Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

দিগন্তগামী

IMG_20220530_230127
Dr. Arunachal Datta Choudhury

Dr. Arunachal Datta Choudhury

Medicine specialist
My Other Posts
  • May 31, 2022
  • 7:17 am
  • No Comments

মালগাড়িটা স্টেশন পেরিয়ে যাচ্ছে। একত্রিশ … বত্রিশ … যাঃ শেষ হয়ে গেল। ছোটবেলা থেকে বিজনের এই এক মজার খেলা। মালগাড়ির কামরা গোনা।

এমনি ট্রেনের কামরাও গোনা যায়। কিন্তু সেগুলো ছোট। সবই আট নইলে বারো। গোনার কোনও মজা নেই। মালগাড়িতে অনেক কামরা। আবার তার রকমফেরও অনেক। কতকগুলো চার চাকার। ছোট। আবার কতকগুলো কামরার আটটা করে চাকা। সেগুলোকে দুটো কামরা ধরলে হয়। বিজন কিন্তু তা ধরেনা। যে মালগাড়ির কপালে যেমন জুটেছে। এ অবধি সবচেয়ে বেশি যা পেয়েছে বাষট্টি কামরার মালগাড়ি। বাষট্টি না তেষট্টি? বাষট্টিই হবে। ইঞ্জিন আর গার্ডের কেবিন ধরে। ওই বাষট্টিটা পেরোনো যাচ্ছেনা। তাই বিজন আজও এত বড় হয়েও মালগাড়ি দেখলেই গোনে। গুনলও।

মালগাড়ি নাকি অনেক অনেক কামরারও হতে পারে, একশ দেড়শ দু’শ। গণপতিকাকু বলেছিল।

পুরো নাম গণপতি বাস্কে। বাবা মা কিন্তু গণপতিকাকুকে চিনতো না। লেভেল ক্রসিংএ দাঁড়িয়ে, হেঁটে স্কুলে যাবার পথে, মালগাড়ির কামরা গোনা প্রথম যখন শুরু করে, গণপতিকাকু ছিল রেলের গেটম্যান।

মা শিখিয়েছিল, বড়দের কাকু বলে ডাকতে। কি করে গণপতিকাকুর ভাব হয়েছিল ছোট্ট বিজনের সাথে, আজ আর মনে পড়ে না। শুধু মনে আছে, বিজনের রেলগাড়ি নিয়ে যে কোনও প্রশ্নের এনসাইক্লোপিডিয়া ছিল গণপতিকাকু। এখন বোঝে বিজন অনেক প্রশ্নেরই কোনও মানে ছিলনা। অনেক উত্তরও তাই হত লাগামছাড়া। বেশি লেখাপড়া ছিল না কাকুর। যা ছিল, বুকভরা অনন্ত সাহস। ইয়া ইয়া চেহারার বাস ট্রাক ড্রাইভার, কেউ কেউ মাতালও বোধহয়, গেট বন্ধ থাকলে, নেমে এসে ঝামেলা করত।

– অ্যাই গেটওয়ালা, আভি গেট খুল। নেহি তো মার ডালুঙ্গা।
খুব তাড়া থাকত কারওর। কীসের তাড়া কে জানে। হয় তো তাড়াতাড়ি পৌঁছুতে হবে। কিম্বা পেছনে তাড়া করেছে কেউ।

গেট খুলে দেবার জন্য টাকা দেবার লোভ দেখাত। চেঁচামেচি করে গালাগালি দিত। মারবে বলে ভয় দেখাত। সেই নির্জন বন্ধ রেলগেটে একলা মানুষ গণপতি অটল হয়ে বসে থাকত শুধু।

কোনও কোনও দিন বিজন অধৈর্য হয়ে জিজ্ঞেস করত, -ও কাকু, তুমি কেন ইঞ্জিন চালাতে পার না? তুমি কবে মালগাড়ি চালাবে গো?

-চালাব চালাব। দাঁড়া, আগে ড্রাইভার হবার পরীক্ষাটা দিই, তবে না!

-আমকে নিতে হবে কিন্তু। আমি লাইন দেখে তোমাকে বেছে দেব, কোন লাইনে যেতে হবে।

হাঃ হাঃ করে হেসে উঠত কাকু, -আরে বোকা, কোন লাইনে গাড়ি যাবে সেটা ড্রাইভার ঠিক করে নাকি? সেটা ঠিক করে স্টেশনে থাকা মাস্টারবাবু আর কেবিনম্যান।

-তবে তুমি মাস্টারবাবুই হও, নইলে কেবিনম্যান।

-দ্যুৎ! আমি ড্রাইভার না হলে তুই ইঞ্জিনে বসে দেশ দেখবি কেমন করে?

স্রেফ তাকে নানান দেশ দেখাবার জন্য গণপতির এই আত্মত্যাগ, বিজনকে মুগ্ধ করে দিত।

-কটা বগি থাকবে তোমার মালগাড়িতে কাকু?

-দেড়শ দু’শ, তোর যেদিন যেমন ইচ্ছে হবে। চার পাঁচটা আলগা ইঞ্জিন লাগিয়ে নেব, খুব লম্বা হয়ে যাবে যেদিন।

কাকু কোনওদিন বলেই নি, তার নিজেরও সারা জীবনের স্বপ্ন ওই ড্রাইভার হওয়া।

হায়ার সেকেন্ডারির পর গ্রাম ছেড়ে কলকাতায় পড়তে চলে এল বিজন। কাকু তার আগেই রেলগেট ছেড়েছে। ডিপার্টমেন্টের পরীক্ষা দিয়ে, তদ্বির করে সে নাকি গাড়ি চালাবার অনুমতি পেয়েছে। গেটম্যান থেকে ড্রাইভার হওয়া … রেলের চাকরিতে এ এক অসাধ্যসাধন। গণপতিকাকুর কথা শুনে বলেছিলেন রঞ্জন মেসোমশাই। তিনি ক্লাস ইলেভেনে ভর্তি হওয়া বন্ধু সলিলের বাবা, নিজে স্টেশনমাস্টার।

গণপতিকাকু দেশ দেখাবে বলেছিল। ইঞ্জিনে পাশে বসিয়ে। সেই ভাবে দেখা হয়নি দেশ।

তা দেশ দেখেছে বই কি বিজন। অনেক দেশ দেখা হল। প্রথমে মাস্টারস আর পিএইচডি পোস্ট ডক করতে আমেরিকা। তারপর চাকরি করতে করতে এখন এই ইউরোপ। মা বাবা গত হয়েছেন দু’জনেই। দেশের সাথে যোগাযোগ বলতে কিছু আত্মীয়বন্ধুর সাথে ইমেইল চালাচালি।

সেই ক্লাস ইলেভেনের বন্ধু সলিলের ছেলে আবীর ওর সেই রকম অসমবয়সী এক ইমেইল বন্ধু। দেশের খবরাখবর জানায়।

রেলগাড়ি, বিশেষ করে মালগাড়ি এখনও ওকে টানে খুব। গণপতিকাকুর সাথে ঘুরে দেশ আর দেখা হয়নি। কিন্তু মালগাড়ি দেখলেই আজও বিজন বগি গোনে। হোকনা বিদেশ, তবু পুরোনো অভ্যাসে খেয়াল করতে চেষ্টা করে মালগাড়ির ড্রাইভারের মুখটা। যদি চেনা চেনা লাগে!

ওর এই শহরের বাসাটা রেললাইনের খুব কাছে। আল্পসের কোলে, এখানে বরফ পড়ে খুব। দিগন্তে বরফঢাকা পাহাড়ের দিকে ছুটে গেছে অসীমে মিলিত হওয়া সমান্তরাল রেখা।

পৃথিবীর এই উত্তরবারান্দায় শীতের ঋতুতে সন্ধ্যে নামে খুব তাড়াতাড়ি। আগের মালগাড়িটার পর আবার একটা মালগাড়ি যাবে। স্টেশন থেকে বাসায় ফিরতে গিয়ে ফেরা গেল না। এটাও দেখে তবে যাওয়া যাক।

এই মালগাড়িটাকে দেখে বিজনের অবাক হবার পালা। একমনে কামরা গুনতে গুনতে, একি রে দু’শও পেরিয়ে গেল যে। ঠিক যে রকম বলেছিল গণপতিকাকু, অবিকল সেরকম অনেকগুলো ইঞ্জিন লম্বা ট্রেনটার মাঝে মাঝেই গুঁজে দেওয়া।

আর কী আশ্চর্য, প্রত্যেকটা ইঞ্জিনেই বসে গণপতিকাকু। এমনকি শেষের গার্ডের কামরাতেও রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে। বিজনকে হাত নাড়তে নাড়তে সবকটা গণপতিকাকু বরফ ঢাকা দিগন্তের দিকে চলে গেল।

বিজন জানে অসম্ভব। এই দূর বিদেশের মনখারাপের আবছা আলোয় এই দেখা চোখের ভুল ছাড়া আর কিচ্ছু না।

বিজন যেটা জানে না, আজই বাড়ি ফিরে মেইলবক্সে আসা আবীরের চিঠিতে খবর পাবে, রিটায়ার করার তিনমাস আগে, মাত্র গতকাল, জঙ্গলের মধ্যে ওই মালগাড়ি নিয়েই গণপতিকাকু যাচ্ছিল নাশকতার মাইনপাতা রেলরাস্তা দিয়ে।

আজ দেশের সবকটা কাগজে বিস্তারিত বেরিয়েছে, ইঞ্জিনটার দিগন্তে মিশে যাবার খবর।

PrevPreviousপ্রেগন্যান্সির সময় সহবাস করা কী নিরাপদ? এতে কী বাচ্চার ক্ষতি হয়?
Nextমাথা ব্যথাNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
0 Comments
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত পোস্ট

দীপ জ্বেলে যাও ২

March 22, 2023 No Comments

আত্মারাম ও তার সঙ্গীরা রওনা দিল দানীটোলার উদ্দেশ্যে। দল্লিরাজহরা থেকে দানীটোলা বাইশ কিলোমিটার হবে। বিশ না বাইশ, ওরা অত গ্রাহ্য করে না। ওরা জানে এই

ভাইরাস সংক্রমণ শুধুই বায়োলজিকাল? – উত্তর ভাসে বাতাসে

March 21, 2023 1 Comment

পশ্চিমবাংলা এই মুহূর্তে অ্যাডেনভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিপর্যস্ত। আইসিএমআর-নাইসেড-এর সম্প্রতি প্রকাশিত যৌথ সমীক্ষা  জানাচ্ছে, ভারতের ৩৮% অ্যাডেনোভাইরাস রোগী পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। এমনকি সুপরিচিত ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান-এ একটি

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

March 20, 2023 No Comments

৪/৩/১৯৯০ শৈবাল–আমাকে প্রথমে নির্বাচনের খবর। আমরা একটাও জিততে পারিনি। জনকও হেরেছে। ভেড়িয়া ৭০০০ ভোটে জিতেছে। আমরা গ্রামে ১২ হাজার ভোট পেয়েছি। বি. জে. পি. ২১

গ্রামের বাড়ি

March 19, 2023 No Comments

১৪ দিন দশেক পরে দেবাঙ্কন এসে হাজির। বলল, “তোদের কফি ধ্বংস করতে এলাম। বাপরে বাপ, যা গেল! যাক, চার্জশিট হয়ে গেছে। সাংঘাতিক কনস্পিরেসি। সোমেশ্বর নাথ

মহিলাদের জন্য মহিলা টেকনিশিয়ান!

March 18, 2023 No Comments

খবরের কাগজে কত খবরই তো আসে। বড় একটা অবাক হই না। কিন্তু একখানা খবর পড়ে একেবারে চমকে গেলাম। কলকাতার একটি নামকরা কর্পোরেট হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে

সাম্প্রতিক পোস্ট

দীপ জ্বেলে যাও ২

Rumjhum Bhattacharya March 22, 2023

ভাইরাস সংক্রমণ শুধুই বায়োলজিকাল? – উত্তর ভাসে বাতাসে

Dr. Jayanta Bhattacharya March 21, 2023

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

Dr. Asish Kumar Kundu March 20, 2023

গ্রামের বাড়ি

Dr. Aniruddha Deb March 19, 2023

মহিলাদের জন্য মহিলা টেকনিশিয়ান!

Dr. Bishan Basu March 18, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

428556
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]