প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আজ ৫ই অক্টোবর ২০২৫, অভয়া মঞ্চের তিনজন সক্রিয় সদস্য, স্বপন মণ্ডল, সুতপা ভট্টাচার্য এবং দেবজ্যোতি দাশগুপ্ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জনের কার্ণিভাল শুরু হওয়ার আগে তাঁদের নীরব প্রতিবাদ প্রদর্শনের ইচ্ছায় প্রেস ক্লাবের গেটের কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন সুতপার বৃদ্ধা মা। প্রতিবাদের চিহ্ন স্বরূপ সুতপার জামায় অভয়া মঞ্চের ব্যাজ্ লাগানো ছিল, এবং দেবজ্যোতির পরণে ছিল “শিঁড়দাড়া বিক্রী নেই” লেখা টি শার্ট । এঁরা যখন ওখানে দাঁড়িয়ে চা বিস্কুট খাচ্ছিলেন, তখন সেখানে বেশ কয়েকজন পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। সাদা পোশাকে একজন মহিলা কিছু বলতে চান বলে সুতপা কে ডেকে নিয়েই জোর করে পুলিশ ভ্যানে উঠিয়ে দেন, সাথে তুলে নেন দেবজ্যোতিকেও। এঁদের ময়দান থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এই খবর পাওয়া মাত্র অভয়া মঞ্চের সহযোদ্ধারা সেখানে উপস্থিত হলে জানা যায়, যে ওঁদের 170 BNSS ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য ভারতীয় ন্যায় সংহিতার এই ধারায় পুলিশকে এমন অধিকার দেওয়া হয়েছে যে তারা যদি কোনও ব্যক্তিকে দেখে মনে করে যে সে কোনো ভয়ানক অপরাধে প্রবৃত্ত, তাহলে তাকে কোনো পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করতে পারে। এক্ষেত্রে পুলিশ মনে করলো মাত্র তিনজন মানুষ, সাথে একজন অশীতিপর বৃদ্ধা কে নিয়ে ভয়ানক কোনো অপরাধ করতে যাচ্ছে! আমাদের দুই যোদ্ধাকে অযথা দীর্ঘ সময় ধরে থানায় আটক করে রীতিমত হেনস্থা করা হয়েছে। তাদের কি অপরাধ, বেআইনী কিছু তারা করেছিলো কিনা – এইসব কোনো প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর পুলিশ দিতে পারেনি। আদতে সাদা পোশাকে এসে কথা বলার নামে বিভ্রান্ত করে, ছলচাতুরী করে প্রতিবাদীদের হেনস্থা করা এবং ভয় দেখানোর এই কদর্য অপচেষ্টাকে আমরা তীব্র ধিক্কার জানাই। প্রশাসনের উর্দি ধারীরা আজ যে কাজ করলেন তা আইনের আসুরিক অপপ্রয়োগ ছাড়া আর কিছু নয়। জনগণের সেবক দের জনতার বিরুদ্ধে ব্যবহার করার প্রতিবাদে অভয়া মঞ্চ লড়াইকে তীব্রতর করে তুলতে দৃঢ়রূপে অঙ্গীকার বদ্ধ। স্বৈরাচারী শাসক যতই চেষ্টা করুক, প্রতিবাদীরা ভয় পায়নি, পাবে না।