কিছু খবর বিশ্বাস হয় না।
আমার গান শুনতেন ফেসবুকে। নিজে থেকে যোগাযোগ করে বন্ধুত্ব করেছিলেন।
বলেছিলেন স্যার নয়। জেঠু বলবি আমাকে। তাই বলতাম। বহরমপুর চলে আসার পর কম কথা হত।
স্বাস্থ্য নিয়ে অনেক বক্কাবাজি অনেক ফাঁকা আওয়াজ শুনি। এই মানুষটা শুধু নিজে সরকারী স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ছিলো তাই নয় অজস্র ডাক্তার বই পড়া নয়, সত্যি সত্যি ডাক্তারীটা একটা ধর্ম ভেবেছে জেঠুর জন্য।
আব্দার করে একদিন আমার ভাড়া বাড়ি এসে লাঞ্চ করে গেছিলেন। শুধু তাই নয় ফোন না করলে অভিমান করতেন। বাড়ি নিজে হাতে স্ন্যাক্স করে দিতেন।
একটা মজার জিনিস খুব বেশী পোস্ট নেই। থাকবেও না।
ডাঃ অনিরুদ্ধ করের সামনে বিবেক নিয়ে আমরা অনেকেই হয়তো দাঁড়াতে ভয় পাবো।
আমার তো এখনো মনে হয় বাবাকে ফোন করলে বাবা উত্তর দেবে। জেঠুও মারা গেছে এটাও মাঝে মাঝে বিশ্বাস হবে না।
শুধু আক্ষেপ আরেকটু সান্নিধ্য পেলাম না।–ডা অনির্বাণ দত্ত
স্যার, ভালো থাকবেন
আর কথা হবেনা কোনদিন। আর পাবো না ঝামেলার কেস রেফারাল। আর পাবো না ফুলের মুগ্ধতা ভাগ করে নেওয়ার আনন্দ। আর হবে না নাস্তিক Vs আস্তিকের মতানৈক্য। আর হবে না স্বাস্থ্যসচেতনতা নিয়ে কথাবার্তা।
একজন মেরুদণ্ডী, সৎ,স্পষ্টবাদী স্বাস্থ্য প্রশাসককে হারালাম।আমার মত হাজার হাজার মানুষের শ্রদ্ধা আর শুভেচ্ছা আপনার নতুন যাত্রায় সাথি হয়ে থাক।–ডা নিশান্তদেব ঘটক
আমাদের প্রিয় অনিরুদ্ধদার (ডা. অনিরুদ্ধ কর, বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রশাসক ও গণ স্বাস্থ্য অন্দোলনের এক গুরুত্বপূর্ণ যোদ্ধা) মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।
প্রায় চার দশক আগে তাঁর National Medical College এর PP Unit এর Medical Officer থাকাকালীন ‘পিপলস হেলথ’ পত্রিকায় তাঁর লেখা সংগ্রহ দিয়ে শুরু। তারপর তাঁর অধীনে তাঁর সাথে দীর্ঘদিন কাজ করা, বহু আলোচনা, তর্ক, মনোমালিন্য, অভিমান। কিন্তু অটুট বন্ধুত্ব।
সেসব আজ অতীত। উত্তর চব্বিশ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক, রাজ্য কুষ্ঠ ও যক্ষ্মা আধিকারিক, রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা হিসেবে তাঁর ছিল গুরুত্বপূর্ণ অবদান।
আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে প্রাচীন ভারতের বিখ্যাত নিরীশ্বরবাদী বস্তুবাদী চারবাকপন্থী লোকায়তিক দার্শনিক অজিত কেশকম্বলি বলেছিলেন যে ঈশ্বর, আত্মা, স্বর্গ, নরক, পুনর্জন্ম ইত্যাদির কোন অস্তিত্ব নেই। যাগ যজ্ঞ, পুজো আর্চা ইত্যাদি অর্থহীন। ইহজীবনই সব কিছু। আনন্দ করে বাঁচুন, মৃত্যুর পর সব কিছুর পরিসমাপ্তি।
অনিরুদ্ধদা কাজের আনন্দে বেঁচে ছিলেন। তাঁর ইতিবাচক কাজগুলির স্মৃতি আমাদের কাছে রয়ে গেল।--ডা গৌরব রায়
Empathetic, sensitive, honest, experienced at all rungs of health care delivery, an able administrator with the vision and courage to dispense with irrational or outdated protocols and call a spade a spade, Dr. Aniruddha Kar embodied some of the best qualities of my profession.
My world is poorer with his passing.–Dr. Aniruddha Sengupta