এলেবেলে লেখাটি অনেকদিনের। একটি ভার্চুয়াল সাময়িক পত্রিকা চেয়েছিলেন বলে দিয়েছিলাম। কাল শুনলাম এ লেখার প্রথম চরিত্র মুকুন্দদা মারাত্মক স্ট্রোকে আক্রান্ত। জানি না কি হবে। ওঁর আরোগ্য কামনা করে এই লেখাটি এখানে প্রকাশ করলাম। এসব লেখায় কোনও সাহিত্যগুণ আশা করে থাকলে আর এগোবেন না অনুগ্রহ করে।
*************************************************
গত রবিবার সকাল সাড়ে সাতটায় তৈরী হয়ে বেরোনোর পালা। আটটা থেকে হাসপাতালে অন কল। তার আগে বাজার গিয়ে এক দৌড়ে গৃহদেবতার নিত্যপূজার ফুল-মালা নিয়ে আসতে হবে, সাথে আলুও কিঞ্চিৎ – শুক্রবার ওটি ভুলে মেরে দিয়েছি।
ফুলের মাসিমার জিম্মায় খালি ব্যাগটি দিয়ে, পা চালিয়ে চললাম আলুর ছাউনিতে -“তিন কিলো, কুইক।”
“ঘোড়ায় জিন লাগিয়ে এসচো মনে হচ্ছে!” – ছদ্ম বিরক্তি মুকুন্দদার।
– “তাড়াতাড়ি, আজ গল্প নয়।”
‘জীবনখাতার প্রতি পাতায় যতই লেখো হিসাব নিকাশ, কিছুই রবে না… ‘ গাইতে গাইতে বউনির মাল চাপালেন মুকুন্দদা। এ মানুষটির কাছে আলু কিনলে লাইভ গান মুফত্। মুকেশ, রফি, তালাত মামুদ, শ্যামল, মানবেন্দ্র, হেমন্ত, মান্না – ছয়, সাতের দশকের জীবন্ত মিউজিক কালেকশন। গানের সাথে সাথে পাল্লায় বাটখারা চেপেছে, আলু উঠছে। পাঞ্জাবীর পকেটে হাত ঢুকিয়ে গলা শুকিয়ে গেল – ওয়ালেট নেই, মানে তাড়াহুড়োয় আনাই হয়নি। কেলেঙ্কারি। বউনির সময় ধারবাকি! যে কোনও স্বনিয়োজিত মানুষের কাছেই বউনি একটা পবিত্র ব্যপার – এমনকি খেঁকুড়ে ট্যাক্সিওয়ালাও সচরাচর প্রথম সওয়ারি ফেরান না। কি বলি!
বললাম, “দাদা, আলুটা মেপে রাখুন, আমি এখুনি ঘুরে আসছি।” কণ্ঠস্বরে কিছু একটা প্রকাশিত ছিল, কারণ মনে মনে জানতাম, তখন বাড়ি গিয়ে টাকা নিয়ে ফিরে আসতে গেলে হাসপাতালে লেট অনিবার্য – রাতের ডাক্তারবাবুকে ফোন করতে হবে আধঘন্টা এক্সট্রা ম্যানেজ দেওয়ার জন্য। অকপটে স্বীকার করলাম, “মনিব্যাগ নিয়ে আসতে ভুলে গেছি, এদিকে আপনার বউনির সময়”।
“তুমি এই নিয়ে লজ্জায় কোঁ কোঁ করছ। এই নাও তোমার আলু আর এই পাঁচশো টাকা রাখ – বাকি বাজারটা সেরে নিয়ে যাও।” এবারে মধুর ধমক দিয়ে কোমরের গেঁজে থেকে কয়েকটা দুশো-একশোর নোট বার করলেন মুকুন্দদা। বাস্তুহারা বাজারের রাস্তায় বসা আলুওয়ালা মুকুন্দ বারুই।
আর কিছু কেনার নেই, অতএব টাকা লাগবে না, এই সাদা মিথ্যেটা বলে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ছুটলাম ফুলমাসিমার দোকানে। বলাই বাহুল্য, তিনিও নির্দ্বিধায় দেড়শো টাকার ফুলের ব্যাগ তুলে দিয়েছিলেন হাতে – ‘এটা কোনও কথা হল, বাবু?nমানুষের কি কখনও ভুল হয় না? কিছু যদি মনে না করেন, দু-তিনশো টাকা নিয়ে বাজারটা সেরে নেবেন?’
বলা থাক, এই বাজারের বেশীরভাগ ব্যপারীই আমার পেশাগত পরিচয়, বাড়ির ঠিকানা, কিচ্ছু জানেন না। নিত্যকার আলাপ কেবল কেনাকাটার সূত্রে। এঁদের মধ্যে দুয়েকজন অবশ্য আমায় চেনেন সেই বাবার সঙ্গে বাজার করতে যাওয়ার কাল থেকে। আবার অনেকের সাথে পরিচয় এই সেদিন লকডাউনের কালে। অথচ, বউনির সময় ধারে জিনিস দেওয়া ত বটেই, এমনকী বাজার করার টাকা ধার দিতেও ওই মানুষগুলি একমূহুর্ত ভাবলেন না। আমি অবশ্য পারিনি আলুবিক্রেতা বা ফুলমাসির কাছ থেকে হাত পেতে সে টাকা নিতে। শিক্ষিত মধ্যবিত্ত আমি, স্বাভাবিক কারণেই ভিতর থেকে বারণ এসেছিল। লোকে কি ভাববে ! একেই আমি ডাক্তার হয়েও নিজের বাজার নিজে হাতে করি, সেও আবার রাস্তার বাজারে উবু হয়ে বসে, তারপরে হেঁটে বা রিক্সায় বাড়ি ফিরি। এসব ভাবতে গেলেই আমার বহু সহ-চিকিৎসকদের গা গুলিয়ে উঠবে – বলবেন এসব কথা লিখে ডাক্তারির মান ডোবাল। তার ওপরে ওয়ালেট ভুলে আলুওয়ালার কাছ থেকে টাকা ধার! রামো রামো!
এটি আমার বাস্তুহারা বাজার। এসি-এসকালেটর ত স্বপ্নকথা, বেশিরভাগ দোকানে স্থায়ী ছাউনি নেই, বসার উঁচু বেদী অবধি নেই। রাতে প্রায় শুনশান, কারণ মাথার উপরে স্থায়ী আলোর ব্যবস্থা নেই। আদিগঙ্গার পারে কমবেশি একশো মিটার লম্বা হিউম রোড, যতীন দাস সেতুর বা চেতলা ব্রিজের উত্তর পাশে অন্ধ গ্রেড রোড, কিছুটা কালীঘাট রোড আর কিছুটা টালিগঞ্জ রোড নিয়ে এই ফুটবাজার। কেউ বলেন কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অ্যালান অক্টেভিয়ান হিউমের নামে এই হিউম রোড – সত্যি মিথ্যা জানা নেই।
সত্যি বলতে কি, অল্প বয়সে বিদ্যে আর নবলব্ধ রোজগারের গুমোরে বাড়ির কাছেই একটি অভিজাত পাঁচতারা বাজার, যেটির মাথায় এখন একটি মাল্টিপেলেক্স, বাজিয়ে দেখিনি, তা নয়। কিন্তু সবার সব সয় না। একে ত গাড়িহীন, ঝি-চাকরহীন, আপনা হাত বাজারুর দিকে ওসব বড় দোকানিরা বেশ টেরিয়ে তাকায়, কখনও কখনও মুখ ফুটে বলেই ফেলে – এ মালের কিন্তু অনেক দাম ! তার ওপরে যখন একাধিকবার হাতেনাতে প্রমাণ পেলাম এক কিলোর দাম দিয়ে আটশো-সাড়ে আটশো মাছ নিয়ে আসছি – দূর থেকে প্রণাম করে বিদায় জানিয়েছি। বেশি কি আর বলব, সাত সকালে গেলে এই রাস্তার বাস্তুহারা বাজারেই ত দেখি পাঁচতারার ব্যাপারীরা পাইকারি রেটে মাছ কিনছেন। তারপরে ইউরিয়া টিউরিয়া লাগিয়ে, চকচকে আলোর নিচে ঝকমকে কাস্টমারদের জন্য অপেক্ষা। অতএব…
ফিরি আমার বাজারের কথায়। গানওলা মুকুন্দদার উল্টোদিকেই ভোলা গায়েনের সবজি। মাটিতে নয়, চৌকির উপরে, কারণ তাঁর কোমরে ব্যামো। এ বাজারে যাঁরা জৈষ্ঠ্যে ফুলকপি কিংবা পৌষে পটল খোঁজ করেন, লেমন গ্রাস কিংবা মাশরুম ছাড়া যাঁদের নিত্য বাজার হয়না – তাঁদের ভরসা এই ভোলা। ফুটের বাজারে বেশ এক টুকরো ‘মার্কেট’-এর রেশ। এঁর বাবা ফোকলা সন্তোষবাবুর খদ্দের ছিলেন আমার ঠাকুর্দা। যাকে বলে তিনপুরুষের সম্পক্কো।
কিছু পরে মাছওয়ালা রবিদা। তাকেও চেনা সেই বাবার তল্পিবাহক হয়ে বাজারে যাওয়ার আমল থেকে। একটু বেশ রহিস টাইপের, সুরসিক। বাজারের সবচে’ বড় ইলিশ, বিঘত প্রমাণ জ্যান্ত কই, একফুটি পাবদা কিংবা শীতের কালে দেড়সেরি শোল – রবিদার ডালায় তেনাদের নিত্য আবির্ভাব৷ সে বহুকাল আগের কথা, নাম না জানা থাকায় আমার ভাই আর আমি রসিকতা করে রবিদার নাম দিয়েছিলাম ‘ডাকাত’ – কারণ ওঁর দামটা সবসময়েই বাজারের গড় দামের চে’ এককাঠি উপরে থাকত। বড় হয়ে একদিন মজা করে সে কথা বলায় রাগলেন ত নাই, উল্টে বললেন – “এ ত আমার পরম সৌভাগ্য গো, তোমাদের মত মানুষরা আমাকে নিয়ে বাড়িতে রসিয়ে আলোচনা কর।” রবিদার আজকাল মন ভালো নেই, বয়েস হচ্ছে, ব্যবসাও অনিয়মিত – কারণ স্ত্রীর ডায়ালিসিস চলছে, আর কতদিন টানতে পারবেন জানেন না। দুই ছেলের একজন জুলপিয়াতে ভ্যানো চালায়, ব্যবসা বোঝে না। একজন বোম্বাইতে রাজমিস্ত্রির জোগালদারি করে।
এছাড়াও আছেন মহেশদা, মদনদা, অমরদা – সকলের ত নামও জানিনা – কারুর আমি ভাইপো, কারুর দাদা, কারুর কাছে ডাক্তারবাবু। আছেন মাসিরা – এককোণে প্লাস্টিক পেতে ছোট ট্যাংরা, মৌরলা, পুঁটি, খলসে, ছোট চিংড়ি, দিশি পার্শে, ল্যাটা, গুলে নিয়ে ওঁদের কারবার। বাজারের আলু বা চালের বড় গুমটিতে উদাস চোখে তাকিয়ে বসে থাকা মহাজনের কাছ থেকে নিত্য কর্জ করে সামান্য ব্যবসা, বিকেলে সেই ধার চড়া সুদে শোধ করে অন্নসংস্থানের পুঁজিটুকু নিয়ে বাড়ি ফেরা। অটোয় বালিগঞ্জ, হোথা থেকে নক্কীকান্তপুর কিংবা কেনিং। কেউ স্বামী পরিত্যক্তা, কারুর সোয়ামি মৃত বা অর্ধমৃত, ছেলেরা বেকার অথবা মাতাল। দরাদরি আমার ঠিক আসে না, আর এঁদের সাথে ত নয়ই। রিটার্ন গিফট্ কিন্তু ভালোই মেলে। প্রথমত, ওজনে কোনওদিন ঘাটতি পড়ে না। দ্বিতীয়ত, নিজের মাছের ভালোত্ব নিয়ে নিজেরই সন্দেহ থাকলে মিষ্টি করে বলে দেন ‘অন্যদিন খেও না হয়’। আর সততা? তাহলে সেই গল্পটা বলি। গত সপ্তাহে এক মাসির কাছে দু প্যাকেট কচুর শাক কিনতে গেছি। দাম করার সময় বললেন -‘আজ এক প্যাকেটের দাম দেবে।’ আমি বললাম, ‘কেন, আজ কি ব্রাহ্মণকে কচুর শাক দান করার দিন?’ উত্তর এল – ‘না গো, এর আগের হপ্তায় তুমি তিন প্যাকেটের দাম দে দু প্যাকেট নে গেছ। খালি চিন্তা করছি, তুমি কবে আবার আসবে, পওসাটা ফেরত দেব। এ টাকা আমার ধম্মে সইবে না, বাবা’। কতবার বড় নোট দিয়ে ফেরত না নিয়ে তাড়াহুড়োয় হাঁটা লাগিয়েছি – পিছন থেকে ছদ্ম মুখ ঝামটা, ‘কি গো, পয়সা খুব বেশি হয়ে গেছে মনে নাগছে।’
মুখ ঝামটার কথাই যদি উঠল, তাহলে অবশ্যই বলতে হবে সবজিওয়ালি কাঞ্চন বিবির কথা। ওরে বাপ, কি চোপা, কি চোপা – শুধু ঠারেঠোরে একবার ওজন বা সবজির মান নিয়ে সন্দেহ করতে হবে। তাও মাঝে মাঝে সময় থাকলে মেপেজুপে উসকানি দিলে সে শুধু মুচকি হেসে বলত, ‘অন্যরা যা বলে বলুক, তোমায় এসব কথা মানায় না গো’। এই ‘গো’ তে একটা অদ্ভুত টান থাকত – যা মনে পড়লে মনটা আজও উদাস হয়ে পড়ে। লকডাউনের পরে সে দিদির আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গেল। আসে না মোটা চশমা পড়া বুড়ি কাঞ্চনমাসিও। অতি সামান্য ছিল তার পসরা – ক’আঁটি থানকুনি পাতা, চাট্টি দিশি হাঁস-মুরগীর ডিম, একটু পাকা তেঁতুল, কখনও সখনও দুফালি থোর বা একটা মোচা। এই নিয়ে সে বাজারের এককোণে নীরবে বসে থাকত খরিদ্দারের আশায় – দাম হিসাব করতে গেলেও ভরসা সেই খরিদ্দার। লকডাউনের পরে সেও নিপাত্তা হয়ে গেছে – খবর নেই কারুর কাছে।
আরও কত মাসি, দিদি, দাদারা সব – হাসিমাসি, আমিনামাসি, মঙ্গলদা, কাশীদা, ধ্রুবদা…. জীবনের লড়াইতে জীর্ণ দীর্ণ মুখের সারি, তবু বেচাকেনার ফাঁকে খরিদ্দারের সাথে চাট্টি রসিকতা, কখনও খুনসুটির ঝগড়া। সময় থাকলে এঁদের সবার কাছ থেকেই ঘুরে ঘুরে অল্প অল্প কেনাকাটা। এঁদের মধ্যে একজন রীতাদিদি৷ দুহাজার বিশের সেই প্রথম ভয়াবহ লকডাউনের কালে যে দু-চারজন বাজারী আমাদের খাইয়ে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, তাঁদের মধ্যে একজন এই সবজিওয়ালি রীতা। সকালে চাঁদা তুলে ম্যাটাডোর ভাড়া করে আসতেন অনেকের সাথে। বিক্রিবাটা শেষ হলে পথের হোটেলে খেয়ে একটু জিরিয়ে নিয়ে, বেলা পড়লে হেঁটে, হ্যাঁ হেঁটে, তিরিশ কিলোমিটার দূরের চম্পাহাটি – নিত্যদিন আট-নয় ঘন্টার হাঁটা, বাড়ি পৌঁছাতে রাত বারোটা। এঁদের কয়েকজন ঘটনাক্রমে অন্য খদ্দেরদের কাছ থেকে বা মোবাইল ফোনের কল্যাণে জানেন আমার পেশাগত পরিচয়, কেনাকাটার ফাঁকে টুকটাক রোগ-বালাইয়ের চিকিচ্ছেও চলে আমার সাধ্যমত।
সবার কথা লিখতে গেলে মহাভারত হবে, আর এমনিতেই যাকে বলে আমার লেখাগুলি বেশ হ্যাজানো টাইপের। তাই কালুদার কথা বলে শেষ করব। করোনার পরে এ মানুষটিও হারিয়ে গেলেন একেবারে।
কালুদা ছিলেন যাকে বলে বক্তারে লোক। হাত নেড়ে বোঝাবেন ওঁর ফুলকপি মানেই সেটা বোড়াল কিংবা বারুইপুর, ওঁর কুমড়ো মানে কেসি দাশের রসগোল্লার মত মিষ্টি, কচু মানেই মাখমের মত নরম। নিত্য ঝগড়া চলত – ‘বোড়ালের কোন ফ্ল্যাটবাড়ির বারান্দায় এই ফুলকপিটা হয়েছিল আমায় বলুন’ কিংবা ‘কেসি দাশের দোকানটা কলকাতার কোথায় আছে বলুন দেখি’ – এই টাইপের। একদিন কালুদাকে বললাম – ‘যেরকম সুন্দর করে মিথ্যা কথা বলতে পারেন, আসল লোকের নজরে পড়লে আপনাকে কিন্তু ভোটে দাঁড় করিয়ে দেবে – এক্কেবারে এমেলে হয়ে যাবেন’। সদা-বত্রিশপাটি কালুদা হাত জোড়া করে হঠাৎ সিরিয়াস – “এ অভিশাপ দেবেন না, ডাক্তারবাবু”। আমি ত অবাক। একটা কাউন্সিলর হতে পারলেও কিনা তিনপুরুষ পায়ের উপরে পা তুলে খাবে, আর এ কিনা রেগে গেল! কালুদা বলে চলে – “আজ আমি গতরে খেটে বাজারে আনাজ বেচছি, আপনার মত শিক্ষিত মানুষ আমায় আপনি করে কথা বলেন। আমি গরীব কিন্তু ইমান নিয়ে বেঁচে আছি। কাল যদি নেতা হয়ে আপনাদের সামনে দিয়ে কালো কাঁচ ঢাকা গাড়িতে হুশ করে বেরিয়ে যাই, আপনারাই আঙুল তুলে গালি দেবেন – ওই যে চোর ঘুষখোর কালু শেখ যাচ্ছে। মাফ করুন বাবু, আমি যেন ইজ্জত নিয়ে গোর যেতে পারি।”
আমি নিশ্চিত, গরীব কালুদা তাঁর আকাঙ্খিত জায়গায় যাবেন ইজ্জত না খুইয়েই। ইমান আর ধরম – এগুলি নাহয় এই ছোটো ছোটো মানুষগুলোর জন্যই তোলা থাক।
*************************************************
ছবিটি ঘূর্ণীর শিল্পকর্ম। বাড়ির আলমারি থেকে।