মা ও মেয়ে এসেছে। মেয়ে সন্তান সম্ভবা। কথোপকথনটা এরকম হল।–আর ক’দিন টেনশন বইতে হবে, ডাক্তারদা?
–হিসেবমতো আর দিন তিনেক বাকি আছে।
–নর্মাল হবে?
–বাকি দিন তিনেক অপেক্ষা করো। তার মধ্যে পেইন হলে চলে আসবে। নয়তো, ডেট পার হয়ে গেলে, ঘরে রাখা চলবেনা। ভর্তি করে দিতে হবে।
–সিজার করবেন?
–অবস্থা বুঝে। জামাইকে ডাকো ঐদিন। কথা বলবো।
–সে হারামির পুত আসবে না। মাস তিনেক আগে থেকেই আমার কাছে দিয়ে গেছে। বলে গেছে, আপনার মেয়েকে দিয়ে গেলাম, যা ভালো বুঝবেন, করবেন।
–আর আসেনি?
–খবরই নেয়নি। ওর বাবা বলেছে, যেটা ভালো, সেটাই করতে।
–ওরকম অনেকে বলে। বাপ হলে ঐ ছোঁড়া ঠিক চলে আসবে। তখন ওকে নিয়ে বসা যাবে।
–সেরকম কিছু বলবেননি। তখন, শুনতে হবে, ডাক্তারকেও বলেছি। পরে মারবে।
–মারবে?
–ওতো মার খেয়েছে। বলতে গেছলাম বলে এর শাশুড়ি আমাকেও মেরেছে। সেই সময় ভয়ে অজ্ঞান হয়ে গেছলাম। সেই থেকে আমার বেরেণে ডিফেক্ট এসে গেছে।
–কী মুশকিল।
–হ্যাঁগো, আমি সেই থেকে নারভের ওষুধ খাই। একটুও টেনশন নিতে পারিনা। কী কুক্ষণে ওই ওলাউঠোদের ঘরে আমার একমাত্র মেয়েটার বে দিছলুম। কেঁদেই মরি।
মেয়েটা সারাক্ষণ চোখ মুছেই গেল।
আমরা কতরকম ভালোবাসার গল্প লিখি ফেসবুকে। আর, চেম্বারে, কতরকম বাহানার ভালোবাসা দেখি! এরা নাহয় অর্দ্ধ শিক্ষিত। তথাকথিত শিক্ষিতদের ভালোবাসার নমুনাও দেখাবো, পরে, যদি ইচ্ছে আসে।