যুদ্ধক্ষেত্র হইতে পত্র
(সম্পাদকের অনুমতি ছাড়াই)
★
পরম আদরণীয় প্রিয় যত মূর্খ দেশবাসী,
তোমাদের বাঁচাইতে আমি আজ বাঙ্কারে এখন।
পর সমাচার এই, আজ অবধি বাঁচিয়াই আছি
সহ সৈনিকেরা কেহ একে একে বীরের মতন…
থাকুক সে মৃত্যু কথা, ভয় লাগে তোমাদের নিয়া
তোমরা যাহারা ঘোরো মাস্ক ছাড়া হাটে মাঠে ঘাটে।
ষড়যন্ত্র তত্বগুলি উচ্চস্বরে পরম বিশ্বাসে
বিনিময় কর আর সেই সঙ্গে বলাবলি কর
মিছামিছি ভয়ে মরে ডরপুক স্বাস্থ্য কর্মীগণ
কাঁপিতেছে ব্যাঙ্ক-ডাক-শিক্ষক-পুলিশ যত বৃথা…
আসলে রোগটি নাই। শোনো প্রিয়, তোমাদের বলি
প্রলয় কি বন্ধ থাকে কোনও ক্রমে চক্ষু বুজিলেই?
কাহার হইবে রোগ, কে বাঁচিবে স্থির নহে তাহা।
রোগ হইলে কে থাকিবে কেই বা মরিবে,
তাহারও স্থিরতা নাই। চিকিৎসাও ধ্রুব জানা নাই।
ঢাল তরোয়ালহীন প্রকৃত সর্দার কিছু নিধিরাম
তোমাদেরই পুত্র কন্যা বন্ধু ও স্বজন তাহারা
সীমান্তে বসিয়া খুব যুদ্ধ যুদ্ধ করিতেছি ভান
সকলই অনিশ্চিত, ‘ভান’ শব্দ, ক্ষমা চাহিতেছি
অনিশ্চিত ভ্যাকসিন স্বপ্ন দেখিতে দেখিতে
শ্বাস নেওয়া কষ্ট খুব, হাসিমুখে এই অজুহাতে
তোমাদের মাস্ক ঝোলে এক কানে থুতনির অতীতে।
ওই আসে মৃত্যু ঢেউ একে একে প্রায় অগণন
নাকানিচোবানি খায়, নিখোঁজ বা কতশত জন
তোমরা নির্ভীক ভাসো, সে ঢেউয়ের চূড়ায় চূড়ায়…
দয়া করো, মাস্ক পরো, যথাবিধি নাক মুখ ঢাকো,
বিশ্বাস করো না করো, পিপিই ও মাস্কের আড়ালে
আমরা ক্লান্ত… তবু, হতক্লান্ত, লড়াই দিতেছি।
দয়া করো…
নিজেরা সাবধানে থাকো, আমাদেরও বাঁচিতে দাও কিছু,
আমরা যাহারা সব তোমাদেরই পুত্রকন্যাগণ…