সব বাবা-মা ভাবেন অন্যের বাচ্চারা সেক্স করবে, কিন্তু আমার বাচ্চারা ওসব খারাপ কাজ কখনোই করবে না। আমাদের একটা বংশমর্যাদা আছে, শিক্ষা আছে।আমাদের পরিবারে এসব হয় না। আমরা ওদের ঠিকঠাক শাসন অথবা বন্ধুর মতো মিশি। যদি স্কুলে যৌন শিক্ষার কথা হয় তারা প্রথমে বারণ করবে কারণ বাচ্চারা উচ্ছন্নে যাবে,বাড়িতেও এই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে না। কিন্তু আজকাল বাচ্চাদের হাতে ফোন, তাদের কাছে ইন্টারনেটে পর্ন দেখা, বা ভিডিও , রিলস দেখা তাদের হাতের মুঠোয়। চাইলে তারা ভিডিও কলে অপরদিকে দেখতে পারে ,দেখাতে পারে। দু তিন ঘণ্টার জন্য oyoতে ঘর ও পাওয়া যায়।এই বয়সে এরা জানে বেশি কিন্তু বুঝে কম ।তাই এখন টিনএজারদের মধ্যে অবাঞ্ছিত প্রেগনেন্সি, যৌন রোগের সমস্যা বাড়ছে। যৌন রোগ মানে শুধু গনোরিয়া, সিফিলিস বা এইচআইভি নয়, হার্পিস, HPV ভাইরাস, ক্লামাইডিয়া টিনএজে কমন। HPV পরবর্তীকালে ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্যান্সার করতে পারে এবং ক্লামিডিয়া মেয়েদের বন্ধ্যত্বের একটা বড় কারণ।
পশ্চিমবঙ্গে ১৫ থেকে ১৯ বছরের মধ্যে প্রেগনেন্সি রেট ১৬.৪% যা জাতীয় গড়ের থেকে বেশি। তারা বন্ধুদের সাথে গিয়ে এবরশন করে আসছে। কম্লিকেশনের শিকার হচ্ছে। ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছে।
তাই আমাদের উচিত এই বিষয়ে খোলাখুলি আলোচনা করা, ওদের কথা শোনা। এই বয়স দিয়ে আমরা সবাই পেরিয়ে এসেছি আমরা জানি যে বারণ করলেও ওরা শুনবে না বা ওদের হরমোন, ওদের কৌতূহল ওদের শুনতে দেবে না। তাই বাচ্চাদের সবকিছু ঠিকঠাক শেখানো আমাদের কর্তব্যের মধ্যেই পড়ে সে স্কুলেই হোক বা বাড়িতে।









