আজ যদি আমাদের সভ্যতা ধ্বংস হয়ে যায় এবং আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর বাদে যদি প্রত্নতত্ত্ববিদরা আমাদের সভ্যতা খননকার্য চালিয়ে উদ্ধার করে তবে কয়েকটি জিনিস তারা প্রথমেই লক্ষ্য করবে। এক আমাদের সভ্যতায় চূড়ান্ত পাহাড়প্রমাণ অসাম্য, রাজনৈতিক নেতৃত্ব/শিল্পপতি সমাজ ও খেটে খাওয়া মানুষের মধ্যে। দুই আমাদের যুদ্ধ বিগ্রহ সামরিক সাজ সরঞ্জাম পরিমাণে বিশাল।
হরপ্পা মহেঞ্জোদারো সভ্যতা আবিষ্কারের ১০০ বছর অতিক্রান্ত।
ইন্ডাস ভ্যালি সভ্যতা তিন থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। সম্প্রতি কিছু প্রত্নতত্ত্ববিদরা দাবী করছেন এই সভ্যতা একটি সাম্যবাদী সভ্যতা ছিলো। সমসাময়িক অন্যান্য সভ্যতা যেমন ইজিপ্ট বা সুমেরু সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো সুবিশাল পর্বতপ্রমাণ সম্রাট/পুরোহিতদের মূর্তি, প্রাসাদ, সৌধ, সমাধি।
বিপরীতে হরপ্পা মহেঞ্জোদারোর সভ্যতায় কোন প্রাসাদ, সৌধ পাওয়া যায় নি। এই সভ্যতার অন্যতম বৈশিষ্ট্য উন্নত নর্দমা ও জল সরবরাহ শহরের সমস্ত স্তরের মানুষের বাড়িতেই পাওয়া গেছে। বড় স্নানঘরগুলি জনসাধারণের জন্য তৈরি। এমনকি একমাত্র রাজা/ পুরোহিত মূর্তিটি মোটে ১৮ ইঞ্চি। যে ব্রোঞ্জের অস্ত্র শস্ত্র পাওয়া গেছে সেগুলো অতি ঠুনকো, ওই দিয়ে যুদ্ধ করা অসম্ভব। শহরের বাইরে শত্রুদের বিরুদ্ধে পরিখা বা প্রাচীর অনুপস্থিত।
তাহলে কি ভারতবর্ষের হরপ্পা মহেঞ্জোদারো সভ্যতা শান্তিপূর্ন, সাম্যবাদী সভ্যতা ছিলো?
ঐতিহাসিকরা কি বলেন?