রাত বারোটা বাজতে চলল। ক্যালেন্ডারে তারিখ বদলে যেতে আর সামান্যই বাকি।
আমরা আছি। মেডিকেল কাউন্সিলের সামনে। পাহারায়। অতন্দ্র প্রহরী ইত্যাদি শব্দবন্ধ ব্যবহার করা-ই যেত, কিন্তু এমন হইহই করে সময়টা কাটছে যে হস্টেলের রাত্তিরগুলো মনে পড়ে যাচ্ছে।
সবাই মিলে আছি। আড্ডার মেজাজে।
পুলিশ মাঝেমধ্যে দেখে যাচ্ছেন। অবাক হচ্ছেন। একবার বলেও গেলেন, আপনারা বাড়ি যাবেন না!! দুপুরেও তো দেখলাম আপনাদের… বাড়ি ফিরবেন না?
হেসে ফেললাম।
বিপক্ষের কেউ নেই আপাতত। খেলা হবে, জানি। সেই খেলার নতুন কী অঙ্ক কষা চলছে, জানি না। জানার দরকারও নেই। আমরা যেটুকু পারি, যেমনভাবে পারি – আটকাবো। প্রতিরোধ করব। যেমনভাবে করছি।
সারাদিন ধরে এতজন থাকছেন আমাদের সাথে… রাত্তিরেও এতজন… (ছবি তোলার পরেও আরও চারজন এলেন)… সত্যি বলছি, এমন স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের ঢেউ আশা করিনি… আর এ তো সমর্থন নয়, সহযোদ্ধা হয়ে হাতে হাত রাখা, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই…
এই সবকিছুর সামনে ভোট, ভোটের ফল – সবই যেন তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে। বুঝতে পারছি, আমরা জিতে গিয়েছি। মেডিকেল কাউন্সিলে নির্বাচনে জয়ের চেয়ে অনেক অনেএএক বড় সেই জয়। অনেক দীর্ঘমেয়াদী সেই জয়।
ব্যালট লুঠের চক্কোরে ছোঁকছোঁক করেন যাঁরা, তাদের জন্য মায়া হচ্ছে। পিটুলিগোলার লোভে দিন কাটিয়ে রাবড়ি-মালাইয়ের স্বাদ চিনলেন না!!