যে সময় মনে হয়েছিল প্রশাসনিক মদতে অভয়ার প্রাতিষ্ঠানিক হত্যা আইনের দরজায় মাথা ঠুকেই শেষ হয়ে যাবে আর নির্লজ্জ সরকার উল্টে আন্দোলনকারীদের উপরই স্বৈরাচার চালিয়ে যাবে- সেই মুহূর্তেই অভয়ার মা-বাবা সরকারের গালে গালে থাপ্পড় মেরেছেন। এই লড়াই আরো বহুদূর যাবে, কিন্তু আপাতত ব্যক্তিগত ব্যস্ততার কারণেই সেই আন্দোলনের মুলস্রোত থেকে একটু দূরত্ব রাখতে হচ্ছে। হয়তো আগামী দিনে আবারও এই নিয়ে অনেক কাজকর্ম হবে।
কিন্তু একটা কথাই বলার- জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন মিথ্যা ছিলনা, যে যতই কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করুন। যে রাস্তায় হেঁটেছি, যাদের সাথে হেঁটেছি, যাদের সাথে রাস্তায় দিনরাত কাটিয়েছি- তাদের লড়াই ধান্দাবাজ রাজনৈতিক নেতারা বিচার করতে পারবেন না সেটাই স্বাভাবিক। হ্যাঁ, জিততে পারিনি এখনো, সেটা স্বীকার করি। কিছু ভুলত্রুটি হয়েছে সেটাও স্বীকার করি। নব্য জুনিয়র ডাক্তারেরা প্যাঁচাল রাজনীতির চক্রব্যূহে আটকে পড়বে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু রাজনেতারা জেনে রাখুন এই আন্দোলনের আগুন সহজে নেভার নয়…
আন্দোলন নিয়ে লেখা যখন শুরু করি, তখন আন্দোলন শুরুই হয়নি তেমন- স্লোগান দিতেও জানতাম না। জাস্ট নিজের ভেতরে জমে থাকা ক্ষোভ-দুঃখ থেকেই লেখার শুরু। থামতে পারিনি প্রায় একশ’ দিন পেরিয়েও।
তবে সেটা মলাটের মধ্যে ঠাঁই পাবে ভাবিনি। Punyabrata Goon স্যার আর Aindril Bhowmik দার ঐকান্তিক ইচ্ছাতেই অবশেষে বইমেলায় স্থান পেলো। ‘ডক্টরস ডায়লগ’, ‘স্বাস্থ্যের বৃত্তে’ ও ‘অনুষ্টুপ’ পত্রিকায় আংশিক প্রকাশের পর অবশেষে একক বই হিসাবে প্রকাশ হচ্ছে প্রণতি প্রকাশনীর পক্ষ থেকে। প্রচ্ছদ এঁকেছেন Nilanjana।
বইটা উৎসর্গ করেছি অভয়ার মা-বাবাকে। ওঁদের লড়াইকে কুর্ণিশ জানাই। এই দুর্নীতির পাঁকে ডুবে থাকা রাষ্ট্রে ওঁরা সুবিচার পান- প্রজাতন্ত্র দিবসে এর বেশি কী চাইতে পারি!!









