ। কখনও শুনেছেন, যুদ্ধের মুহূর্তে সেনারা জাস্ট জানেই না তাদের সিচ্যুয়েশনটা ঠিক কী বা তাদের অস্ত্রের পরিস্থিতি কী বা শত্রুর অবস্থানটা ঠিক কোথায় – কিন্তু, স্রেফ গ্র্যান্ড বাতেলা বা দেশবাসীর তরফে ফুলের তোড়া দিয়েই তাঁদের চাঙ্গা করে দেওয়া গিয়েছে? যথেষ্ট প্রস্তুতির সাথে এবম্বিধ পেপ টক বা জেসচার কার্যকরী নিঃসন্দেহে – কিন্তু, প্রস্তুতিহীন অবস্থায় শুধুমাত্র পেপ টকে আস্থা রাখা রীতিমতো বিপজ্জনক।
আর এইখানেই প্রশ্নটা প্রতীকি কৃতজ্ঞতা/ভালোবাসা/একতা প্রকাশের যুক্তি/অযুক্তির থেকেও সরল।
আমাদের দেশে, দুর্ভাগ্যজনক, সুস্থ বিতর্কের পরিসরটা ভেঙে দেওয়া গিয়েছে। যে প্রশ্নের উত্তরে সাব্জেক্টিভ ভাবনার প্রকাশ হতে পারত, এবং যে প্রশ্নগুলো থেকে উঠে আসতে পারত একটা সম্পূর্ণ ছবি – সেই প্রশ্নগুলো সরিয়ে দিয়ে বসানো যাচ্ছে হ্যাঁ অথবা না-এর উত্তরের অবজেক্টিভ প্রশ্ন।
প্রশ্নগুলো হতে পারত এরকম –
আমাদের দেশে করোনায় আক্রান্ত ঠিক কত? কীভাবে পরীক্ষা হচ্ছে? ঠিক কাদের মধ্যে পরীক্ষা হচ্ছে? জনসংখ্যার কত শতাংশে পরীক্ষা করা হচ্ছে? পরীক্ষা যাঁদের মধ্যে হচ্ছে, তাঁদের ঠিক কত শতাংশ পজিটিভ?
টিভির পর্দার অবাস্তব প্রোজেক্টেড গ্রাফ নয় – বাস্তব পরিস্থিতিটা কী? এদেশে প্রথম করোনা-আক্রান্তের খবর পাওয়ার পর বেশ কিছু সপ্তাহ পার হয়ে গেল। প্রথম থেকেই বিভিন্ন গ্রাফ দিয়ে ইতালির থেকেও ভয়ানক বিপদের মুখে আমরা এবম্বিধ অ্যাপোক্যালিপস-এর ছবি ভাসছিল। না, চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার সময় এখনও হয়নি – কিন্তু, এই কয়েকসপ্তাহের গ্রাফ কি পূর্বে অনুমিত গ্রাফের পথেই চলছে? না চললে, ফারাকটা ঠিক কোথায়?
লকডাউনে সমাজের একটা বড় অংশ বড় বিপদের মুখে পড়ে গিয়েছেন। সলিডারিটির কিছু অংশ মোমবাতি জ্বালানোর শ্রমসাধ্য প্রয়াসের শেষে তাঁদের উদ্দেশে উৎসর্গ করা যেত? লকডাউন বাড়লে বা দ্বিতীয় দফার লকডাউনের প্রশ্ন উঠলে এঁদের জন্যে কী ব্যবস্থা করা হচ্ছে?
যাঁরা কাজ হারাচ্ছেন, তাঁদের জীবনের সাধারণ প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্যে ঠিক কী সুরক্ষার কথা ভাবা হচ্ছে? ঠিক কত টাকা বরাদ্দ হল সেই খাতে? পুরোনো প্রকল্পের অর্থই নাম বদলে নতুন প্রকল্পে এলে বা চালু প্রকল্পের বরাদ্দ অর্থের একটি অংশ অগ্রিম হিসেবে দেওয়া হলে তাকে কি নতুন বরাদ্দ বলা চলে? প্রধানমন্ত্রীর একটি চালু রিলিফ ফান্ড থাকা সত্ত্বেও নতুন ফান্ড খুলে অর্থসংগ্রহের যুক্তি কী?
এই লড়াইয়ে সামনের সারির সৈনিক চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের সুরক্ষার বন্দোবস্ত এমন অপর্যাপ্ত কেন? বাকি দেশ যখন তাঁদের দেশের চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্যে পিপিই-র (পার্সোনাল প্রোটেকশন ইক্যুইপমেন্ট) বন্দোবস্তে ব্যস্ত, তখন আমরা এই সেদিন অব্দিও পিপিই রপ্তানি করতে দিলাম কেন?
লকডাউন তো নিজে নিজেই কোনো সমাধান নয়। এটা কিছু সময় চেয়ে নেওয়া – সময়, দম ফেলার – সময়, নিজেদের গুছিয়ে নেওয়ার। লকডাউনের এই দিনগুলোতে – থালা বাজানো আর মোমবাতি জ্বালার মাঝে এই দুটো সপ্তাহে – আমরা কতটুকু প্রস্তুত হলাম? পরিকাঠামোর দিক থেকে প্রস্তুত তো? আমরা ঠিক কোন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, সেটা বুঝে ওঠার জন্যে আমাদের সমাজে অসুখের হালহকিকত বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য নিয়ে আমরা প্রস্তুত তো?
না, এর কোনোটিরই এককথায় উত্তর হয় না। যুক্তি-প্রতিযুক্তি – সুস্থ আলোচনা – আর সেখান থেকেই আলো পড়তে পারে সঠিক উত্তরের দিকে।
কিন্তু, দেখুন, সব প্রশ্নই ঢাকা পড়ে গিয়েছে একটিমাত্র প্রশ্নের তলায় – মোমবাতি জ্বালব কি জ্বালব না – যার উত্তরে কোমর বেঁধে ঝগড়া বা মারামারি থাকলেও, বিতর্ক নেই – উত্তর স্রেফ ইয়েস আর নো-র বাইনারিতে বাঁধা। স্পষ্টতই, রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য সফল।
কাজেই, অনুরোধ একটাই, মোমবাতি জ্বালুন বা না জ্বালুন – প্রশ্নগুলোকে অন্ধকারে হারিয়ে যেতে দেবেন না, প্লীজ। ভুলে যাবেন না, আমরা বাঁচব নাকি মরব, এই প্রশ্নের উত্তর মোমবাতি জ্বালানোর সিদ্ধান্তের চেয়ে অনেক বেশী করে রয়েছে আগের ওই প্রশ্নগুলোর মধ্যেই।
জরুরী প্রশ্ন। প্রয়োজনীয় লেখা।
অসাধারণ.. কুর্নিশ জানাই, এই অসময়ে সঠিক প্রশ্ন গুলো তোলার সাহস কে..
১০০% সহমত ।
খুবই ভালো লেখা, একটা জায়গায় PM CARES fund-এর ব্যাপারে একটু কিছু কথা জুড়ে দিলে ভালো হত- ‘একটা রিলিফ ফান্ড থাকা সত্ত্বেও আর একটি রিলিফ ফান্ড কেন করা হলো যেটির কোনো আইনি বৈধতাই নেই, না এই ট্রাস্টটি কোনো আইনে নথিভুক্ত, কি এর উদ্দেশ্য এবং কারা এর বেনিফিশিয়ারি – এসব কিছুই সরকারের দেওয়া তথ্যে পাওয়া যাবে না অর্থাৎ এই দুর্বিপাকটি কাজে লাগিয়ে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের একটি মহৎ পরিকল্পনা’।
দারুণ জ্বালাময়ী লেখা।ঠিক ৯ মিনিট লাগলো পড়তে।করোনা ভাইরাস যুদ্ধে কিছুই কি লাভ হলো?এরকমই লাভ হীন আরেক টা আহ্বান,দেশের প্রধানমন্ত্রীর।লাভ লোকসান ভেবে সব কিছু করি না।নিন্দুক রা চিরকাল নিন্দে ছাড়া কিছুই করেন না।নিন্দে করুণ,মোমবাতি জ্বালাবেন না।সব প্রত্যেকের গনতান্ত্রিক সার্বভৌম ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রে,নিজস্ব অধিকার।
আমি ৯ টায় ৯ মিনিট মোমবাতি জ্বালিয়ে দরজার দাঁড়িয়ে থাকবো।কোনে লাভ হবে না জেনেও।
খেয়াল করেছেন কিনা জানি না, জাস্ট আপনার মতো পাব্লিকের কথা ভেবেই ওটুকু জুড়ে রাখা – আপনারা নেতাদের “পায়ু-নিঃসৃত বায়ুতে গোলাপের গন্ধ” পান।
কাজেই, আজ সন্ধেয় নয় মিনিট মোমবাতি কেন – মোদিজি বললে, গেরুয়া জাঙিয়া পরে হাসপাতালের দরজায় দাঁড়াতেও আপনার আপত্তি থাকবে না জানি – কোনো উপকার হবে না জেনেও।
ভালো থাকুন – জাতিঘৃণা কাটিয়ে (যে পরিচয় আগেই পেয়েছি আপনার কথাবার্তায়) সুস্থ হয়ে উঠুন – চাটুকারিতা আর অন্ধ অনুগত্য কাটিয়ে চিকিৎসক-সুলভ হয়ে উঠুন – প্রত্যাশা এটুকুই।
আপনার প্রতিমন্তব্যের উত্তর দেব না, জানিয়েই রাখলাম – কেননা বার্ধক্য ও মানসিক অসুস্থতার কারণে আপনি কথা টেনেই চলেন, টেএএএনেএএই চলেন – অপচয় করার মতো অতখানি সময় এখুনি আমার হাতে নেই।
এতো রেগে যাচ্ছেন কেন?আপনার মতের বিরুদ্ধে গেলেই নীরদ সি চৌধুরির দাওয়াই।নিজেকে সত্যিই বড় বেশী পন্ডিত মনে করেন।আমাকে আবার গেরুয়া জাঙ্গিয়া পড়িয়ে ছাড়লেন।নিজেই সব বেশী বেশী বোঝান বাকিরা সবাই গবেট।আসলে আপনাদের ভাবনাগুলো বড্ড একঘেয়ে বস্তাপচা ঘ্যানঘ্যানে পক্ষপাতদুষ্ট নিতিহীন অনৈতিক মিথ্যাচারে ভর্তি।তাই আপনারদের পাশে কেউই নেই।
দয়াকরে আপনি শীঘ্রই কোনো গো – বিশারদের কাছে যান। যতটুকু বুঝি তাতে করে আমি নিশ্চিত আপনি করোনা’র থেকেও ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ভগবান রক্ষা করুন।
সব পড়ে মনে হলো 130কোটি ভারতবাসী একটা গাধাকে প্রধানমন্ত্রী করেছে আর বাকস্বাধীনতা মায় চিন্তা করা ক্ষমতাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে
পরের বার ভোটে আপনি অবশ্যই দাঁড়াবেন এইসব তথ্য নিয়ে এবং আমরা অবশ্যই আপনাকে জেতাবো।
এ মা, তা কেন!!
গাধাকে প্রধানমন্ত্রী করতে চাইলে আপনার কথা তো শুরুতেই মাথায় আসত। তাই না!!
মোদিজী গাধা নন – প্রতিটি পদক্ষেপ সুচিন্তিত – শুধু উদ্দেশ্যটা মুখে যা বলেন, তার চাইতে আলাদা। গাধা তাঁরা, যাঁরা সেই কথা শুনে নাচেন – তাদের কেমন দেখতে, সেটা বাড়িতে আয়না থাকলে দেখে নিতে পারেন।
পি. কা. ঘোষ মশাই…
“ভাবছি!
প্রায় ১৬ দিন হয়ে গেলো রাজ্যপাল অপমানিত হননি!
মোদীজির ক্ষণে ক্ষণে ‘মিত্রওও’ ডাকা কমে গেছে!
গত ১৬ দিনে একটাও রেপ হয়নি!
অমিত শাহ সিএএ নিয়ে একটাও জ্বালাময়ী থিসিস নামান নি!
ক্যাটরিনা কাইফ অহেতুক হিন্দি না বলে, মন দিয়ে বাসন মাজছেন! পিকা ঘোষ রজত শৰ্মার নকল চুল চুটিয়ে দেখছেন!
সবচেয়ে আশ্চর্য-
দিলীপ ঘোষ বই পড়ছেন!”
কৃতজ্ঞতা: প্রতীক
বিষাণবাবু
আপনার লেখাটা অতি মাত্রায় বাস্তব কিন্তু হীরক রাজার দেশে যে হারে মগজধোলাই চলছে তাতে উদয়ন স্যারের দরকার, কিন্তু কমেন্টে পড়ে তো মনে হোলো এখানে ফজল মিয়ার এ সংখ্যাই বেশি।
সুতরাং
যায় যদি যাক প্রাণ, হীরকের রাজা (মোদি)ভগবান
যা বলেছেন।
দেখেশুনে মনে হচ্ছে, কিছু মগজ ধোলাই হওয়ার জন্যে রেডি ছিল – ফার্স্ট চান্সেই ঝাঁপিয়ে পড়ে ধোলাই হয়ে গেছে।
দেখুন অবস্থা…
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=1547866072043323&id=100004598354106
লেখাটি আমার ফেসবুক ওয়ালে আপনার নাম এবং ওয়েবজিনের নাম সহ কপি+পেস্ট করতে পারি? লিঙ্ক শেয়ার করলে লোকজন লিঙ্ক খুলে পড়ার পরিশ্রমটা সাধারণতঃ করেন না।
অবশ্যই।
পুরো লেখাটা কপি-পেস্টের শেষে লিঙ্কটা দিয়ে দেবেন, প্লীজ?
অর্থাৎ কপি-পেস্ট অবশ্যই করতে পারেন – কিন্তু,তার শেষে ডক্টর্স ডায়লগের এই লিঙ্কটা জুড়ে দেবেন, প্লীজ!!
??
পক্ষপাতদুষ্ট না হয় বোঝা যাচ্ছে, কিন্তু
‘নিতিহীন…..’ ইত্যাদি ইত্যাদি এবং ‘মিথ্যাচারে ভর্তি’। অন্ততঃ মিথ্যাচারের দু একটা উদাহরণ দেবেন তো?
পিকা ঘোষ…মশাই… ?
https://www.ndtv.com/india-news/coronavirus-prince-charles-office-denies-indian-ministers-ayurveda-cure-of-covid-19-2206160?amp=1&akamai-rum=off&__twitter_impression=true
আমি ৯ টায় ৯ মিনিট মোমবাতি জ্বালিয়ে দরজার দাঁড়িয়ে ছিলাম।সব ভারতীয় মোমবাতি জ্বালিয়ে solidarity প্রকাশ করেছেন।কিছু মানুষ, সেই সময়, ঘরে লাইট জ্বালিয়ে কাগজ খুঁজতে ব্যাস্ত ছিলেন।সেই যে যাঁরা বলেছিলেন “কাগজ আমি দেখাব না”!!
একদম to the pointএ কথাগুলো সাজিয়ে বলা হয়েছে ।তার জন্য কুর্নিশ জানাই আপনাকে।যে কথাগুলো দেশের প্রতিটি মানুষের জানা ও বোঝা উচিত ।বেশির ভাগ ই না বুঝে, গুরুজনের আপ্তবাক্য শিরোধার্য করে চলেছে ।
বিষাণ দা, অনেক ধন্যবাদ লেখাটার জন্য
Bull’s eye.. Kurnish janai apnar juktibadi mon ke, apnar kolom ke.. Thank you dada..
Ekdom to the point lekha. Hirok raj to onek din dhorei amader mogoj dholai korei cholechen. List onek lomba… Sei kalo taka diye suru tar por airforce army sobai k use kora holo r ekhon corona… Er sesh kothay jani na.
These are actually great ideas in concerning blogging.
I learn something new and challenging on blogs I stumbleupon everyday.
I like this website very much, Its a very nice office to read and incur information.
I love looking through a post that can make people think. Also, many thanks for permitting me to comment!