পঁয়তাল্লিশ বছর……
কারোর সামনে মাথা না নুইয়ে শিরদাঁড়া সোজা রেখে কথা বলা,কঠিন পরিস্থিতিকে নির্ভীকভাবে চ্যালেঞ্জ করে ন্যায্য অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া,সবার জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্য,রোগী-চিকিৎসক অধিকাররক্ষায় সরব হওয়া,সামগ্রিকভাবে ছাত্রস্বার্থ ও গণতান্ত্রিক অধিকাররক্ষায় লড়ে যাওয়া। পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতি, ক্ষমতাদখলের রাজনীতির উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধের ভিত্তিতে ভর করে মেডিকেল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন আজও সমান প্রাসঙ্গিক ক্যাম্পাসে,তার বাইরেও।সত্তরের দশকে SA-DSA আন্দোলনের হাত ধরে একসময় কলকাতা ও তার বাইরের আরো বিভিন্ন কলেজে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এরকম আরো অনেক গণতান্ত্রিক ছাত্রসংগঠন তৈরী হলেও দুর্ভাগ্যক্রমে অনেকেই হারিয়ে যায় গত শতকেই। MCDSA সেই কঠিন পরিস্থিতির সাথে লড়াই করে অস্তিত্ব রক্ষায় সক্ষম হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ের হোস্টেল আন্দোলন, জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলন ও সব রোগীর জন্য মেডিকেল কলেজকে উন্মুক্ত করার আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করেছে MCDSA। একসময়ে এসএফআই, আর পরবর্তী সময়ে তৃণমূল সরকারের আক্রমণের মুখোমুখি হয়ে প্রতিহত করেছে গণতান্ত্রিক অধিকারহরণের ঘৃন্য প্রচেষ্টাকে।
১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত সংগঠন আজ অনেকটা পথ অতিক্রম করেছে। আরো অনেকটা চলা, অনেককিছু করে দেখানো বাকি। যতদিন রোগী, ছাত্র ও চিকিৎসকদের স্বার্থকে আক্রমণ করবে শাসনযন্ত্র ততদিন মেডিকেল কলেজে ধ্বনিত হবে, “March on March on March on DSA! Long live Long live Long live DSA! MCDSA জিন্দাবাদ!”
#প্রতিস্পর্ধারপঁয়তাল্লিশবছর
#Marchondsa