কোভিড না হলে এটা খান ওটা খান, জিঙ্ক খান, ভিটামিন ডি, সি খান, ইম্যুনিটি বাড়ান- লকডাউন পালন করুন, মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজার মাখুন– এসব শুনতে শুনতে কানে ছাতা পড়ে গেছে। কিন্তু কোভিড হয়ে গেলে সাধারণ একটা মানুষ কি করবে, কোথায় যাবে, কে তার সদপরামর্শ দেবে এমন কিন্তু কোন ক্লিয়ারকাট নীতিমালা দিচ্ছে না সরকার। পুরোটাই গোলগোল।
সরকারি টেস্টের জায়গায় সরাসরি টেস্ট করা যাবে না, তার আগে লাইন দিয়ে হাসপাতালে দেখাতে হবে। লাইন। তারপর কাগজ নিয়ে ওমুক জায়গায় যাও, সেখানেও লাইন। ফলে তার যাও বা নেগেটিভ আসতো, সে হয়তো ভীড় লাইনে এক্সপোস্ড হয়ে গিয়ে করোনা পজিটিভ হয়ে যাবে। হয়তো সব্বাই হয়ে যাবে এইভাবে। কিন্তু তারপর?
এবারে আসি বেসরকারি টেস্ট ক্লিনিকের কথায়। এখন তো বাইশ শো টাকা লাগে টেস্ট করতে। কিন্তু না। সরকার থেকে বেঁধে দেওয়া রেটের বাইরেও আরো দু একশ টাকা বেশি লাগে। কেন লাগে – কোন সদুত্তর নেই। আগে তাও বেশ কিছু প্রাইভেট টেস্টিং ল্যাব ক্লিনিক বাড়িতে এসে স্যাম্পেল নিয়ে যেতো। এখন আস্তে আস্তে সেটাও বন্ধ হয়ে যাবার যোগাড়। হয়তো বেসরকারি নার্সিংহোমগুলো বাড়িতে বসেই করোনার চিকিৎসার প্যাকেজ ঘোষণা করার পরে এই উন্নতি। পেশেন্ট হুক করার অভিনব ছকবাজির অভিনব পদ্ধতি।
তার উপর পাড়াতুতো অশিক্ষিত নেতাগিরির পাষন্ডপণা। অথচ সরকার থেকে প্রচার চালানো হচ্ছে এ্যাসিম্পটোমেটিক বা মাইল্ড সিম্পটোমেটিক হলে বাড়িতেই আইসোলেশনে থেকে সাধারণ চিকিৎসা করুন- সেরে উঠবেন। কেউ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা শুরু করলেও পাড়াতুতো চাপ – “ভর্তি হোন হাসপাতালে অথবা সরকারি কোয়ারিন্টন সেন্টারে”।
সেখানেও চরম অবহেলা। গরম জল পাওয়া তো দূরের কথা, এমনি জলই পাওয়া যায় না। সংবাদ মাধ্যমে খবর পাই সেইসব মানুষদের বিদ্রোহের কথা। তাহলে কি করবে মানুষ? কোথায় যাবে মানুষ?
এই বিষয়ে একটা নীতিমালা দাবি করা যাবে না কেন সরকারের কাছে? রোগির অধিকার এটা। অবিলম্বে ব্যবস্থা নিক সরকার। এ কি অব্যবস্থা ! এখুনি সরকার দ্রুততার সঙ্গে ব্যবস্থা নিক, প্রচার করুক সব কটি সংবাদপত্রে, টেলিভিশনে ও অন্যান্য মাধ্যমে। দেরি হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হয়ে যাবে।
ঠিক বলেছেন। আরো বলতে, লিখতে ও লোক কে জানাতে হবে। প্রয়োজনে রাস্তা য় নামতে হবে।