ব্রেস্ট ক্যান্সার একটি নিরাময়যোগ্য ক্যান্সার। কিন্তু এর চিকিৎসা প্রক্রিয়া দীর্ঘ। প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস। আর অল্প কিছু ক্ষেত্র ছাড়া প্রায় সবার অপারেশন, রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি লাগে। এতদিন রেডিয়েশন দেওয়া হত তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহে কিন্তু গত বছর ইউ কে থেকে ফাস্ট ফরোয়ার্ড ট্রায়াল প্রকাশিত হয় ল্যানসেট জার্নালে। এতে মাত্র পাঁচ দিনে (এক সপ্তাহে) রেডিয়েশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে একই ফলাফল (নিরাময় এবং সাইড এফেক্ট তিন সপ্তাহের সঙ্গে তুলনা করে) পাওয়া গেছে। করোনা আবহে গত বছর এই ট্রায়াল প্রকাশিত হবার পর থেকে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল মুম্বাইয়ে এর প্রয়োগ শুরু হয়। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এর সময় আমি কলকাতা এপোলো হাসপাতালে এই প্রোটোকল শুরু করি এবং খুবই আশাপ্রদ ফল পাই। এতে যাতায়াত, থাকা খাওয়ার খরচ রোগী এবং তার এটেডেন্টের অনেকাংশে কমবে। কাজের দিন কম নষ্ট হবে। যেহেতু রেডিয়েশনের সুবিধা কেবল বড় বড় শহরে আছে সেহেতু এই পদ্ধতিতে রোগীরা যাঁরা বাড়ি ছেড়ে দূর শহরে থাকতে বাধ্য হন রেডিয়েশনের জন্য তাঁরা উপকৃত হবেন। বিদেশ থেকে আগত রোগীদেরও অনেক সুবিধা হবে। সর্বোপরি করোনা আবহে হাসপাতালে মাত্র পাঁচদিন এলেই রেডিয়েশন চিকিৎসা সম্পূর্ণ হবে। অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক ভাবে রোগী উপকৃত হবেন ও অতিমারীর আবহে এই এক সপ্তাহের চিকিৎসা এক আশীর্বারস্বরূপ।
যাঁরা ব্রেস্ট ক্যান্সারের সাথে লড়াই করছেন তাঁদের কাছে এই বার্তাটি পৌঁছে দিন।