মেডিক্যাল ফিল্ডে বিভিন্ন জিনিসের নামকরণ পরিবর্তিত হতে থাকে। কখনো সেটা বেশি খাপ খায় বলে, কখনো সেটা বিতর্কিত মানুষদের প্রসঙ্গ দূরে রাখতে। যেমন ধরুন হার্ট অ্যাটাকের নাম কখনো হচ্ছে একিউট করোনারি সিন্ড্রোম, কখনো হচ্ছে একিউট মায়োকার্ডিয়াল ইস্কেমিয়া সিন্ড্রোম। ওয়েজেনার গ্রানুলোমাটোসিস হয়ে যাচ্ছে জিপিএ ইত্যাদি ইত্যাদি।
সেরকমই এককালে মানুষজনকে কিডন্যাপ করলে সেটাকে আমরা ইমার্জেন্সী বলতাম। এখন গণতন্ত্রের হদ্মমুদ্দ, ইমার্জেন্সী বলা যায় না। এখন মানুষ কিডন্যাপ হলে ন্যাশনাল সিকিউরিটি এক্ট বলতে হয়।
আগে ঘুষ নিলে স্ক্যাম ইত্যাদি বলা হতো। কিন্তু যেহেতু এখন সব সরকারই কোনো স্ক্যামে জড়িত থাকেন না, একদমই স্বচ্ছ ভাবমূর্তি – তাই এখন এটাকে আমরা ইলেক্টোরাল বন্ড বলে ডাকি।
আগে পেট্রোলের দাম বাড়লে, খাবারের দাম বাড়লে সরকারকে গালাগালি দেওয়া হতো। এখন বলতে হয় এই টাকা ভারতের বিকাশে কাজে লাগছে। দেশের স্বার্থে দান করে দিতে হয়।
আগে জিনিসের মধ্যে অশুদ্ধি মেশালে সেটাকে অশুদ্ধি বলা হতো। এখন এটাকে পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ বলা হয়।
পৃথিবীতে বেঁচে থাকতে হলে নতুন টার্মিনোলোজি জানুন, নয়তো পিছিয়ে পড়বেন।