তাহলে তো Steven Cheung,White House Communications Director ভুল কিছু বলেন নি, “The Nobel Committee proved they place politics over peace”.
নোবেল শান্তি পুরস্কার এমন একজন পেলেন যার দল Vente Venezuela নাকি ২০২০ সাল থেকে ইস্রায়েলের প্রধান শাসক দল ‘লিকুড পার্টি’র সঙ্গে সহযোগিতার চুক্তিতে আবদ্ধ, এমনকি তার দেশে ইস্রায়েলের হস্তক্ষেপও তার কাছে স্বাগত, ” The struggle of Venezuela is the struggle of Israel”..ইস্রায়েল তার কাছে “genuine ally of freedom”…….
এই বছরের গোড়ায় মাদ্রিদে অতি দক্ষিণপন্থীদের সম্মেলনেও তার সহমর্মিতা ছিল’, যেখান খেকে আহ্বান করা হয় New Reconquista এর। Iberian peninsula থেকে মুসলিম শাসকদের(Moors)বিতারণ ও মুসলিমমুক্ত( তার সঙ্গে ইহুদীও) করার কয়েক শতক ধরে সংঘর্ষ যা পঞ্চদশ শতকের একেবারে শেষে গ্রানাডার যুদ্ধে পরিণতি প্রাপ্ত হয়, তার পুরো পদ্ধতি বা সময়কালই পরিচিত Reconquista (reconquest) নামে।
যদিও এর বিপরীতেও যুক্তি আছে যে কঠিন অবস্থায় কোনো শক্তিই অচ্ছুৎ নয়,’মারি অরি পারি যে কৌশলে’ ! আর, ভেনেজুয়েলার মাদুরা সরকারের বিরোধিতায় চরম দক্ষিণপন্থী, উদারপন্থী, এমনকি বামপন্থীও আছে। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তা নিজেকে ‘উদারপন্থী’ বলেই পরিচিতি দেন।’উদারপন্থী’ অর্থে তিনি সরকার নিয়ন্ত্রিত ‘Petroleos de Venezuela,SA(PVDSA) কে বেসরকারিকরণ ও উন্মুক্ত ‘বিদেশী পুঁজির বিনিয়োগের’ পক্ষে। মানে যথেষ্টই উদার……..
‘মাদুরা সরকার’এর বিরুদ্ধে সাধারণ ‘নাগরিক অধিকার’ হরণ ও নির্বাচনে জালিয়াতির বিভিন্ন অভিযোগ আছে, যা অনেকাংশে সত্যিও হতে পারে।ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিতে প্রগতিশীল ও সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারার ব্যাপক উপস্থিতি থাকলেও ক্ষমতার কেন্দ্রীকরণ ও স্বৈরতান্ত্রিক হয়ে ওঠার ঝোঁক ভালোই আছে। কাছের দেশ নিকারাগুয়ায় এককালের ‘স্যান্ডিনিস্তা বিপ্লবের’ নেতা ড্যানিয়েল ওর্তেগা ২০০৭ সাল থেকে টানা প্রেসিডেন্ট এবং ২০১৭ সাল থেকে ভাইস প্রেসিডেন্ট তার স্ত্রী যিনি আবার এই বছরের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে দেশের Co-President তার স্বামীর সঙ্গে !
এটা ঠিক যে ‘মাদুরা সরকার’কে দরাজ সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু, এক্ষেত্রে শান্তি প্রক্রিয়ায় এই ভদ্রমহিলার ‘নোবেল প্রাপ্তি’ কী ভূমিকা নিতে পারে, সেটাই পরিষ্কার নয়। বরং এই পুরস্কার,ভেনেজুয়েলার বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশী পুঁজির আগ্রাসন ও হস্তক্ষেপের সম্ভাবনাকেই আরও উৎসাহিত করবে বলেই মনে হয়। বিশেষতঃ,আমেরিকার ‘মাদুরা’কে হুমকি আর ইস্রায়েলের সাম্প্রতিকতম ভুমিকার প্রেক্ষিতে খোলোখুলিভাবে মার্কিন ও ইস্রাইলপন্থী শ্রীমতী ম্যাচাডোর ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ প্রাপ্তি যে শান্তির চেয়ে রাজনীতিকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে ও দেবে, এই কথা অবশ্যই একশ কেন দুশ শতাংশ সত্যি।হোয়াইট হাইসের জনসংযোগ প্রতিনিধি একদম সঠিক, অন্ততঃ এ ক্ষেত্রে !!
তবে অনেক সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন নোবেলজয়ী শ্রীমতি ম্যাচাডো, এই জয়কে ‘প্রেসিডেন্ট সাহেব’কে উৎসর্গ করে। আসল জয় তো ট্রাম্প সাহেবের, সারা পৃথিবীর শান্তি-অশান্তির যিনি চূড়ান্ত নির্ধারক শক্তি ! উৎসর্গ-টুৎসর্গ নয়, একেবারে আনুষ্ঠানিক ভাবেই বরং তার হাতে তুলে দেওয়া হোক আগামী বেশ কিছু বছরের ‘নোবেল শান্তি পুরস্কার’ !!
আমাদের আর কি? আমাদের চতুর্দশ পুরুষের ভাগ্যি যে আমাদের ‘মাননীয়া’কে নোবেল কমিটি খুঁজে বার করেনি। কেউ কোনো ‘নমিনেসন’ দেয়নি তার নামে এ তো আর হতে পারে না !!