দুর্গাপুজোর আগে যেমন মহালয়া, তেমনি ভ্যালেন্টাইনস ডের আগে রোজ ডে আছে,৭ ফেব্রুয়ারী। সে আমরা সবাই জানি। আজ বলি ওয়ার্ল্ড রোজ ডে র কথা। যা ২২ সেপ্টেম্বরে।
এক ছেলে, এক মেয়ে। মনে মনে দুজন দুজনকে পছন্দ করত ঠিকই, কিন্তু মনের কথা কেউ কাউকে বলে উঠতে পারেনি। তারপর এক ভালবাসার সপ্তাহ শুরুর প্রথমদিন রোজ ডে তে গোলাপ দিয়ে ছেলেটি তার মনের কথা প্রেমিকাকে জানিয়েই দিয়েছিল। সেই থেকে পথ চলা শুরু। কিন্তু দুজনের সুন্দর সম্পর্কের মাঝে একদিন আচমকাই কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে। মেয়েটির ক্যানসার ধরা পড়ে। সাময়িকভাবে ভেঙে পড়লেও মনের জোর সঞ্চয় করে দুজনে নেমে পড়েন ক্যান্সারকে জয় করার লড়াইয়ে। এক সময় ডাক্তাররা আশ্বস্ত করেন, চিন্তার কিছু নেই। নিয়মিত ব্যবধানে চেক আপ করে যেতে হবে। তখন থেকে তাঁদের রোজ ডে এর তারিখ পাল্টে যায়। ৭ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে রোজ ডে পালন করেন ২২ সেপ্টেম্বর।
এই দিন পালন করার ইতিহাসও বড় করুণ। বারো বছরের মেলিন্ডা রোজ নামে একটি মেয়ে এক বিরল ক্যানসারে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসকরা দুঃখের সঙ্গে জানিয়েছিলেন,তিন মাসের বেশি বাঁচবে না। যদিও মেয়েটি তার মনের জোরে তারপর প্রায় তিন বছর বেঁচেছিল। তাকে স্মরণ করেই তার নামে এই রোজ ডে পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই থেকেই প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ল্ড রোজ ডে হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এইদিন ক্যানসার রোগী ও ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা ব্যক্তি, বা যারা ক্যান্সার রুগীদের দেখা শোনা করেন, গোলাপ, কার্ড, চকোলেট দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। তাদের জানানো, তোমরা একা নও, আমরা তোমার এই যুদ্ধে তোমার পাশে আছি। ক্যান্সার মানেই হেরে যাওয়া নয়,সবাই মিলে ক্যান্সেরকেও হারানো যায়। আর যদি একদিন চলে যেতেই হয় তাহলেও শেষ মুহূর্ত অবধি সবাই মিলে জীবনটাকে শুষে নেবে।