মায়ানমারে আর্মি-শাসন, ডেমোক্রেসির ভাঙলো পা,
আমজনতা বুক চিতিয়ে বলছে যখন মানবো না,
ইউরোপ আর আমেরিকার স্যাংশনের ওই ঢল চেনা,
তখন ভারত, আমার ভারত, কোথাও কিছু বলছে না।
বাদবাকিরাও বলছে নাকি, ধমক যেন বাধ্যত,
ভাবখানা এই, ভিন্নদেশে বলতে যাবো আর কত!
স্যাংশনে কার কি যায় আসে, হয়টা কি যে ঘোড়ার ডিম,
শাসক শোষেন ইচ্ছেমাফিক, নর্থ কোরিয়ায় যেমন কিম।
নিজের গায়ে না লাগলে আঁচ, সব দেশই শোয় পাশ ফিরে,
জিনজিয়াংএ রাখাইনে হোক, বালুচি বা কাশ্মীরে,
ভুগতে থাকে রাষ্ট্ররোষে সংখ্যালঘু লোক কিছু
‘ঘরের ব্যাপার’ তকমা দিয়ে বিশ্ব তখন চোখ নিচু।
ইন্টারনেট জুড়ছে নাকি গোটা গ্রহ এক সুতোয়,
তাই বুঝি তা প্রথম বলি, আইন রাখার ছলছুতোয়।
খুললে পরেও নজরদারি, খবর যেন না হয় ফাঁস,
কে কতটা বলতে পারে, রাষ্ট্র টানেন জিভের রাশ।
হিউমান রাইট লেফ্ট করেছে চারদিকে সব শাসককুল,
বলতে গেলেই ধমকে বলে ওসব কেবল দেখার ভুল।
রাষ্ট্রগুলো হচ্ছে ঘেটো, না হোক পাঁচিল দৃশ্যমান,
অন্যদেশের একটা ট্যুইট দ্রোহের প্রবল বিষ-সমান!
আগামীতে সবাই বুঝি কাঁটাতারের বিশ্ব চান?