দ্বিতীয় দিন (১৫ অক্টোবর)
আজকে আমাদের গন্তব্য সিকিম সীমান্তের রংপো। এদিন চাল-ডাল-তেল-নুন-জল ইত্যাদি রিলিফের সামগ্রী ভর্তি করে লালিগুরাসের আরও একটা গাড়ি সঙ্গে চলল। আজকে শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগের চিকিৎসক রাহুল দেব বর্মনের সাথে যোগ দিয়েছে দেবাশিস হালদার ও স্নিগ্ধা হাজরা এবং মেডিকেল কলেজ ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের অনিকেত কর। ওরা তিনজন গতকাল কলকাতা থেকে ট্রেন ধরে আজ সকালে শিলিগুড়ি এসেছে।
ঘুরপথে রংপো পৌঁছতে বিকেল প্রায়। নীচের দিকে এখনও বালি সরানোর কাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে বেঁচে থাকার উপায় খুঁজতে ব্যস্ত মানুষ। বুকে ব্যাচ ঝোলানো ভলেন্টিয়ারদের আনাগোনা বেশ। পুলিশ ব্যস্ত যানবাহন নিয়ন্ত্রণে। নিয়মের ফেরে লালিগুরাস টিম নিজেরা রিলিফ দিতে পারলেন না। ওখানকার রিলিফ কমিটির কাছে যাবতীয় সামগ্রী জমা করতে হলো। আরও অনেকেই রিলিফ সামগ্রী আনছেন। সেগুলো ওখানেই জমা পড়ছে।
বেলা বইছে তাই চারপাশ ঠিকমতো দেখা হলো না। তড়িঘড়ি চিকিৎসা শিবির শুরু করা হলো। ত্রাণ শিবিরের চার দেওয়ালের গায়ে আশ্রিতদের মালপত্র ও বিছানা। আমরা বসলাম মধ্যিখানে। এখানে মোট ৯২ জন পরিষেবা নেন। তার মধ্যে জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া লোকজনেরও দেখা মিলল। এদিন রাতে বিশ্রামের জন্য ফিরলাম কালিম্পং শহরের ঠাকুরবাড়িতে।