‘সাউথে-‘ এ এমন হয় না। এখানে ডাক্তাররা পয়সার লোভে খালি সিজার করে দেয়। একদম নরমাল করে না। দেশের সবচেয়ে বেশী সিজার হয় তামিলনাড়ুতে তারপর তেলেঙ্গানা। পশ্চিমবঙ্গে সরকারী হাসপাতালে যথেষ্ট পরিমাণে নরমাল ডেলিভারি হয়। বেসরকারি ব্যবস্থায় সিজার বেশি হয়। কারণগুলো দেখা যাক:
– হবু মায়েরা সিজার চায়। ‘অত ব্যথা, অত কষ্ট সহ্য করতে পারব না।’ ‘একটাই বাচ্চা হবে, কোনো ঝামেলা চাই না।’
– নার্সিংহোমে অনেক জায়গায় রাত্রে অভিজ্ঞ স্ত্রীরোগ চিকিৎসক, শিশু চিকিৎসক, অজ্ঞানের ডাক্তারবাবু পাওয়া যায় না।
– একজন ডাক্তারবাবু সবসময় ডিউটিতে থাকতে পারেন না। দিনে রাতে যে কোন সময় প্রসব ব্যথা উঠতে পারে। তাই যতক্ষণ না টিম তৈরী হবে অনেক ডাক্তারবাবু নরমাল ডেলিভারি এড়িয়ে চলবেন। বাংলাতে এখনও রোগী তাঁর নামকরা বা এক নম্বর ডাক্তারবাবুকেই চান। অন্য ডাক্তার মানেই ‘জুনিয়র’ ডাক্তার, কিছুই জানে না। এই ধারণাটাও বদলাতে হবে।
– পেনলেস লেবার, যেখানে ব্যথা কম লাগে সেই ব্যবস্থা নেই।
– প্রসবের সময় বাচ্চার হার্টবিট মনিটর করার যন্ত্র (CTG) বেশিরভাগ জায়গায় নেই। বাচ্চা খারাপ হলে বোঝা যায় না।
– রোগী লেবারে গেলে তার সাথে একজন নার্স থাকা দরকার, বিদেশে যেমন মিডওয়াইফ থাকে। তাই বিদেশে সব নর্মাল হয় বলে তুলনা করবেন না। আপেল আর কমলালেবুর তুলনা হয় না।
– ইমার্জেন্সী হলে ৩০ মিনিটের মধ্যে বাচ্চা বের করা দরকার, রাতের বেলা দূরের কথা, দিনের বেলায়ও ্তা করা মুশকিল।
– অনেকে নরমাল চায়, কিন্তু ফরসেপ দেওয়াতে ঘোর আপত্তি। প্রসবের একদম শেষ দিকে যখন বাচ্চার মাথা নীচের দিকে নেমে এসেছে কিন্তু বেরোচ্ছে না, সেই সময় ফরসেপ দেওয়াটাই নিরাপদ।
– নরমাল ডেলিভারি সব কিছু নরমাল হলে সেটা স্বাভাবিক, প্রকৃতির নিয়ম। কিন্তু মা বা বাচ্চার কোনও ক্ষতি হলে সব দোষ ডাক্তার আর নার্সদের। তাদের পেটাও, ভাঙচুর করো।
এবার বলুনতো আমাদের জায়গায় আপনি হলে কী করতেন?