সনাতন, দিন রাত চব্বিশ ঘণ্টা কানের কাছে এতো ঘ্যানঘ্যান করিস না বাপ!
ভালো, মন্দ – সব নিয়েই যদি এতো আফসোস, তাহলে পথে বেরোলি কেন???
তাকিয়ে দেখ, সামনে পড়ে আছে রাস্তা – দু’টো।
যেটা ডান দিকে গেছে, সেটার নাম মগজ!
যেটা বাম দিকে গেছে, সেটার নাম হৃদয়।
নিজে নিজের কাছে কখনো
মিথ্যে বলিস না বাপ,
কোনদিকে যাবি আগে ভেবে দেখ।
একদিকে গেলে খেতে পারবি না,
অন্যদিকে গেলে খেতে পাবি না!
একদিকে গেলে মানুষ তোকে চিনবে,
অন্যদিকে গেলে তুই নিজেকে চিনবি।
একদিকে বাঁচতে গেলে প্রায় মরে যাবি,
অন্যদিকে মরে গেলেও অনেকটা বেঁচে যাবি।
কথায় কথায় ঘ্যানঘ্যান করা
সনাতন বাপের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে কিছুক্ষণ ।
সনাতন জানে- তার বাপ ঠাকুরদা সহ পূর্বসূরি চৌদ্দ পুরুষের নাম ছিল সনাতন!
দু’টো রাস্তা যেখানে ভাগ হয়েছে, সেখানেই তাঁদের মধ্যবিত্ত ঘর!
ঘরের ভেতরে দাউদাউ করে জ্বলছে বাপের, ঠাকুরদা র, পূর্বপুরুষের চিতার আগুন …
সেই আগুনে ফুটছে মোটা চালের ভাত।
প্রতিদিন রাতে
পূর্বসূরীদের কবরের পাশে আরেকটি কবর খুঁড়ে সনাতন শুয়ে পড়ে।
ভালো লেখা।