যাদের সংশয় আছে এবং এই কারণে “ভয়” দেখিয়ে যাদের ব্যালট সংগ্রহ করছে কিছু দুষ্কৃতী, তারা মিথ্যা বলছে। নির্ভয়ে ভোট দিন, নিজের ভোট নিজে দিন, শিরদাঁড়া সোজা রেখে, আত্মবিশ্বাসের সাথে, আত্মসম্মানের সাথে ভোট দিন।
#wbmc_election
#vote_jpd_candidates
#নিজের_ভোট_নিজে_দিন
#খাম_খুলবেন_সাবধানে
#পাল্টে_যাচ্ছে_কাউন্সিল
মেডিক্যাল কাউন্সিলের নির্বাচন এই প্রথমবার হচ্ছে না। ভোট দেবার নিয়মেও কোন বদল হয়নি। এবং নিশ্চিত থাকুন, অতীতের নির্বাচনগুলোর মত এবারেও আপনার ভোট গোপনীয়ই থাকবে। আগের নির্বাচনগুলোতে প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট থাকায় জানি কিভাবে এই গোপনীয়তা রক্ষিত হয়।
ডাকযোগে বা কাউন্সিলের অফিসে গিয়ে সশরীরে – যেভাবেই জমা দিন, আপনার খামবন্ধ ব্যালট গচ্ছিত হবে তালা দেওয়া ব্যালট-বাক্সে। গণনার দিন (এবছর ১৯-শে অক্টোবর, বুধবার) রেজিস্ট্রার ও সব প্রার্থীর (অথবা প্রার্থীর একজন কাউন্টিং এজেন্ট, যিনি অবশ্যই একজন ডাক্তার, তথা ভোটার) সামনে বাক্স খুলে বন্ধ খামগুলি টেবিলে ডাঁই করা হবে। কাউন্সিলের কর্মীরা একটা একটা করে খাম খুলবেন, ব্যালট বের করবেন (কিন্তু ভাঁজ খুলবেন না) – খামে সই আছে কিনা এবং খামের ও ব্যালটের ক্রমিক সংখ্যা (সিরিয়াল নং) অভিন্ন কিনা তা মিলিয়ে দেখবেন। অভিন্ন থাকলে ছেঁড়া খামটি একটি খোলা বাক্সে ফেলে দেবেন ও ভাঁজ-না-খোলা ব্যালট-টি থেকে ক্রমিক সংখ্যা লেখা অংশটি (পারফোরেটেড অংশটি) ছিঁড়ে আরেকটি খোলা বাক্সে ফেলে দেবেন। এভাবে রাখা ভাঁজ-না-খোলা ২৫-টি ব্যালটকে একসাথে গার্ডার দিয়ে একটি বান্ডিল করা হবে। সব ব্যালট বান্ডিল করা হয়ে গেলে একটা একটা করে ভাঁজ-না-খোলা ব্যালটের বান্ডিল থেকে গার্ডার খুলে আবার টেবিলে রাখা হয়। এরপর একটা একটা করে ব্যালটের ভাঁজ খুলে ভোট গণনা শুরু হবে। যখন আপনার ব্যালটের ভাঁজ খোলা হবে সকলের সামনে, তখন সেই ব্যালট কার, কত সিরিয়াল নম্বর, কে পাঠিয়েছেন, কোত্থেকে পাঠিয়েছেন, তা জানা ইডি, সিবিআই কেন, ব্যোমকেশ, ফেলুদা বা শার্লক হোমস – কারো পক্ষেই সম্ভব নয়।
আপনার মতদানের গোপনীয়তা সম্পর্কে নিশ্চিত থাকুন। যাঁরা আপনাকে ‘গোপন কথাটি রবে না গোপনে’ বলে বোকা বানাতে ও ভয় দেখাতে চাইছেন, তাঁদের ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মটি’ বলে নোভোট্টু করে দিন।
নিজের ভোট নিজে দিন।
কাউন্সিল পাল্টে দিন।