গর্ভনিরোধক বড়ি আজকের দিনে বহু মহিলাই ব্যবহার করেন। এ নিয়ে কোনো রাখঢাকও নেই তাঁদের মধ্যে। যদিও এই বড়ি খাওয়া নিয়ে অনেকের মনে এখনো সন্দেহ আছে। আছে বেশ কিছু ভুল ধারণাও। এই বড়ি খাওয়ার ভালো-মন্দ দিক নিয়ে আজকের নিবন্ধ।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এই পিল খাওয়া হয় বলে গর্ভনিরোধক বড়িকে মর্নিং আফটার পিলও বলা হয়। তবে বিভিন্ন কোম্পানির বড়ি খাওয়ার নিয়ম ভিন্ন। কোনো বড়ি ২৮ দিন তো কোনো বড়ি ২১ দিনের প্যাক থাকে। যারা নিয়মিত এই বড়ি খান তাঁদের প্যাকেটে দেওয়া নিয়ম মেনে চলা দরকার। এমার্জেন্সি কন্ট্রাসেপটিভ পিল অবশ্য অসুরক্ষিত সহবাসের পর যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় ততই নিশ্চিন্ত হওয়া যায়। তবে এই বড়ি কখনোই গর্ভপাত ঘটায় না, ওভিউলেশন আটকায়। তাই সন্তান গর্ভে আসার পর এই বড়ি খেলে কোনো কাজ হয় না।
গর্ভনিরোধক বড়ি খেলে পিরিয়ড স্বাভাবিক হয়। পিরিয়ডের সময় আয়রন নষ্ট হওয়ার পরিমাণ কমে যায়।
পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথার সমস্যাও অনেক কমে যায়।
অনেকের ধারণা এই বড়ি খেলে ওজন বাড়তে পারে। সে ধারণাও ভুল। ওজন বাড়া বা কমার সঙ্গে এই বড়ির কোনো সম্পর্ক নেই।
এই বড়ি হাড়ের ঘনত্ব বজায় রাখে বলে মেনোপজের পরেও হাড় ভাঙার সমস্যা অনেক কমে যায়।
কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই বড়ি খাওয়া উচিত নয়। যেমন,
- হার্ট অ্যাটাক বা স্ট্রোকে একবার আক্রান্ত হলে সেই মহিলাদের এই বড়ি খাওয়া একদম উচিত নয়।
- বক্ত জমাট বাধার সমস্যা থাকা মহিলাদের এই বড়ি খাওয়া চলবে না।
- স্তন, জরায়ু বা যোনি মুখের ক্যান্সারের কোনো আশংকা থাকলেও এই বড়ি খাওয়া বারণ।
বড়ি খাওয়া শুরু করার আগে যে বিষয় সম্পর্কে জেনে নেওয়া দরকার তা হল,
- স্তনে কোনো লাম্প আছে কিনা,
- ডায়াবেটিস আছে কিনা,
- কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বেশি কিনা,
- ডিপ্রেশন বা অবসাদের সমস্যা আছে কিনা,
- মৃগী, মাইগ্রেন বা মাথা যন্ত্রণার সমস্যা আছে কিনা
- কিংবা গলব্লাডার বা কিডনির কোনো সমস্যা আছে কিনা।
- এর যে কোনো একটা বা একাধিক সমস্যা থাকলে বড়ি খাওয়ায় কিছু সতর্কতা দরকার।
- সবচেয়ে বড় কথা হল, এই বড়ি জন্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করলেও সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ আটকায় না। কাজেই এই বড়ি খেয়ে সব দিক থেকে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে এমন ভাবা অর্থহীন।
Very good and informative post Sir .
ধন্যবাদ