22 শে মার্চের জনতা কারফিউর পর 23 শে মার্চ থেকে 14 ই এপ্রিল লকডাউন ছিল, আবার সেই লকডাউন বাড়ানো হলো 30 এপ্রিল অবধি। আজকে প্রধানমন্ত্রী ফের লকডাউনের সময়সীমা বাড়িয়ে 3 মে করল। অথচ যে আক্রান্তদের আলাদা করার জন্য লকডাউন, সেই আক্রান্তদের খুঁজে বের করার কাজ হচ্ছে কোথায়?? অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে লক ডাউনের সময়কে টেস্টিং করার জন্য ব্যবহার করতে।
রাজ্য সরকার টেস্টিং-এর কিটের অভাবের কথা বলছেন। অথচ কোলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কলেরা এন্ড এন্টেরিক ডিজিজেস বা নাইসেডে পড়ে আছে 27500 কিট। নাইসেডের ডিরেক্টর ডাঃ শান্তা দত্ত এই কথা জানালেন এক টেলিভিশন ইন্টারভিউয়ে।
নাইসেড রিজিওনাল ভাইরাস রিসার্চ এন্ড ডায়গনষ্টিক ল্যাবরেটরি হিসেবে কাজ করে। এর লোকবল মেডিকেল কলেজ গুলির তুলনায় অনেক বেশি। 24 ঘন্টার মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি আই সি এম আর-এর টেস্টিং কিটের ডিপো হিসেবেও কাজ করে নাইসেড।
ডাঃ দত্তর ইন্টারভিউ থেকে জানা যায় শুরুতে যেখানে রোজ 80-90 টি নমুনা পরীক্ষার জন্য আসছিল, এখন সেখানে আসছে 10-15-20 টি।
অন্য রাজ্যগুলির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের জনবসতির ঘনত্ব অনেক বেশি, তাই আক্রান্তদের খুঁজে বার করতে পরীক্ষা হওয়া উচিত আরো অনেক বেশি।
কেন রাজ্য পরীক্ষার জন্য কম নমুনা পাঠাচ্ছে সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ডাঃ দত্ত। স্বাস্থ্য সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের বিষয় মনে করিয়ে দেন তিনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, যিনি আবার স্বাস্থ্যমন্ত্রীও বটে, তার কাছে আমাদের আবেদন রাজ্যের চিকিৎসাকর্মীদের বাঁচাতে, রাজ্যবাসীকে বাঁচাতে বেশি বেশি করে টেস্টিং করান, টেস্টিং-এর জন্য নাইসেডের পরিকাঠামো ব্যবহার করুন।