আরাবল্লিকে নিয়ে জমে ওঠা বিতর্কের সমাধান হতে না হতেই নতুন করে বিরোধ দেখা দিয়েছে ছত্তিশগড়ে জবরদস্তি কয়লা উত্তোলনকে ঘিরে। গ্রামের নাম দৌরাভাথা, অঞ্চলের নাম টামনার, জেলা রায়গড়, রাজ্যের নাম ছত্তিশগড়। দৌরাভাথা গ্রামের সাধারণ মানুষ সমবেত হয়েছিল প্রস্তাবিত কয়লা খনির কাজ শুরু করার বিরুদ্ধে। তাদের দাবি জিন্দাল গোষ্ঠীকে দেওয়া কোল ব্লকের অনুমোদন বাতিল করতে হবে কেননা এরফলে তারা জমির ওপর, যেখানে তারা পুরুষানুক্রমে বসবাস করছেন, তাদের ন্যায্য অধিকার হারাবেন। খনিজ সম্পদ উত্তোলনের নামে এভাবে আদিবাসী, জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের উৎখাত করার কাহিনি নতুন কিছু নয়। গোটা দুনিয়া জুড়েই এভাবে সাধারণ মানুষদের একরকম বঞ্চিত করেই শিল্প স্থাপনের নাম করে জমির ওপর কর্পোরেট ভোগদখলের অধিকার কায়েম করা হচ্ছে। রায়গড়ের ঘটনা তারই এক সংযোজিত আখ্যান মাত্র।
এই মুহূর্তে রায়গড় অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ পরিবর্তিত হয়েছে হিংসাত্মক আক্রমণে। প্রশাসন হয়তো এমনটাই চায়, তাহলে তাঁদের পক্ষে গোটা বিষয়টিকেই নিজেদের পছন্দের রঙে রাঙিয়ে তোলা সম্ভব হয়। অভিযোগের বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় সমস্ত প্রতিরোধের দেওয়াল। রায়গড়েও ঠিক এমনটাই ঘটেছে। আসুন জেনে নিই বিষয়টাকে একটু বিস্তারিত ভাবে।




নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানাই সকলকে। ভালো থাকবেন সবাই।
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
লেখক যে ধীরেশ গুহ নিয়োগীর কথা বলেছেন, তিনি পরিচিত তাঁর ছদ্ম নাম শঙ্কর গুহ নিয়োগী নামে।














সোমনাথবাবুর সব লেখাই ভাল লাগে। এই লেখার রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। লেখককে ধন্যবাদ।
গোটা দেবীকে অনেক ধন্যবাদ জানাই মতামত জানানোর জন্য । কমরেড ধীরেশ গুহ নিয়োগীর লড়াকু জীবনের সঙ্গে আলোচ্য ঘটনার সাযুজ্য খুঁজে পেলাম। তাই দুটো ঘটনাকে এক সূত্রে গেঁথে দিলাম পাঠকদের জন্য। এইসব মানুষেরা বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যান, হারিয়ে ফেলা হয়।
ছড়িয়ে পড়ুক নানান জনের মাঝে।
গোপা দেবীকে ধন্যবাদ জানাই।
ভুলবশতঃ নামটা গোটা ছাপা হয়েছে। দুঃখিত।