করিনা কাপুরের দ্বিতীয় সন্তান বা অনুষ্কা শর্মার প্রেগন্যান্সির খবর ৮-৮০ সবার জানা। ব্রেকিং নিউজ করে রোজই চ্যানেলে চ্যানেলে তার সম্প্রচার চলছে। সংবাদ মাধ্যম এমন সব খবর প্রচার করে, সমাজের কাছে যার কোনও মূল্য নেই। না হলে পুরুলিয়ার সৈনিক স্কুলের শিক্ষানবীশ অমিত রাজের খবর আর নতুন করে বলার দরকার হোত না।
তাহলে শুনুন কী সেই খবর- অমিত রাজ-এর বাড়ি বিহারের নালন্দায়। ভোরবেলা জগিং করার সময় আচমকা শুনতে পান কিছু লোকের চিৎকার, চেঁচামেচি। বাইরে বেরিয়ে দেখেন একটা বাড়িতে আগুন লেগেছে। এক মুহূর্ত চিন্তা না করে ওই বাড়ির ভিতর ঢুকে দুটো বাচ্চাকে বাইরে বের করে আনে। ততক্ষণে তার শরীরের প্রায় ৮৫% প্রায় পুড়ে গেছে। ওই অবস্থায়ও তৃতীয় বাচ্চাটাকে বের করে আনে। সে সময় শরীরের ৯৫% পুড়ে গেছে। তিনটে বাচ্চাকে বাঁচাতে পারলেও নিজেকে বাঁচাতে পারলেন না ওই যুবক। চেষ্টা হয়েছিল বাঁচানোর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। বীরের মতো বিদায় নিলেন পৃথিবী থেকে।
এই ঘটনা সাধারণ মানুষকে জানানোর জন্য কোনও সংবাদমাধ্যম এক লাইনও খরচ করেনি। অথচ স্বপ্নের ভারত গড়ে তোলার জন্য এমন খবরই প্রচারের আলোয় আনা দরকার ছিল। আমরা নিজেরাই পরিচিতদের মধ্যে এই খবর ছড়িয়ে একটা সুন্দর সমাজ গড়ে তোলার চেষ্টা করি।
এরাই তো আসল বীর আসল নায়ক।
সত্যিই এদেরকে তুলে ধরার প্রয়োজন পৃথিবী কি উন্নততর করার জন্য। মানুষ বলতে এদেরকেই বোঝায়।
শ্রদ্ধা জানাই এই মহান বীর নায়ক কে।
এই ঘটনার বিষয়ে আরো জানতে চাই ।
আমি চেষ্টা করব যাতে এই ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।??