করোনা ভাইরাস ডিজিজ ১৯ কেবল জীবাণুঘটিত এক অতিমারীই নয়, এই অতিমারী বিশ্ব, দেশ, রাজ্য, আমাদের গ্রাম-শহরকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে অভূতপূর্ব সামাজিক-অর্থনৈতিক সমস্যার সামনে। রাজ্যের সরকার অনেকগুলো ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছেন, তা স্বীকার করতেই হবে। কিন্তু আরও অনেক করার আছে। সরকারের কাছে মতামত পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে রচিত এই দলিল।
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিকাঠামো
১। লকডাউনের সময় সরকারি উদ্যোগে ডাক্তার, নার্স সহ সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মী, সাফাই কর্মী, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা কর্মীদের কর্মস্থলে যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে। এমারজেন্সি রোগীরা যাতে হাসপাতালে পৌঁছোতে অসুবিধায় না পড়েন তা নিশ্চিত করতে হবে।
২। স্টেজ থ্রি এপিডেমিক মোকাবিলার প্রস্তুতি হিসাবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো সহ তৈরি রাখতে হবে।
৩। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে আইসোলেশান ওয়ার্ড, বেড ও অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সেখানে কর্মরত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত PPE (Personal Protection Equipment)-এর ব্যবস্থা করতে হবে।
৪। অবিলম্বে বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিং হোম ও হাসপাতাল প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে অধিগ্রহণ করে করোনা আক্রান্তদের আপতকালীন চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করে রাখতে হবে।
৫। করোনাভাইরাস রুগীবাহক অ্যাম্বুলেন্সকে আলাদা করে চিহ্নিত করতে হবে, যাতে অন্যান্য রুগীরা প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করতে দ্বিধা না করেন।
৬। যথেষ্ট সংখ্যক কোয়ারান্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখতে হবে ও কোয়ারান্টাইন সেন্টারগুলোতে যাতে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় থাকে, তার ব্যবস্থা করতে হবে।
৭। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর নির্দেশিকা মেনে অবিলম্বে কম্যুনিটি স্তরে করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা শুরু করতে হবে।
৮। টেস্টিং কিট তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণায় আর্থিক বিনিয়োগ করতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশী বিভিন্ন সরকারি গবেষণাগারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে তাঁদের থেকে সাহায্য নিতে হবে, তাঁদেরকে সাহায্য করতে হবে।
৯। অবিলম্বে জরুরি ভিত্তিতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভেন্টিলেশন মেশিনের ব্যবস্থা করতে হবে।
গণবণ্টন ব্যবস্থা ও অতিপ্রয়োজনীয় সামগ্রী
১০। আগামী ৬ মাসের জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে বিনামূল্যে রেশনের ঘোষণা করেছেন, তার পর্যাপ্ত গুণমান বজায় রাখা এবং যথাযথ দুর্নীতিমুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে।
১১। রাজ্যব্যাপী গণবণ্টন ব্যবস্থাকে জরুরি ভিত্তিতে শক্তিশালী এবং সর্বজনীন করে তুলতে হবে। এর জন্য প্রয়োজনে বিভিন্ন অঞ্চলে স্কুল এবং কলেজ বিল্ডিংগুলিকে প্রশাসনিক স্তরে গণবণ্টনের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মানুষ যাতে এইসব কেন্দ্রে ভিড় না করেন, সেই কারণে বণ্টনকেন্দ্রগুলি থেকে পাড়ায় পাড়ায় বিলি করার ব্যবস্থা করতে হবে। এই কাজে আঞ্চলিক স্তরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং নাগরিক উদ্যোগকে কাজে লাগাতে হবে।
১২। স্যানিটাইজার, মাস্ক, সাবান – এগুলি জরুরি ভিত্তিতে বিভিন্ন সরকারি উদ্যোগ, সমবায়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণে তৈরি করে বিনামূল্যে সরবরাহ করতে হবে। এই সামগ্রীগুলির সর্বাধিক মূল্য নির্ধারণ করতে হবে।
১৩। কোয়ারান্টাইন-এ থাকা জনগণ, যাঁদের স্থায়ী মাস মাইনে নেই, তাঁদের আপতকালীন ভিত্তিতে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস, প্রভৃতি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করতে হবে।
সংগঠিত ও অসংগঠিত শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষ, গরীব শ্রেণীর মানুষ, এবং অন্যান্য অসুরক্ষিত গোষ্ঠীর মানুষ
১৪। অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিক ও গরীব জনগণের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ভাতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সাহায্য করতে হবে। দারিদ্র্য সীমার নিচে থাকা দৈনিক ভিত্তিতে খেটে খাওয়া মানুষদের বিনামূল্যে গণবণ্টনের পাশাপাশি দৈনিক ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা পরিবারগুলিকে অবিলম্বে ‘এমারজেন্সি রিলিফ প্যাকেজ’ দিতে হবে।
১৫। দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষদের জন্য বাড়ি/দোকান ভাড়া, জল, বিদ্যুৎ, টেলিফোন এবং ইন্টারনেট বিল মকুব করতে হবে।
১৬। প্রয়োজনমত স্পেশাল ট্রেন এবং যথাযথ স্ক্রীনিং/ স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা করে যে সব শ্রমিক এবং গরীব মানুষ অন্য রাজ্য থেকে এরাজ্যে, অথবা শহরাঞ্চল থেকে নিজের গ্রাম-মহকুমায় ফিরতে চান, তাঁদের ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৭। রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগার থেকে বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে – বিশেষত বিচারাধীন, জামিনপ্রাপ্ত, বয়স্ক, অসুস্থ, মহিলা, ট্রান্সজেন্ডার এবং নাবালক / নাবালিকা বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তির ব্যবস্থা করে সংশোধনাগারগুলিকে ভিড় মুক্ত করতে হবে। এবং স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তাঁদের নিরাপদে নিজের ঘরে অথবা অন্য নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
১৮। শহরের এবং শহরতলীর, জেলা সদরগুলির বস্তি এবং রিফিউজি কলোনি (রোহিংগ্যা বস্তি সমেত) -তে অবিলম্বে সার্বজনীন স্ক্রীনিং-টেস্টিং, এবং গণবণ্টন ও যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবার এর ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজনে অত্যাধিক জনঘনত্ব রোখার জন্য বস্তি অঞ্চলের কিছু মানুষকে উপযুক্ত ব্যবস্থায় স্থানান্তরিত হতে হবে।
১৯। এই পরিস্থিতিতে যারা নিজেদের জীবনকে বিপদগ্রস্ত করে দৈনন্দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামাজিক কাজে ব্যস্ত – যেমন স্বাস্থ্যকর্মী, আশা কর্মী, সাফাই কর্মী, মিড-ডে মিল কর্মী, বিদ্যুৎ বিভাগ, গণবণ্টন বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জল সরবরাহ ও নিকাশি ব্যবস্থা বিভাগ, ইত্যাদির কর্মীদের ‘হাই স্কিল্ড’ শ্রমিকের মর্যাদা দিতে হবে, এবং সেইমত তাঁদের বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। এই সমস্ত কর্মীদের জন্য বিনামূল্যে সরকারি বীমার ব্যবস্থা করতে হবে।
২০। সমস্ত সংগঠিত এবং অসংগঠিত ঠিকা শ্রমিকরা যাতে লকডাউনের পরে তাদের কাজের জায়গায় যোগ দিতে পারেন, সরকারকে তার দায়িত্ব নিতে হবে। এই লকডাউনের ফলে কারুর চাকরি কেড়ে নেওয়া চলবে না। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন তার মধ্যে থেকে BSNL, MTNL সহ সমস্ত রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় অস্থায়ী ও কন্ট্রাক্টচুয়াল শ্রমিকদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে।
২১। MGNREGS কর্মীদের অবিলম্বে বকেয়া পারিশ্রমিক দিতে হবে, এবং লকডাউন চলাকালীন তাঁদের সম্পূর্ণ বেতন দিতে হবে। প্রয়োজনে সাবান, মাস্ক এবং স্যানিটাইজার তৈরির কাজকে NREGS প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
২২। বিপুল সংখ্যক খেটে খাওয়া মানুষ অন্য রাজ্য থেকে এরাজ্যে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থানের জন্য MGNREGS -এর কাজের দিন ১০০ দিনের থেকে বাড়াতে হবে, এবং MGNREGS কাজের প্রকল্পের আওতা বাড়াতে হবে।
২৩। শহরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে শহরভিত্তিক MGNREGS চালু করতে হবে।
২৪। পেনশনভোগী নাগরিকদের তিন মাসের আগাম পেনশন দিতে হবে।
ব্লক এবং জেলা-ভিত্তিক অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্য পরিকাঠামো
২৫। জেলা এবং মহকুমা হাসপাতালগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত করতে হবে। জেলাস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দিতে হবে।
২৬। অবিলম্বে জেলাস্তরে নতুন টেস্টিং সেন্টার তৈরি করতে হবে।
২৭। জেলা ও শহরতলী অঞ্চলের স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থাকে প্রথমত সেখানকার স্থানীয় মানুষের খাদ্যের প্রয়োজনের জন্য রাখতে হবে, এবং স্থানীয় স্তরে বণ্টনের ব্যবস্থা করতে হবে। অতিরিক্ত খাদ্য শহরবাসীর জন্য পাঠানো হোক রেলব্যবস্থার মাধ্যমে।
আইনি তৎপরতা
২৮। সংক্রমণকে অজুহাত করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, কালোবাজারি শুরু হয়েছে। সরকারকে অবিলম্বে কালোবাজারির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
২৯। যদি কোন কোম্পানি বা মালিক তার শ্রমিক বা কর্মীকে লকডাউন পরবর্তী সময়ে কাজে যোগ দেওয়া থেকে বাধা দেয়, সেই কোম্পানি/মালিকের উপর কড়া শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩০। বাইরে থেকে ফেরত আসা অসুরক্ষিত শ্রেণী, সম্প্রদায় বা জাতির মানুষকে উপযুক্ত কারণ ছাড়া “সামাজিক দূরত্বের”-এর নামে গ্রামে/শহরাঞ্চলে ঢোকা বা থাকা থেকে আটকানো, বা একঘরে করে রাখা চলবে না। এইসব ক্ষেত্রে দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নয়, আমাদের প্রয়োজন চিকিৎসাজনিত কারণে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। সমাজকে দূরে রাখা নয়, এই সঙ্কটের মুহূর্তে আমাদের প্রয়োজন সমাজকে কাছে টেনে নেওয়া।
৩১। ধর্মের নামে অবৈজ্ঞানিক প্রচার এবং কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩২। সরকারের তরফ থেকে প্রতিটি নাগরিকের কাছে সঠিক তথ্য, সচেতনতা প্রচার করতে হবে। সাথে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যে গুজব আটকানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩৩। NPR বাতিল করতে হবে এবং জনগণনা সম্পর্কিত যাবতীয় কর্মকাণ্ড অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখতে হবে।
সরকারি তহবিলের আর্থিক সংস্থান
পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। গড়ে ৪ জন সদস্যের পরিবার ধরলে মোট পরিবারের সংখ্যা ২.৫ কোটি। ধরে নেওয়া যাক এর মধ্যে ৮০% পরিবারের এমারজেন্সি রিলিফ প্যাকেজ-এর প্রয়োজন পড়বে। এই সংখ্যাটা তাহলে দাঁড়ায় ২ কোটি। যদি প্রত্যেক পরিবারকে এপ্রিল এবং মে – এই দু’মাস মাসিক ৭০০০ টাকার আর্থিক প্যাকেজ দিতে হয়, তাহলে মোট খরচ দাঁড়ায় ২৮ হাজার কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গের ২০২০-২১ রাজ্য বাজেট অনুযায়ী রাজ্যের মোট GDP হল প্রায় ১৪.৫ লাখ কোটি টাকা। অতএব মোট এমারজেন্সি রিলিফ প্যাকেজ-এর পরিমাণ রাজ্যের মোট সম্পদ উৎপাদনের ২%। প্রশ্ন হচ্ছে, এই টাকা রাজ্য তহবিলে কি ভাবে জোগাড় করা যেতে পারে। এর কিছু কিছু পদ্ধতি আছে:
ক। রাজ্যের যেকোনো বড়, সচ্ছল এবং লাভজনক শিল্প দাঁড়িয়ে আছে সাধারণ মানুষের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক শ্রমের ভিত্তিতে। অতএব সাধারণ মানুষের এই বিপদে রাজ্যের, প্রধানত কলকাতার সচ্ছল প্রাইভেট কোম্পানিগুলি – যেমন কলকাতার আই টি সেক্টরের বিভিন্ন বহুজাতিক সংস্থা, বা সিইএসসি, ইত্যাদি সংস্থাগুলি থেকে জরুরি ভিত্তিতে রাজ্য সরকারি তহবিলে ট্যাক্স আদায় করা হোক।
খ। উত্তরবঙ্গের চা শিল্পের বহুল সংখ্যক বড় মালিকপক্ষের থেকে রাজ্য সরকারের বকেয়া তাকা অবিলম্বে আদায় করা হোক। প্রয়োজনে তাদের উপর বাড়তি ট্যাক্স লাগানো হক।
গ। রানিগঞ্জ-আসানসোল কয়লাশিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন বড় প্রাইভেট উদ্যোগপতিদের বকেয়া আদায়, বাড়তি ট্যাক্স লাগানো হোক।
ঘ। জুটমিল অঞ্চলের বড় উদ্যোগপতিদের থেকে বকেয়া আদায়, বাড়তি ট্যাক্স আদায় করা হোক।
ঙ। চামড়া শিল্পের বড় উদ্যোগপতিদের থেকে বকেয়া আদায়, বাড়তি ট্যাক্স আদায় করা হোক।
চ। শহরাঞ্চলের বড় জমি এবং প্রোমোটিং ব্যবসায়ীদের থেকে বকেয়া টাকা আদায় করা হোক, এবং প্রয়োজনে বাড়তি কর লাগানো হোক।
ছ। শহরাঞ্চলের বিভিন্ন লাভজনক অনলাইন খাদ্য এবং অন্যান্য সামগ্রী সরবরাহকারী কোম্পানি, অনলাইন পরিবহণ কোম্পানি, এবং টেলিকম কোম্পানির থেকে বকেয়া আদায়/বাড়তি ট্যাক্স আদায় করা হোক।
জ। শহরের বিভিন্ন উচ্চ এবং উচ্চমধ্যবিত্ত আবাসন সমিতির থেকে জরুরি ভিত্তিতে এমারজেন্সি ট্যাক্স নেওয়া হোক।
ঝ। যদি কেন্দ্র সরকার এই মুহূর্তে রাজ্যের আর্থিক বকেয়া মেটাতে অস্বীকার করেন, বা রিলিফ প্যাকেজ দিতে অস্বীকার করেন, তাহলে রাজ্যের তরফ থেকে অবিলম্বে কেন্দ্রকে ট্যাক্স দেওয়া মুলতুবি রাখা হোক।
প্রারম্ভিক ভাবে হেলথ সার্ভিস এসোশিয়েসন, শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণ, পিডিএসএফ এবং পশ্চিমবঙ্গ খেড়িয়া শবর কল্যাণ সমিতি এই দাবীগুলি সূত্রায়িত করেছে। অন্যান্য সংগঠন ও ব্যক্তিকে আহ্বান এই দাবীগুলি নিয়ে সরব হোন।
One Response
কিছু কথা। 1, পল্লী চিকিৎসক দের যুক্ত করা যায় কিনা
2.5 star hotel মালিক দের থেকে দান ও অগ্রিম কর। ৩.সরকারি কর্মচারীদের কাছ থেকে ১ দিনের বেতন ।