চারপাশে ফিস ফিস, চার পাশে ফুস ফুস। ধর্ষিতা হয়েছে নারী কিংবা শিশু কিংবা বুড়ি। তবে তো ক্যাঙারু কোর্ট চায়ের দোকানে। এক হাতে কি তালি বাজে? মেয়েছেলের কি দরকার ঢ্যাং ঢ্যাং করে ঘুরে বেড়াবার। রাত ন’টায় বাড়ী ঢোকেনি তখনও। ছেলেরা কি পারে সব সময় কাম জ্বালা সইতে। তার কামের আগুন জ্বললে বাপু সামনে যাকে পাবে তার ওপরেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। সে লাচার। হ্যাঁ রে মেয়েছেলেটা কি গা খোলা জামা পড়েছিল? বটেই তো তাই তো নয় মাসের শিশু পেলেও ছাড়ে না পুরুষ। কারণগুলো কি,
ঠিক কি কি?
হায়দ্রাবাদ, উন্নাও, কাঠুয়া, দিল্লি সব জায়গায় মেয়েরা যৌন লালসার বলি। আচ্ছা, ধর্ষণ কি শুধুই যৌন লালসা চরিতার্থ করার উপায় নাকি গভীরে কাজ করছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজের নারীকে অবদমনের ইচ্ছা, নারী দেহের পণ্যায়নের মানসিকতা। না হলে পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপনে নারী শরীরের এত ব্যবহার কেন? সাধারণ মানুষ, খেটে খাওয়া মানুষ, গাড়ী চালক হোক বা মন্ত্রী সে যখন ছোট ছিল কেউ কি তাকে শিখিয়েছিল অন্য মানুষের অধিকার সে চাইলেই লঙ্ঘন করতে পারে না। কোন মেয়েকে চাইলেই সে সংগমে বাধ্য করতে পারে না। হয়তো এর উল্টোটাই সে শিখেছে। পুরুষ ক্ষমতাবান তাই সে চাইলেই নারী শরীর ভোগ করতে পারে।নারী মানুষ নয় ভোগের জিনিস। এই মানসিকতা বদলাবার চেষ্টা না করলে, ধর্ষণ রোধ করা সম্ভব হবে কি? ধর্ষকের কঠিন শাস্তি হোক, দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা হোক, জামিনে মুক্তি বন্ধ করা হোক এই সব দাবীর সঙ্গে সঙ্গে এই দাবী অবশ্যই উঠুক নারীকে মানুষের মর্যাদা দেওয়ার শিক্ষা ভারতবর্ষে চালু হোক। কন্যা ভ্রুণ হত্যা, পণ প্রথা এ সব আসলে নারীকে বস্তু বই মানুষের সম্মান দেয় নি। তা হলেই ভারতীয় পুরুষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ধর্ষকের মৃত্যু সম্ভব।