ডাবের জল কি শরীর ঠান্ডা করে? ডাবের জলের কি সত্যি কোন ঔষধি গুণ আছে?
এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আমাদের জানতে হবে ডাবের জলে ঠিক কী কী থাকে।
১০০ মিলি লিটার ডাবের জলে থাকে ৯৫ মিলি লিটার জল, ৩.৭ গ্রাম শর্করা এবং অত্যন্ত অল্প পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন। এতটাই কম পরিমাণে, যা দেহের বিশেষ কাজে লাগে না।
এছাড়াও খুব অল্প পরিমানে নানা রকম ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। আমাদের দেহের প্রাত্যহিক প্রয়োজনের ১০ শতাংশেরও কম। অতএব ডাবের জল দিয়ে এই মিনারেল এবং ভিটামিন এর চাহিদা পূরণ সম্ভব নয়। অসুস্থ বা সুস্থ কোনো অবস্থাতেই নয়।
বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে ডাবের জলের নিম্নলিখিত কোনো ক্ষমতা নেই
১.রোগ জীবাণু প্রতিরোধের ক্ষমতা
২.কোলেস্টেরল কম করার ক্ষমতা।
৩.ব্লাড সুগার কম করার ক্ষমতা।
৪. ডায়রিয়া রোগীদের ইলেকট্রোলাইট ও জলশূন্যতা ঠিক করার ক্ষমতা।
ডাবের জল অন্য সব বিশুদ্ধ জলেরই গুণসম্পন্ন। বিশুদ্ধ জলের চেয়ে বেশি বা কম গুণ ডাবের জলে নেই। কাজেই বিশুদ্ধ জল খেলে যদি পেট ঠান্ডা থাকে তাহলে ডাবের জলেও পেট ঠান্ডা থাকবে। একই রকম। কমও না বেশিও না।
ডাবের জলে পটাশিয়াম অন্যান্য পানীয়ের চেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে৷ তাই রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে অনেক সময় চিকিৎসকেরা ডাবের জল খেতে বলেন। উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে ডাবের জলের পটাশিয়াম সুফল দিতে পারে।
কিন্তু এটাও মনে রাখা দরকার, কিডনির অসুখে বেশি পরিমাণে ডাবের জল খাওয়ার ফলাফল মারাত্মক হতে পারে। রক্তের পটাশিয়ামের মাত্রা বেড়ে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
একটা আশ্চর্য জনক সত্য বিভিন্ন জায়গায় বয়স্কদের নিস্কৃতি মৃত্যু দেওয়ার জন্য ডাবের জল খাওয়ানোর প্রচলন ছিলো। তামিলনাড়ুতে একে বলে থালিকোথাল। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন।
গরম কালে তেষ্টা মেটানোর জন্য একটা ডাবের জল খাওয়া যেতেই পারে৷ তাতে তেমন কোনো ক্ষতি নেই৷ তবে সাধারণ জলের তুলনায় লাভও বেশি নেই।