এই সময় আস্তে হাঁটো, এই সময় সিঁড়ি দিয়ে উঠিস না, এই সময় ট্রাভেল করিস না, এই সময় বাড়ির থেকে বেশি বাইরে যাস না, এই সময় চুল খোলা রাখিস না, এই সময় কি কাজে যেতেই হবে? এই কটাদিন চেম্বার বন্ধ রাখলে হয় না? চাকরি তো পরে অনেক করতে পারবি, এই সময় একটু সাবধানে চলতে হয়।
Nada Hafez writes – “What appears to you as two players on the podium, they were actually three! It was me, my competitor, & my yet-to-come to our world, little baby!”
সাত মাসের pregnancy নিয়ে অলিম্পিক এ অংশগ্রহণ করা মা এর ছবিতে কুর্নিশ জানিয়েছেন বহু মানুষ… আবার কেউ কেউ লিখছেন,”কুর্নিশ জানাতে পারলাম না, এতটা risk কি সত্যিই নেয়া দরকার?” – কে বলল risk? আপনাদের কি মনেহয় অলিম্পিক-এ অংশগ্রহণ করার আগে ফিটনেস এর ব্যাপারে যথেষ্ট পরীক্ষা করা হয় না? চিকিৎসকের মতামত না নিয়েই নিশ্চই উনি অলিম্পিক-এ অংশগ্রহণ করেন নি…. কিন্তু ওই যে pregnancy র মতন “স্বাভাবিক” বিষয়কে আমরা “অসুস্থতা” বানিয়ে রাখতে পছন্দ করি।
আমাদের দেশে অসংখ্য মেয়েরা pregnancy- র সময় চাকরি হারায়, maternity leave এর মতন বিষয়টাকে অপরাধ এর মতন consider করা হয়, আবার বহু মেয়েরা অনেক লড়াই করে এই সময় কর্মক্ষেত্রে টিকে থাকেন। মা হলেই কর্মক্ষমতা কমে না, মা হলেই কাজের প্রতি dedication কমে না। আজ যারা Nada Hafez কে কুর্নিশ জানাচ্ছেন, নিজের সহকর্মী প্রেগন্যান্ট হলে তাকে কাজের জায়গায় পর্যাপ্ত সাপোর্ট করুন, নিজের বাড়ির মেয়ে-বউ প্রেগন্যান্ট হলে তাকে অকারণে, অবৈজ্ঞানিক restriction এ বেঁধে রাখা বন্ধ করুন।
মাতৃত্ব-কে আঁতুড় ঘর মুক্ত করুন!