স্নান করতে ঢুকবো,এমন সময় গিন্নির ফোন বেজে উঠলো সুললিত কন্ঠে। রিং টোনে ভেসে আসে ভরাট হৈমন্তিক কন্ঠ – “বসে আছি পথচেয়ে, ফাগুনের গান গেয়ে,যত ভাবি”…. পাছে কথা আরও গড়িয়ে যায় তাই একরকম ছুটে এসে ফোনটা রিসিভ করি। ওপার থেকে প্রমীলা কন্ঠ ভেসে আসে। হ্যালো বলতেই ওপার থেকে জবাব আসে……।
সন্ধে হতে না হতেই দেখি আমার শ্রীমতী বেশ পুণ্যবতী তপস্বিনীর সাজে সজ্জিত হয়ে বাইরে যাবার উদ্যোগ করছেন। খানিকটা সভয়েই বলি – “এই ভর সন্ধ্যায় চললে কোথায়?” “কেন তুমি জানো না? চিত্রা বৌদির বাড়িতে যাবো, পাড়ার অনেকেই যাবে।” সপাট উত্তর। এরপর আর কথা বাড়াইনি, নিজেকে সামলে নিই। জানি সব খবরই পেয়ে যাবো, মাঝখানে খালি ঘন্টা খানেকের উৎকন্ঠিত অপেক্ষা। বৈঠকখানার দেয়ালে ঝুলে থাকা ঘড়ি জানিয়ে দেয় – এখন ঠিক সাড়ে ছটা বাজে।
একেবারে বিজয়িনীর মতো তিনি এলেন ডট্ আটটায়। এতক্ষণ আমার মন উশখুশ করছিল এই সান্ধ্য অভিযানের ঠিকুজি কুলজি জানার জন্য । যাইহোক খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হলো না। মিনিট দশেকের মধ্যেই তিনি বেশ ব্রতকথা পাঠের মতো করে এই অভিযানের বেত্তান্ত নিবেদন করলেন। অবশ্য তার আগে একটা ছোট্ট ঘটি থেকে আঁজলা ভরে খানিকটা জল নিয়ে শান্তিবারি ছেটানোর মতো করে আমার মাথায় দিলেন। এই মুহূর্তে কিছু বললেই নতুন করে বাকযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে ভেবে চুপ করে রইলাম।
চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিতে দিতে নিজেই অন্তর্ধান রহস্যের নাড়ি নক্ষত্র সামনে আনলেন। চিত্রা বৌদির এক তুতো ভাই সপরিবারে গিয়েছিলেন পুণ্যস্নানের জন্য প্রয়াগরাজে। তিনিই অনেক কষ্ট করে সঙ্গমের পবিত্র নীর বয়ে নিয়ে এসেছেন তাঁর মুমুক্ষু পরিজনদের জন্য । সেই পবিত্র নীর চিত্রা বৌদি পাড়ার বন্ধুজনেদের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন।
এতক্ষণ ধরে যে উৎকন্ঠা আর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছিলাম তা মিটলো। কিন্তু অন্য অনেক বেয়াড়া প্রশ্ন মনে ও মগজে চাগিয়ে উঠলো। শাস্ত্র, সংস্কার, পাপ পুণ্য, লোকায়ত বিশ্বাস – এসব নিয়ে কথা বলার অধিকার আমার নেই, কেননা এসব নিয়ে কথা বলার জন্য অনেক অনেক গুণী সজ্জন মানুষ রয়েছেন ; আমি বরং এই মুহূর্তে সঙ্গমের নদীজল ও তার চর্চিত মান নিয়ে দুই একটা কথা বলি। পুণ্যতোয়া নদীর জলের প্রসঙ্গ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় মেতে উঠেছেন আদালতের মাননীয় বিচারপতি থেকে শুরু করে সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সদস্যরা, ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের সদস্যরা, ধর্মীয় নেতারা,আম পুণ্যার্থী, মায় উত্তরপ্রদেশের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সকলেই। এতো মানুষের উদ্বেগ উদ্বেলিত হৈ চৈ এর কারণ কী ? তাহলে কি জলমে কুছ কালা হ্যায়??
আমাদের কিশোর বেলায় ফিরে যাই। সবে হাত পা ছুড়ে জলে ভেসে থাকার কায়দা রপ্ত করেছি। বিকেল বেলা হৈ হৈ করে মাঠ দাপিয়ে ফুটবল খেলে ঝপাং করে পুকুরের জলে লাফ। তারপর অতবড়ো বাথটাবে চলে দাপাদাপি জনা দশেক কিশোরের। খানিক বাদেই জল ঘোলা হয়ে ওঠে। পরবর্তীতে যাঁরা স্নানের জন্য জলে নামবেন তাঁরা পাড়ে বসে বিরক্ত হয়ে অপেক্ষা করেন ,কতক্ষণে ঘোলা জলের কাদা থিতিয়ে গিয়ে তা তাঁদের স্নানের যোগ্য হয়ে উঠবে। এও এক প্রতীক্ষার পর্ব।
তিন নদীর মিলন স্থল হলো প্রয়াগরাজ , সাবেক এলাহাবাদ। গত সংক্রান্তির দিন থেকে শুরু হয়েছে পুণ্য স্নানের পর্ব চলবে মহা শিবরাত্রি পর্যন্ত। এই নিবন্ধটি লেখার সময় অবধি ভারতের নানা প্রান্তের পুণ্য লোভাতুর মানুষজনের একটাই গন্তব্য – কুম্ভমেলা, প্রয়াগরাজ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি,২০২৫, সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে সঙ্গমের জলের গুণগত মান নিয়ে গুরুতর কিছু প্রশ্ন তোলা হয়েছে। ১৬ তারিখেই ন্যাশনাল গ্রীন ট্রাইব্যুনালের প্রিন্সিপাল বেঞ্চের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব কঠোর ভাষায় উত্তরপ্রদেশ পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের সামনে কতগুলো জরুরি প্রশ্ন উত্থাপন করেছেন।
উত্তরপ্রদেশ পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের প্রধানের প্রতি বেঞ্চের অভিযোগ, “আপনারা প্রায় ৫০ কোটি মানুষকে নোংরা আবর্জনা পূর্ণ কলুষিত জলে স্নান করতে বাধ্য করছেন । শুধু তাই নয় এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ এই জল পান করতেও বাধ্য হচ্ছেন নীরব প্রশাসনের সৌজন্যে।” যথাসময়ে এই বিষয়ে রিপোর্ট পেশ না করার জন্য জাস্টিস প্রকাশ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কঠোর সমালোচনা করেছেন । বলেছেন, “ দায়িত্বশীল প্রশাসনের এই নীরবতা দেখে মনে হচ্ছে, আপনাদের ওপর উচ্চতর কোনো মহলের প্রবল চাপ রয়েছে।”
গ্রীন ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তুলে বলা হয়েছে, মেলা শুরুর আগে কেন নদীর জলের গুণগত অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হয়নি?কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি জলের গুণগত মান উন্নয়নে? পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে শহরের প্রধান পয়প্রণালীর দূষিত জল এসে পড়েছে সঙ্গমের অনতিদূরে। ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে রাজ্য দফতরের উদ্দেশ্যে ন্যাশনাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের পাঠানো এক রিপোর্টের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে NGT’র তরফে বলা হয়েছে – “দু সপ্তাহ পার হয়ে গেছে, অথচ বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা হয়নি। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়।”
CPCB’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,গত জানুয়ারি মাসের ১২ ও পরবর্তীতে ২৩ তারিখে তাঁদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ঘাটে জলের গুণগত মান পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছিল যে, তা বাঞ্ছিত স্তরের থেকে অনেকটাই নীচে রয়েছে, অর্থাৎ জল স্নানের উপযুক্ত ছিল না,পান করা তো দূরস্থ। CPCB’ র বিজ্ঞানীরা একসাথে সঙ্গমের গুরুত্বপূর্ণ ঘাটগুলোথেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করেন। এই ঘাটের মধ্যে রয়েছে শৃঙ্গবেরপুর ঘাট, লর্ড কার্জন ব্রিজের সংলগ্ন ঘাট, শাস্ত্রী সেতুর এলাকা, নাগবাসুকী মন্দিরের নিকটবর্তী পুনপুন ব্রিজের নিকটবর্তী এলাকা, সঙ্গম, দেহা ঘাট এবং পুরনো নৈনী সেতুর কাছে গঙ্গা ও যমুনার মিলনস্থল।
রিপোর্টে স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে যে পুণ্য স্নানের জন্য নির্দিষ্ট দিনগুলোতে বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেনের চাহিদা (BOD) সাধারণ স্বাভাবিক মানের তুলনায় অর্থাৎ প্রতি লিটার পিছু ৩ মিলিগ্রামের, অনেকটাই ওপরে ছিল। স্বাভাবিকের তুলনায় BOD’ র উচ্চ মান প্রমাণ করে যে, জল রীতিমতো দূষিত, কেননা এক্ষেত্রে জলে উপস্থিত অণুজীবীদের আরও বেশি পরিমাণে অক্সিজেনের প্রয়োজন হয় জলের সঙ্গে মিশে থাকা জৈব বর্জ্যকে বিয়োজিত করতে।
বায়োকেমিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ডের সাথে সাথে জলে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতির বিষয়টিও জলের গুণগত মানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সূচক। মানুষ ও অন্যান্য পশুদের মল থেকে উৎপন্ন ফেইকাল কলিফর্ম ব্যাকটেরিয়ার উচ্চ মাত্রায় উপস্থিতির বিষয়টিও যথেষ্ট উদ্বেগজনক। জলে এই ব্যাকটেরিয়ার ব্যাপক উপস্থিতি প্রমাণ করে যে সঙ্গমে নদীর জলে নালা নর্দমার জলের অবাধ মিশ্রণ ঘটছে। জল দূষিত হয়ে পড়ছে এরফলে। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা এর দরুণ জলবাহিত বিভিন্ন রোগ যেমন কলেরা, টাইফয়েড, ডায়োরিয়ার প্রকোপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। এমন আশঙ্কার মধ্যেই অবাধে চলছে স্নান, পুণ্যস্নান।
রিপোর্টে এমনই সব আশঙ্কার কথা খুব স্পষ্ট করে বলা সত্ত্বেও জলের গুণগত মান নিয়ে কোনো উৎকন্ঠা প্রকাশ করা হয়নি মেলা কর্তৃপক্ষের দিক থেকে। স্নানের জন্য নির্দিষ্ট ঘাটগুলোর জল যে ব্যাকটেরিয়া পূর্ণ,এই জলে ডুব দিলে যে স্নানার্থীরা স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের শিকার হতে পারে তা জেনেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এর মধ্যেই স্থানীয় হাসপাতালে জল বাহিত রোগে আক্রান্ত রোগীদের ভিড় বাড়ছে। এমন জলে স্নান (!) করে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ পাপস্খালন করলেন তা ভেবে চমৎকৃত হতে হয় বৈকি!
গপ্পোটা এখানেই হয়তো ধামাচাপা পড়ে যেতো , কিন্তু তা বোধহয় হলোনা। এমন একটা রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার ফলে উত্তরপ্রদেশ সরকার যথেষ্ট পরিমাণে বিব্রত। ধর্মীয় নেতারাও এই দূষণ প্রসঙ্গে খুল্লাম খুল্লা মন্তব্য করায় সরকারের অস্বস্তি যে আরও বেড়েছে তাই বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু দেশটার নাম যখন ভারতবর্ষ, রাজ্যের নাম যখন উত্তরপ্রদেশ, আর মুখ্যমন্ত্রীর নাম যখন যোগী আদিত্যনাথ তখন সব দোষ, আরোপ নীলকন্ঠ হয়ে হজম করতে আর কতক্ষণ ? মন্ত্রী মহোদয় এই সমস্ত তথ্যকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন – “ইয়ে সব বাকোয়াস্ হ্যায়, মিডিয়া কি অপপ্রচার। এয়সা কুছ নহী হ্যায়।” বুলডোজার বাবার যোগ্য জবাব সন্দেহ নেই।
সত্য সেলুকাস! কি বিচিত্র এই দেশ!
তথ্য সূত্র
ডাউন টু আর্থ পত্রিকা সহ অন্যান্য দৈনিক সংবাদপত্র।
ছবির জন্য
সংবাদপত্র ও প্রচলিত উৎসগুলোর কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
ফেব্রুয়ারি ২০,২০২৫
মধ্যমগ্রাম।
তথ্যগুলি সঠিক এবং যুক্তিযুক্ত… কিন্তু ঐ যে বলে না-“বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু, তর্কে বহু দূর”..
যত দিন যাচ্ছে, মানুষ সব জেনে-বুঝেও কুসংস্কারের অন্ধকারে হারাতে বসেছে নিজেকে..
এই প্রবচনের পাশাপাশি এই সত্যও আমাদের শিখেছি সংশয় থেকেই সত্যের জন্ম।সব কিছু মেনে নিতে নিতে আজ আমরা এখানে এসে পৌঁছেছি। ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বোধহয় এবার ভাবতে হবে। ধন্যবাদ মতামতের জন্য।
প্রশাসনের দায় তো আছেই।কিন্তু এত মানুষ সব জেনেও যাচ্ছে কেন? পতঙ্গ পাবকের দিকে ধাবমান হলে কারও কিছু করার আছে কি?
আম জনতা যাঁদের অধিকাংশই দিন আনি দিন খাই শ্রেণির, তাঁরা নিজের ইচ্ছায় চলে বলে মনে হয়? বছর ভর প্রচার, সমস্ত পাপ ধুয়ে ফেলে অমৃতময় জীবনের পরশ লাভের এমন সুযোগ কে হারাবে? পাবক না জ্বালালে পতঙ্গের দেখা পাওয়া যায়? পাবক পতঙ্গ পাপ পুণ্য সবই যে মায়ার খেলা!
লেখকের লেখার সঙ্গে আগেই পরিচিত হবার সুযোগ হয়েছে। এখন নতুন একটি বিষয় পাঠকদের জন্য তুলে এনে তিনি নতুন করে আমাদের সমৃদ্ধ করলেন। কিশোর বেলার জল দাপানোর কথার সঙ্গে এই সময়ে সঙ্গমের জলে গণ দাপাদাপির সম্মেলন খুব ভালো লাগলো।এমন লেখা আরও চাই।
আজ জনাকয়েক বিজ্ঞানী মত দিয়েছেন – ইয়ে সব বাকোয়াস্। গঙ্গার পানি নির্মল। কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মতো বৃদ্ধ মানুষ কী বললো তা নিয়ে কারও মাথাব্যথা নেই। একথা জেনেও লেখা জারি রাখতে হবে। মতামতের জন্য অনেক ধন্যবাদ।
I have seen even highly educated people going there to rinse their sins off 😊 So surprising…
In our country bookish knowledge is far away from the true realisation. Hence such shows must go on. We need to be very rational in every aspect of our life.
ভারতবর্ষ কে হিন্দু রাষ্ট্রে পরিণত করাই একমাত্র লক্ষ্য। যারা চায় তারাও সবটাই বোঝে।
যুক্তিতেই মুক্তির পথ খুঁজতে হবে।
স্কুল জীবনে শিখেছিলাম বিজ্ঞানকে সম্বল করতে, সবকিছুকে বিজ্ঞান এর আলোকে বিচার করে তবেই গ্রহণ করতে। এখন সমাজের সব ক্ষেত্রে যা অবস্থা তাতে খুব দ্রুতগতিতে পিছনের দিকে এগোচ্ছি। জানিনা কোথায় এর শেষ।।।
বিজ্ঞান কি বলছে তার থেকেও বড় হয়ে দাঁড়ায় জীবনের পূণ্য অর্জন। সমস্ত বোধ আর চেতনার বিসর্জন হয় সঙ্গমের জলে। এ ব্যাপারে ক্যাটালিস্টের কাজ করে রাজনৈতিক নেতারা।
একদম ঠিক কথা। আজকের সংবাদপত্রে ঢালাও প্রচার করা হয়েছে মান্যবর সব সেলিব্রেটিদের মন্তব্য নিয়ে। একটা চিরায়ত প্রথা, তাকে নিজেদের তথাকথিত সাফল্যের ধ্বজা হিসেবে তুলে ধরতে সবাই মরিয়া হয়ে উঠেছে। তথাকথিত আবেগের থেকে যুক্তির ধার হেরে যাচ্ছে।