নোভেল করোনাতে মৃত্যু কিনা সুনিশ্চিত করতে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের ৩৪ টি বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেfশিকা জারি করল স্বাস্থ্য ভবন। নোভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় পজেটিভ হলেও সেই মৃত্যু ওই সংক্রমণে হয়েছে কিনা তা সুনিশ্চিত করতে ওই ৩৪ দফা তথ্য পূরণ করতে হবে। ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার সময় ৩৪ দফা ফিলাপ করে দিতে হবে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি বা সরকারি হাসপাতালকে। এমনই নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবনের।
কোনও রোগীর মৃত্যু নোভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে হয়েছে কিনা তা নির্ধারণ করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। পাঁচ সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটিতে রয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন স্বাস্থ্য অধিকর্তা বর্তমানে স্বাস্থ্য দপ্তরের উপদেষ্টা বিশ্বরঞ্জন শতপথী, স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিষ ভট্টাচার্য, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কার্ডিও থোরাসিক অ্যান্ড ভাস্কুলার সায়েন্সের প্রধান চিকিৎসক প্লাবন মুখোপাধ্যায়, পিজি হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের প্রধান ডা. আশুতোষ ঘোষ এবং আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক জ্যোতির্ময় পাল।
কোনও হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর মৃত্যু হলে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য এবার থেকে স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠাতে হবে। তাদের গঠিত কমিটি এখন থেকে খতিয়ে দেখবে।
নতুন নির্দেশিকায় এবার সেই কমিটি কীভাবে কাজ করবেন, কোন কোন বিষয় খতিয়ে দেখবেন সেটাও নির্দিষ্ট করে দিলো স্বাস্থ্য ভবন।
হাইপারটেনশন, ক্রনিক কিডনি ডিজিজ, হার্টের কোন প্রবলেম ছিলকিনা, ডায়াবেটিস ছিল কিনা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় কোনো ঘাটতি ছিল কিনা, সিওপিডি ছিল কিনা এগুলি প্রথম পর্যায়ে দেখতে বলা হচ্ছে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই কমিটি মৃত ব্যক্তির এই বিষয়গুলি অনুসন্ধান করবেন : জ্বর কত দিন ছিল, কোন পর্যায়ে কত মাত্রায়? গলা ব্যথা, শ্বাস কষ্ট ছিল কিনা? কতদিন ধরে এবং কী পরিমাণ, কেমন মাত্রা ?
তৃতীয় পর্যায়ে ২৪ টি নির্দিষ্ট বিষয়কে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করবেন এই কমিটির সদস্যরাঃ–রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা, পাশাপাশি লোয়ার অ্যাবডোমেন আলট্রাসনোগ্রাফি, সিটিস্ক্যান ও চেষ্ট এক্সরে, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি এরকম নানা বিষয় রয়েছে। একই সঙ্গে ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, স্ক্রাব টাইফাস সহ নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্ট লাগবে।
এক স্বাস্থ্য কর্তার মতে, “সরকার এ বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ অনুসন্ধান করেই সিদ্ধান্ত নেবেন যে নোভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে। যাতে কোনো মৃত্যু নিয়ে কোনো সংশয় না থাকে সে কারণে এত নিখুঁত পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন। সে জন্যই এই নির্দেশিকা।”
এখনকার আইন অনুযায়ী রোগীর মৃত্যুর সময় যিনি রোগীকে এটেন্ড করেন, তাঁরই ডেথ সার্টিফিকেট লেখার কথা। সে নিয়ম কি বদলাতে চলেছে?!
কেন? কোভিড ১৯-এ মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর জন্য?
অতিমারীর সময় এই ভাবে একটি রাজ্যে কি করোনা ডেথ নির্ণয় করার জন্য আলাদা নিয়ম করা যায়? পাবলিক হেলথের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে জানার ইচ্ছে রইলো।
রাজ্যের এইরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকে? কেন্দ্রীয় লকডাইনের কারনে যেমন বিশেষ কিছু আইন সক্রিয় হয়ে উঠেছে – এই সিদ্ধান্ত তার ই ফলশ্রুতি?
হীরক রাজার দেশে এর থেকে বেশি কিছু আশা করি না।
34 বছরের ব্যবস্থায় এরকম অনেক অভিজ্ঞতা আছে। তারই আধুনিক রূপ এটা।
কাউকে যদি গলা কেটে খুন করা হয় আর তার যদি আগে থেকেই হার্টের রোগ আর শুগার থাকে তাহলে তার মৃত্যুর কারণ কী হবে ?
Ami thik number ta jante chai. Eta janar adhikar ache amar. Keno amader mislead kora hoche… Denguer moto number game dekhte chai na