বউটি গলায় দড়ি দেবার চেষ্টা করছিলো।
বর, ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে ক্যামেরায় জীবনসাথীর শেষটা ধরছিলো।
শেষ অবধি বউটিকে ঠেকায়নি সে।
কিশোরীটি দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম, রক্তাক্ত।
জনতা ক্যামেরাবন্দী করে তার কাতরানি, সাহায্যে যদি কেউ থাকতো!
এমন বদল হলো কোন কাল-বিষে?
বাকি ছাড়ো, এইসব শুনে তোমার কী মনে হলো বলো?
নিস্পৃহ সমাজের এহেন অমানুষি করলো কি চোখ
ছলোছলো?
নাকি ভাবো সে ভিডিও পাওয়া যাবে কিসে?
যে কোনো ঘটনা মগজে ঢোকার আগে হাতে এসে যাবে ক্যামেরা।
আমাদের দিনগুলো এক দুই তিন নয় লাখ লাখ সিসি টিভি ঘেরা।
মেগাপিক্সেল গেছে স্মৃতি-ধরা নিউরোনে মিশে।
আমরা কি ফোন কিনি? নাকি ফোন কেনে আমাদের?
জবাব খুঁজতে হলে ফোনটা বন্ধ করো। অস্থির উদ্বেগ পাচ্ছো কি টের?
মানুষের কাজগুলো ডিজিটালে পাক খেয়ে হারিয়েছে দিশে।
আমরা মানুষ নেই আর। তুমি আমি হরিদাস ক্যামেরার দাস।
খুন হোক, রেপ হোক অথবা অ্যাক্সিডেন্ট, তফাৎ হয়না কিছু খাস।
রেকর্ড করো তো আগে! মগজের মাঝে বাজে স্বর হিসহিসে।
প্রতি রিলে ফোন জিতে যায়। প্রতি সেলফিতে হয় ক্যামেরা বিজয়ী।
সোশ্যাল মিডিয়া ফোন ইন্টারনেট, মানুষকে রোজ খুন করে এই ত্রয়ী।
ডুবছি আমরা সব। মগজের গায়ে বাঁধা ফ্রি ডেটার সিসে।
এখনো পড়ছো তুমি?
এটুক সময়ে জানো কখানা ভিডিও তুমি করে গেলে মিস হে?