২৯ অক্টোবর ২০২৫
আজ একজন নাগরিক আত্মহত্যা করেছেন। কারণ হিসেবে এন আর সির কথা লিখেছেন। অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। শুধুমাত্র আতঙ্কে একজনের জীবন গেল। নির্বাচন কমিশনের দেশব্যাপী এস আই আর ঘোষণার পর বিজেপি প্রধানভাবে আতঙ্ক ছড়ানোর দায়িত্ব নেয়।আর নির্বাচন কমিশনের তড়িঘড়ি সার ঘোষণা ও তার বাস্তবায়নে মানুষ প্রবলভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিহারে সার ঘোষনার পর কংগ্রেস, সি পি এম সহ সব দল সার বাতিলের কথা বলে। সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টা যায়। সুপ্রিম কোর্ট কিছু সংশোধনী দেয়। কিন্তু সার বাতিল করেনি।দেখা যায় বিহারে সারের ভিত্তিতে ভোটার লিস্ট তৈরি হয় এবং সেটা মেনে নিয়েই কংগ্রেস, সিপিএম, লিবারেশন,এস ইউ সি,আর জে ডি সহ বিভিন্ন দল নির্বাচনে লড়ছে।
এই রাজ্যে সার-কে নিয়ে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তি ছড়ানোর কাজ শুরু করে বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস।সারের পক্ষে কথা বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী সীমান্তে জনবিন্যাস পাল্টে যাচ্ছে বলে লালকেল্লা থেকে বলে। অমিত শাহ বলে, ঘুষপেটিয়াতে বাংলা ভরে গেছে। শুভেন্দুও দেড় কোটি নাম বাদ যাবে, রোহিঙ্গা,বাংলাদেশীদের তাড়ানো হবে বলে ভয়ঙ্কর উত্তেজনামূলক বক্তব্য রাখে।
অপরদিকে মমতা ব্যানার্জি সরকারীভাবে সার হবার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সবরকম সহযোগিতা করে চলেছে কয়েকমাস আগে থেকে।আর বক্তৃতায় প্রচণ্ড জোরের সঙ্গে বলে চলেছে, সার কোনভাবেই হতে দেবোনা ,সার মানেই এন আর সি , বেনাগরিক করা ইত্যাদি। তৃণমূলের কর্মীরা আরো জোরের সাথে প্রচার চালায়। একটা দলের চরম দ্বিচারিতা আমরা দেখলাম।ফলে সত্য মিথ্যা যাচাই-এর চেয়ে আতঙ্কের আবহাওয়া সৃষ্টি হয়েছে।
একজন নাগরিকের আত্মহত্যার পর আবার মমতা বলেছেন, সার মানেই এন আর সি।আর মৃত্যুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করেছে। আসলে ভোটের আবহে ওনার একটা লাশ চাই।আমরা তো জানি মমতা সরকার সারের সহযোগিতা মূলক কাজ তিন চারমাস আগে শুরু করেছে।
আতঙ্ক ছড়ানো, বিভ্রান্ত করার কাজ বিজেপি, তৃণমূল উভয়েই করেছে।
আজ ঐ নাগরিকের মৃত্যুর দায় বিজেপির সাথে তৃণমূলকেও নিতে হবে।












