যদিও শক্তিগড়ের ল্যাংচা আমার কাছে একটি চুড়ান্ত ওভাররেটেড মিষ্টি দ্রব্য, বহুবারই খেয়েছি!
বলা চলে- হুজুগে মেতে।
একটি ভিডিও দেখছিলাম। শক্তিগড়ে
পচা ল্যাংচা ফের ভেজে নেওয়া হচ্ছে বিক্রি করার জন্য!
তারপর এই খবর। সম্ভবত ধরা পড়া ল্যাংচাগুলোকে কবর দেওয়া হলো।
এবার প্রশ্ন হলো – এই কাজটা শুধু একদিন হয়েছে, এমনটা ভাবা চুড়ান্ত নির্বুদ্ধিতা!
কত মাস বছর ধরে পচা ল্যাংচা মানুষকে খাওয়ানো হয়েছে, সেগুলো খেয়ে মানুষের কতটা শারীরিক ক্ষতি হয়েছে, এর কোনটাই আর পরিমাপ করা সম্ভব হবে না!
যতটা ধরা পড়েছে, কোন ভাবে এই সব অসৎ ব্যবসায়ীদের যদি শাস্তি হয়ও, তাহলে তার পরিমাণ ধরা পড়া পচা ল্যাংচা র সমানুপাতিক ই হবে – এটা বলাই বাহুল্য।
এমনও হতে পারে – কোন শাস্তিই হল না!
অসম্ভব নয়।
এবার ভাবুন তো –
এই সব পচা ল্যাংচা খাওয়া মানুষগুলোই যদি হাসপাতালে এসে তথাকথিত “চিকিৎসায় গাফিলতি” র অভিযোগ তোলেন, তাহলে ঠিক কী কী হতে পারে?
‘ওই দেখা যায় ডাক্তার’ শুনলেই
আপনার হাত নিশপিশ করে উঠবে!
দু’চার ঘা না দিতে পারলে মানসিক শান্তি পাবেন না।
অথচ গাফিলতি ঠিক কী, সেটা জানার কোন আগ্রহ আপনার মধ্যে থাকবে না!
আর ঠিক তারপরই …
দল বেঁধে শক্তিগড় পেরোনোর সময় মনের মধ্যে একটু ল্যাংচা ল্যাংচা কীর্তন শুরু হবে।
বড় বড় বাবুরা গাড়ি থামিয়ে পোসেনজিৎ রঞ্জিত মল্লিক খ্যাত ল্যাংচাঘর/ল্যাংচাকুঠি ইত্যাদি ইত্যাদিতে পচা ল্যাংচার স্বাদ উপভোগ করতে করতে ডাক্তারের নামে পিণ্ডদান করবে!
প্রসঙ্গত বলি – একবার এরকম এক বাবুর সঙ্গে শক্তিগড়ের এক ল্যাংচা র দোকানে বসেই তর্ক হচ্ছিল!
তেনার বিজ্ঞজনের মত মতামত ছিল- বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তেমন চিকিৎসা টিকিৎসা কিছু হয় না!
ডাক্তাররা আসে আর যায়!
দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি – আমি তখন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজেই কাজ করি। শুধু বলেছিলাম – একদম ঠিক বলেছেন! সকাল থেকে দুপুর, দুপুর থেকে রাত, তারপর আবার নাইট ডিউটি… ঘরে শুধু খেতে যাই আর চলে আসি!
কখনো তো শুধু আসি … যেতেই পারি না।
সেই ল্যাংচা বাবুটির মুখটা আজ খুব মনে পড়ল!










ডাক্তারবাবু আমি আপনার লেখার একজন পাঠক। মূলত বিজ্ঞান কথা গ্রুপে পড়ি। এই লেখা প্রসঙ্গে দুটি কথা বলার আছে যেহেতু আমার বামচন্ডীপুরে মানে বর্ধমান, শক্তিগড়ের কাছেই বাড়ি।
যে জায়গায় ল্যাংচার দোকান গুলো আছে ওটার নাম আমড়া, শক্তিগড় হাই রোডের উপরে পরে না, তাই ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন নামে যে বিখ্যাত বা সত্যি বলতে কুখ্যাত দোকানগুলো থেকে মানুষ তথাকথিত শক্তিগড়ের ল্যাংচা কিনে খায় তা আদৌ শক্তিগড়ের ল্যাংচা নয়। আসল শক্তিগড়ে গিয়ে ল্যাংচা ভবনের ল্যাংচা ট্রাই করে দেখবেন, আশা করি আশাহত হবেন না। প্রসঙ্গত আমি কোনও ভাবেই ল্যাংচার দোকানের সাথে যুক্ত নয়। আমি ওখানকার লোকাল হিসেবে যেটুকু জানি তাই বললাম আর কি।