★
(আগামী সাতই এপ্রিল দু্হাজার পঁচিশ তারিখে নেতাজি ইন্ডোরে যে সার্কাসটা হবে, সেখানে ট্র্যাপিজ-কুশলিনী সম্ভাব্য যে যে খেলা দেখাবে তার একটা সম্ভাব্য লিস্ট দিলাম। মিলিয়ে নেবেন।)
১)
বাতিল চাকরির ছেলেমেয়েদের অ্যাডহক নিয়োগ দেব উইথ ইমিডিয়েট এফেক্ট। যে যেখানে আছে যে স্কুলে সেখানেই।
যুক্তিঃ– অ্যাকিউট শিক্ষা সঙ্কট।
অতীতে এই রকম অ্যাড হক নিয়োগ হয়নি কি? হ্যাঁ, হয়েছে তো! ১৯৮৩ সালের শেষদিকে প্রায় সর্বাত্মক জুনিয়র ডাক্তার ধর্মঘটের সময়ে বামফ্রন্ট সরকার(তৎকালীন জনগণের চোখের মণি) চিকিৎসা-ব্যবস্থা বিপন্ন এই অজুহাতে প্রচুর ডাক্তার অ্যাডহকে নিয়োগ করেছিল। আমিও সেই ইতিহাস নির্দেশিত মহান পথে হাঁটব। এবারে তো বাংলার শিক্ষা বিপন্ন। হ্যাঁ, হাঁটা যেতেই পারে।
প্রতিযুক্তিঃ-
সারা জীবন অ্যাডহক থাকবে ওরা?
আহা, তা কেন? ওই আগের গরমেন্ট যেমন কয়েক বছর বাদে, অ্যাডহক ডাক্তারদের কনটিনিউইটি সমেত রেগুলারাইজ করেছিল, এবারেও তাই করে নেওয়া হবে।
কয়েক বছর বললাম বলে চিন্তা করছিস নাকি? নো চিন্তা, ছাব্বিশেও ফের আমিই, মানে আমরাই। ওই “আমরা সবাই চোর” বলে যারা মিছিল করেছিলাম।
এই লেজে গোবরে হয়ে কেঁদে আকুল হওয়া ছাব্বিশ হাজারের সলিড ক্যাডার বাহিনী এবারের ভোটের আগে আমার সঙ্গে। প্রচারে,ভোটের কাজে, কাউন্টিংয়ে।
সুপ্রিম চাকরি বাতিল করেছে। কিন্তু নেহাত সাদা খাতার ওস্তাদদের ছাড়া আর কাউকে টাকা ফেরাতে তো বলেনি। আমার চালে সবাই খুশ হয়ে যাবে।
২)
ট্র্যাপিজের দ্বিতীয় খেলাটি হতে পারে, তোদের কন্ট্র্যাকচুয়ালে লাগিয়ে দেব। ওই যেমন সিভিক পুলিশ, তেমনই। তোরা হবি সিভিক মাস্টার।
মাইনে যাই হোক। সিভিক পুলিশদের যেমন বলেছি রাস্তা থেকে গাড়িকে ভয় দেখিয়ে, বেচাল নাগরিককে ধমকে চমকে, বাকি টাকাটা তুলে নিতে, তোরাও তেমনি স্কুলে কম পড়িয়ে, টিউশনির ছপ্পর খুলে, ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে, শিক্ষা-সিন্ডিকেটের মেম্বার হয়ে টাকা তুলবি। দিন গুজরান করবি।
এতে আমার অ্যাডভান্টেজ হল কন্ট্র্যাকচুয়ালে থাকলে তোদের ওপর কনট্রোল থাকবে। আমার দাস সাম্রাজ্যে টম কাকার কেবিনের টম হবি তোরা। কী আনন্দ!
কী নিখুঁত স্ক্রিপ্ট। পুরোই স্বপ্নলব্ধ।
শালা, কপাল একেই বলে। জিও সুপ্রিম। তুমি না থাকলে কি এই বিরাট ক্যাডার বাহিনী পেতাম, ছাব্বিশের ভোটের আগে?
আচ্ছা, সুপ্রিম যে বলেছে ফের পরীক্ষা নিতে?
হ্যাঁ, নেব তো! সেই পুনর্পরীক্ষার সময় ফের দামাল দালালেরা ঝাঁপাবে মার্কেটে। ফ্রেশ বাজারে পুরোনো কায়দায় যা কামানো যায়।
কী ভাবছিস? স্বচ্ছতা? সেটা এবারে তোদের ইয়েতে ঢেলে দেব রে। ক্রিস্টাল ক্লিয়ার মুক্তকচ্ছ স্বচ্ছতা। রাস্তা আঁকড়ে পড়ে থাকা গাধাগুলোর দুচাট্টেকে চান্স দিয়ে দেব নতুন পরীক্ষায়। পুরোনোদের বেশ কিছুকেও দেব।
চাকরি দেবার মেশিন আমার, মেশিন চালাবার লোক আমার। যারা সংজ্ঞায় স্বয়ং শাসিত, কিন্তু আমিই চাকরি দিয়েছি বলে আদতে চটি-শাসিত। সব আমার কথামতো চলবে।
ছাব্বিশ হাজারের হিসেব মিলিয়ে দেব। আদালতকে আর জন-গণেশ থুড়ি জন-গর্দভদের মুগ্ধ করে দেব মুখ তোড় জবাবে।
দেখলে হবে? খচ্চা আছে!
কিছু এক্সট্রা খরচা হবে। সেই এক্সট্রা খরচের হিসেব তুলে হেঁচকি তুলে কাঁদব, আসন্ন ডিএ মামলায়। গলে যাবে বিচারকের মন। খুব তড়পাচ্ছে ডিএ চাওয়া কুত্তাগুলো। সেই কেসও সালটে নেব এই হিড়িকে।
শয়তানের কাছে আত্মা বিক্রি করতে সাতই এপ্রিলের সার্কাসে আসিস সবাই।
★










